দীনেশচন্দ্র সেন কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
A
হবিগঞ্জ
B
কিশোরগঞ্জ
C
রংপুর
D
মানিকগঞ্জ
উত্তরের বিবরণ
দীনেশচন্দ্র সেন ছিলেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে এক অগ্রগণ্য ব্যক্তিত্ব—শিক্ষাবিদ, গবেষক, লোকসাহিত্য সংগ্রাহক এবং সাহিত্য ইতিহাস রচনার পথিকৃৎ হিসেবে তিনি স্মরণীয়। তাঁর কর্মজীবন ও গবেষণা বাংলা সাহিত্যকে নতুন দিক দিয়েছে এবং জাতিসত্তা ও লোকসংস্কৃতির মূল ভিত্তি উদ্ভাসিত করেছে।
-
দীনেশচন্দ্র সেন (১৮৬৬–১৯৩৯) ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, গবেষক, লোকসাহিত্যবিশারদ ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার।
-
জন্ম: ১৮৬৬ সালের ৩ নভেম্বর, মাতুলালয়ে, মানিকগঞ্জ জেলার বগজুরি গ্রামে।
-
১৮৯৬ সালে পুথি সংগ্রহ ও পুথি পাঠ শুরু করার মধ্য দিয়ে তাঁর গবেষণা জীবনের নতুন অধ্যায় সূচিত হয়।
-
তিনি উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের আহ্বানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হন, যা তাঁর কর্মজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব।
-
১৯২০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য’ বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হলে, তিনি এর প্রথম বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১৯৩২ সাল পর্যন্ত বারো বছর এই দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেন।
-
তিনি ছিলেন একাধারে গবেষক ও সৃজনশীল লেখক, যিনি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও লোকসংস্কৃতি নিয়ে নিরলস কাজ করেছেন।
-
তাঁর গবেষণা ও সম্পাদনা বাংলা সাহিত্যকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে এবং লোকসাহিত্যকে সাহিত্য ইতিহাসে মর্যাদার স্থানে উন্নীত করেছে।
-
তাঁর সাহিত্য ও গবেষণার কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯২১ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ‘রায়বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত করে।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
-
বঙ্গ-সাহিত্য পরিচয় (দুই খণ্ড, সম্পাদনা: ১৯১৪) – বাংলা সাহিত্য ইতিহাসের অন্যতম প্রামাণ্য গ্রন্থ।
-
সরল বাঙ্গালা সাহিত্য (১৯২২) – সহজ ভাষায় সাহিত্যচর্চার দিকনির্দেশ।
-
ঘরের কথা ও যুগসাহিত্য (১৯২২) – সমকালীন সাহিত্য প্রবণতা ও সমাজচিত্র বিশ্লেষণ।
-
বৃহৎ বঙ্গ (দুই খণ্ড, ১৯৩৫) – বঙ্গসংস্কৃতির ইতিহাস ও ভৌগোলিক ঐক্যের আলোচনা।
-
আশুতোষ-স্মৃতিকথা (১৯৩৬) – শিক্ষাবিদ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের জীবন ও কর্মভিত্তিক স্মৃতিচিত্র।
-
বাংলার পুরনারী (১৯৩৯) – বাংলার ইতিহাসে নারীচরিত্র ও তাদের সমাজভূমিকায় আলোকপাত।
-
প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান (১৯৪০) – মুসলিম সাহিত্যিকদের ভূমিকা তুলে ধরার এক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাগ্রন্থ।
দীনেশচন্দ্র সেনের সাহিত্যচিন্তা ও গবেষণা বাংলা ভাষার ঐতিহ্য, বহুত্ব ও মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে। তিনি দেখিয়েছেন, বাংলা সাহিত্য কেবল প্রাজ্ঞ লেখকদের দ্বারা নয়, বরং লোকগাথা, পুথি ও মৌখিক ঐতিহ্যের মাধ্যমেও সমৃদ্ধ হয়েছে। তাঁর অবদান বাংলা সাহিত্য ইতিহাসকে প্রাতিষ্ঠানিক ও বৈজ্ঞানিক রূপ দিয়েছে।

