'পরিবার থেকেই শিক্ষার শুরু'-এখানে 'থেকে' শব্দের সাথে যুক্ত 'ই'-এর ব্যাকরণিক পরিচয় কী?
A
উপসর্গ
B
প্রত্যয়
C
ধাতু
D
বলক
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ব্যাকরণে শব্দ গঠনের বিভিন্ন উপাদান রয়েছে— উপসর্গ, প্রত্যয়, ধাতু এবং বলক। প্রদত্ত বাক্য ‘পরিবার থেকেই শিক্ষার শুরু’-তে ‘থেকে’ শব্দের সঙ্গে যুক্ত ‘ই’ অংশটি ব্যাকরণিকভাবে বলক হিসেবে চিহ্নিত।
বলক
-
যেসব শব্দাংশ কোনো পদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বক্তব্যকে জোরালো করে তোলে, সেগুলোকে বলক বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
‘তখনই’ শব্দের ‘ই’ এবং
-
‘এখনও’ শব্দের ‘ও’ — এ দুটি বলকের উদাহরণ।
-
উপসর্গ
-
অর্থহীন শব্দাংশ, যা অন্য শব্দের শুরুতে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে, তাকে উপসর্গ বলে।
-
উদাহরণ:
-
অজানা = অ + জানা
-
অভিযোগ = অভি + যোগ
-
বেতার = বে + তার
-
এখানে ‘অ’, ‘অভি’, এবং ‘বে’ — উপসর্গ।
-
প্রত্যয়
-
শব্দ বা ধাতুর শেষে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে প্রত্যয় বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
বাঘ + আ = বাঘা
-
দিন + ইক = দৈনিক
-
এখানে ‘আ’ ও ‘ইক’ হলো তদ্ধিত প্রত্যয়, এবং ‘বাঘা’, ‘দৈনিক’ হলো তদ্ধিতান্ত শব্দ।
-
ধাতু (ক্রিয়ামূল)
-
যে অংশ থেকে ক্রিয়াপদ উৎপন্ন হয়, তাকে ধাতু বা ক্রিয়ামূল বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
লিখ্ + আ = লিখা
-
এখানে ‘লিখ্’ হলো ধাতু, যা থেকে লিখা ক্রিয়াপদটি গঠিত।
-

0
Updated: 1 day ago
‘চর্যাপদ’ হলো-
Created: 2 weeks ago
A
একগুচ্ছ ধর্মোপদেশ
B
সাধন সংগীত
C
জীবনাচরণ পদ্ধতি
D
নীতিকথা
চর্যাপদ হলো গানের সংকলন বা সাধন সংগীত, যা বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন।
চর্যাপদ সম্পর্কে তথ্য:
-
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/গানের সংকলন।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের চর্যাগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন।
-
চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের কথা উল্লেখ রয়েছে।
-
চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতী ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন।

0
Updated: 2 weeks ago
নিচের কোন বানানটি শুদ্ধ?
Created: 1 month ago
A
নিষ্কলঙ্ক
B
নিস্কলঙ্ক
C
নিষ্কলংক
D
নিস্কলংক
উত্তর: ক) নিষ্কলঙ্ক
ব্যাখ্যা:
নিষ্কলঙ্ক শব্দটি নিঃ (ই-ধ্বনি) এবং কলঙ্ক থেকে গঠিত। নিয়ম অনুযায়ী, ই-যুক্ত বর্ণের পরে সাধারণত ষ ব্যবহৃত হয়। তাই শুদ্ধ বানান হবে নিষ্কলঙ্ক (কলঙ্কমুক্ত)।
বানানের নিয়ম:
-
বিসর্গযুক্ত অ-ধ্বনির সঙ্গে সন্ধি হলে সাধারণত 'স' যুক্ত হয়।
উদাহরণ: পুরঃ + কার = পুরস্কার -
বিসর্গযুক্ত ই-ধ্বনির সঙ্গে সন্ধি হলে সাধারণত 'ষ' যুক্ত হয়।
উদাহরণ: বহিঃ + কার = বহিষ্কার -
ই-যুক্ত বর্ণের পরে সাধারণত 'ষ' হবে।
উদাহরণ: আবিষ্কার, নিষ্কলঙ্ক, পরিষ্কার, নিষ্ফল, নিষ্প্রভ, নিষ্পাপ, নিষ্পন্ন, নিষ্কর, জ্যোতিষ্ক ইত্যাদি। -
তবে স্প / স্ত / স্থ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে 'ষ' হয় না।
উদাহরণ: নিস্পন্দ, নিস্তব্ধ, দুস্থ
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান; বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 1 month ago
‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরে নাই।’-এ বাক্যটি যে গল্পে রয়েছে তার নাম-
Created: 2 weeks ago
A
পোস্টমাস্টার
B
মেঘ ও রৌদ্র
C
জীবিত ও মৃত
D
মধ্যবৃর্তিনী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ‘জীবিত ও মৃত’ একটি বিখ্যাত ছোটগল্প, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৯২ সালে। এটি তাঁর গল্পগুচ্ছ সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। গল্পটি সাহিত্যের দুই ভিন্ন রূপকে মিলিত করেছে—অতিপ্রাকৃত কাহিনি এবং ব্যঙ্গাত্মক উপমা। তবে এটি নিখুঁত অতিপ্রাকৃত গল্প নয়; বরং জীবন ও মৃত্যুর সীমানায় মানব অস্তিত্বের রহস্যকে কেন্দ্র করে নির্মিত।
-
গল্পটির প্রধান চরিত্র কাদম্বিনী, যার অস্তিত্বকে রহস্যময় ও অতিপ্রাকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
গল্পে কাদম্বিনীকে এমন এক অবস্থায় দেখানো হয়েছে যেখানে সে জীবিত হলেও মৃত্যুর ছায়ায় আবদ্ধ, ফলে জীবনের সাথে মৃত্যুর এক অদ্ভুত সংঘাত তৈরি হয়।
-
মৃত্যুর রহস্য নিয়ে এই গল্পে যে দার্শনিক তাৎপর্য প্রকাশ পেয়েছে, তা বাংলা ছোটগল্প সাহিত্যে এক অনন্য অবদান।
-
গল্পের বিখ্যাত উক্তি হলো: ‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ছোটগল্প হলো:
-
দেনাপাওনা
-
রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা
-
যজ্ঞেশ্বর যজ্ঞ
-
অনধিকার প্রবেশ
-
ক্ষুধিত পাষাণ
-
কঙ্কাল
-
নিশীথে
-
মণিহারা

0
Updated: 1 week ago