মধুসূদন দত্তের পূর্ববর্তী গুরুত্বপূর্ণ কবি কে?
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
কায়কোবাদ
C
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
D
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
উত্তরের বিবরণ
মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩) ছিলেন বাংলা সাহিত্যের আধুনিকতার পথিকৃৎ কবি, যিনি ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ ও বাংলা সনেট প্রবর্তনের মাধ্যমে নতুন যুগের সূচনা করেন। তাঁর পূর্ববর্তী গুরুত্বপূর্ণ কবি নির্ধারণ করতে গেলে সময়কাল, সাহিত্যকর্ম এবং প্রভাব বিবেচনা করা প্রয়োজন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১–১৯৪১): রবীন্দ্রনাথ মধুসূদনের পরবর্তী প্রজন্মের কবি। মধুসূদনের মৃত্যুর প্রায় এক যুগ পরে তাঁর সাহিত্যজীবন শুরু হয়। তাই তিনি মধুসূদনের পূর্ববর্তী নন।
-
কায়কোবাদ (১৮৫৭–১৯৫১): তাঁর বিখ্যাত কাব্য ‘মহাশ্মশান’। তবে তাঁর সাহিত্যচর্চা শুরু হয় মধুসূদনের মৃত্যুর পর, ফলে তিনি মধুসূদনের পূর্ববর্তী কবি হিসেবে বিবেচিত নন।
-
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত (১৮১২–১৮৫৯): তিনিই মধুসূদনের পূর্ববর্তী এবং আংশিক সমসাময়িক কবি। তিনি ছিলেন একজন কবি ও সাংবাদিক এবং ‘সংবাদ প্রভাকর’-এর সম্পাদক হিসেবে সুপরিচিত। তাঁর ব্যঙ্গাত্মক ও সামাজিক কবিতা বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল। তাঁর সাহিত্যকর্ম মধুসূদনের সময়ে আধুনিকতার পথে দিকনির্দেশনা দিয়েছিল।
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত সম্পর্কে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:-
তিনি বাংলা সাহিত্যের যুগসন্ধিকালের কবি, অর্থাৎ মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের সংযোগসূত্র।
-
তাঁর ছদ্মনাম ছিল ‘ভ্রমণকারী বন্ধু’।
-
তিনি প্রথম বাংলা দৈনিক সংবাদপত্র ‘সংবাদ প্রভাকর’ সম্পাদনা করেন।
-
কবিয়ালদের লুপ্তপ্রায় জীবনী সংরক্ষণ ও প্রকাশ তাঁর অন্যতম কীর্তি।
-
তিনি আরও কয়েকটি পত্রিকা যেমন ‘সংবাদ রত্নাবলী’, ‘পাষণ্ডপীড়ন’, ও ‘সংবাদ সাধুরঞ্জন’ সম্পাদনা করেন।
-
-
ইসমাইল হোসেন সিরাজী (১৮৮০–১৯৩১): তিনি ছিলেন পরবর্তী যুগের কবি ও সাহিত্যিক, যিনি জাতীয়তাবাদী ও মুসলিম সাহিত্যধারার প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁর সাহিত্যচর্চা মধুসূদনের মৃত্যুর অনেক পরে শুরু হয়।
সুতরাং, বিশ্লেষণ অনুযায়ী মধুসূদন দত্তের পূর্ববর্তী গুরুত্বপূর্ণ কবি ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
উ: গ) ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের যুগান্তকারী কবিদের মধ্যে অন্যতম, যাঁর সাহিত্যকর্ম আধুনিকতার পথ প্রস্তুত করেছিল।

0
Updated: 1 day ago
কোন উপসর্গটি ভিন্নার্থে প্রযুক্ত?
Created: 1 month ago
A
উপনেতা
B
উপভোগ
C
উপগ্রহ
D
উপসাগর
উপসর্গ এবং বাংলায় এর ব্যবহার
উপসর্গ হলো এমন শব্দাংশ যা মূল শব্দের আগে বসে নতুন অর্থ তৈরি করে।
উদাহরণ:
-
উপসাগর, উপগ্রহ, উপনেতা – এখানে “উপ” ক্ষুদ্র অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
উপভোগ – এখানে “উপ” বিশেষ বা অতিরিক্ত অর্থ প্রকাশ করছে।
বাংলা ভাষায় উপসর্গ তিন ধরনের হয়:
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
বাংলা ভাষার নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। এর সংখ্যা ২১।
উদাহরণ: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
দ্রষ্টব্য: আ, সু, বি, নি এই চারটি খাঁটি বাংলা উপসর্গ তৎসম শব্দেও দেখা যায়। -
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
সংস্কৃত থেকে আগত উপসর্গকে তৎসম উপসর্গ বলা হয়।
প্রধান ২০টি তৎসম উপসর্গ:
প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ। -
বিদেশি উপসর্গ
বাংলা ভাষায় দীর্ঘ সময় ধরে প্রচলিত বিভিন্ন বিদেশি ভাষার উপসর্গ।-
আরবি: আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের
-
ফারসি: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম
-
উর্দু: হর
-
ইংরেজি: হেড, সাব, ফুল, হাফ
-
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন শব্দটি সাধু ভাষায় ব্যবহারের উপযোগী?
Created: 1 month ago
A
শুকনো
B
সাথে
C
জুতা
D
বুনো
জুতা - জুতা, সহিত - সাথে, বন্য - বুনো, শুষ্ক - শুকনো।

0
Updated: 1 month ago
সুযোগ-সুবিধা প্রার্থনা করে কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত পত্রের নাম-
Created: 4 weeks ago
A
আবেদনপত্র
B
চুক্তিপত্র
C
মানপত্র
D
স্মারকলিপি
সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছে অভাব - অভিযােগ, সমস্যা নিরসনে অথবা সুযােগ - সুবিধা প্রার্থনা করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত পত্রের নাম আবেদনপত্র।

0
Updated: 4 weeks ago