0
Updated: 16 hours ago
'মৈমনসিংহ গীতিকা' এর ভূমিকা কে রচনা করেছেন?
Created: 1 week ago
A
চন্দ্রকুমার দে
B
দীনেশচন্দ্র সেন
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
রামরাম বসু
ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রচলিত লোকগানসমূহকে একত্রিত করে মৈমনসিংহ গীতিকা নামে পরিচিতি দেওয়া হয়। এই গীতিকা সংগ্রহ ও প্রকাশে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দীনেশচন্দ্র সেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মৈমনসিংহ নিবাসী চন্দ্রকুমার দে দীনেশচন্দ্র সেনের নির্দেশে এসব গান সংগ্রহ করেন। ১৯২৩ সালে দীনেশচন্দ্র সেনের সম্পাদনায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৈমনসিংহ গীতিকা প্রকাশিত হয়, যার ভূমিকা রচিত হয়েছে দীনেশচন্দ্র সেনের দ্বারা। মৈমনসিংহ গীতিকা বিশ্বের ২৩টি ভাষায় অনূদিত ও মুদ্রিত হয়েছে।
-
গীতিকা ও রূপকথার সংখ্যা: ১০টি
-
গীতিকা ও রূপকথাসমূহ:
-
মহুয়া
-
মলুয়া
-
চন্দ্রাবতী
-
কমলা
-
দেওয়ান ভাবনা
-
দস্যু কেনারামের পালা
-
রূপবতী
-
কঙ্ক ও লীলা
-
কাজলরেখা (রূপকথা)
-
দেওয়ান মদিনা
-

0
Updated: 1 week ago
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 2 weeks ago
A
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
ড. দীনেশচন্দ্র সেন
C
ড. সুকুমার সেন
D
ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্
'বঙ্গভাষা ও সাহিত্য' (১৮৯৬) দীনেশচন্দ্র সেন রচিত একটি সুশৃঙ্খল ও তথ্যসমৃদ্ধ ধারাবাহিক প্রথম ইতিহাসমূলক বাংলা সাহিত্যগ্রন্থ। গ্রন্থটিতে বঙ্গভাষা ও বঙ্গলিপির উৎপত্তি, সংস্কৃত-প্রাকৃত ও বাংলার সম্পর্ক, প্রাচীন বাংলা সাহিত্য, মধ্যযুগের ধর্মগোষ্ঠী এবং তাদের সাথে সাহিত্যের যোগ বিষয়গুলো মনোজ্ঞভাবে বর্ণিত হয়েছে। এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাসগ্রন্থ যেখানে সাহিত্য ও সমাজের গূঢ় সম্পর্কের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
-
দীনেশচন্দ্র সেন:
-
রায়বাহাদুর, শিক্ষাবিদ, গবেষক, লোক-সাহিত্যবিশারদ, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার
-
জন্ম: ১৮৬৬ সালের ৩ নভেম্বর, মাতুলালয়, বগজুড়ি গ্রাম, ঢাকা জেলা
-
পল্লী অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে প্রাচীন বাংলা পুঁথি ও লোককথা সংগ্রহ করেন
-
সংগৃহীত পুঁথি থেকে উপকরণ সংগ্রহ করে 'বঙ্গভাষা ও সাহিত্য' রচনা
-
গবেষণামূলক গ্রন্থ: 'বঙ্গসাহিত্য পরিচয়' (১৯১৪)
-
সম্পাদিত গ্রন্থসমূহ: 'মৈমনসিংহ-গীতিকা' (১৯২৩) ও 'পূর্ববঙ্গ গীতিকা' (১৯২৬), যা তাঁকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি প্রদান করে
-
মৃত্যু: ১৯৩৯ সালের ২০ নভেম্বর, বেহালা
-

0
Updated: 2 weeks ago
'মৈমনসিংহ গীতিকা' এর ভূমিকা কে রচনা করেছেন?
Created: 1 week ago
A
চন্দ্রকুমার দে
B
দীনেশচন্দ্র সেন
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
রামরাম বসু
ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রচলিত লোকগানসমূহকে একত্রিত করে মৈমনসিংহ গীতিকা নামে পরিচিতি দেওয়া হয়। এই গীতিকা সংগ্রহ ও প্রকাশে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দীনেশচন্দ্র সেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মৈমনসিংহ নিবাসী চন্দ্রকুমার দে দীনেশচন্দ্র সেনের নির্দেশে এসব গান সংগ্রহ করেন। ১৯২৩ সালে দীনেশচন্দ্র সেনের সম্পাদনায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৈমনসিংহ গীতিকা প্রকাশিত হয়, যার ভূমিকা রচিত হয়েছে দীনেশচন্দ্র সেনের দ্বারা। মৈমনসিংহ গীতিকা বিশ্বের ২৩টি ভাষায় অনূদিত ও মুদ্রিত হয়েছে।
-
গীতিকা ও রূপকথার সংখ্যা: ১০টি
-
গীতিকা ও রূপকথাসমূহ:
-
মহুয়া
-
মলুয়া
-
চন্দ্রাবতী
-
কমলা
-
দেওয়ান ভাবনা
-
দস্যু কেনারামের পালা
-
রূপবতী
-
কঙ্ক ও লীলা
-
কাজলরেখা (রূপকথা)
-
দেওয়ান মদিনা
-

0
Updated: 1 week ago