জাতিসংঘ কবে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে?
A
২৪ অক্টোবর, ১৯৪৫
B
২৮ নভেম্বর, ১৯৪৩
C
২৮ জানুয়ারি, ১৯৪৩
D
২৪ ডিসেম্বর, ১৯৪৫
উত্তরের বিবরণ
জাতিসংঘ ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। এই তারিখে জাতিসংঘের সনদ কার্যকর হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবস হিসেবে পালিত হয়।
জাতিসংঘ:
- বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থা হলো জাতিসংঘ।
- এটি জাতিপুঞ্জের (League of Nations) উত্তরসূরী।
- ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ সনদ কার্যকরের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ গঠিত হয়।
- ২৬ জুন ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো শহরে জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষরিত হয়।
- জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ৫১টি।
- বর্তমান সদস্য ১৯৩টি।[জুলাই - ২০২৫]
- জাতিসংঘের সর্বশেষ সদস্য: দক্ষিণ সুদান।
- বর্তমান মহাসচিব: আন্তোনিও গুতেরেস।[জুলাই - ২০২৫]
- সদর দপ্তর: ম্যানহাটন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র।
- দাপ্তরিক ভাষা ৬টি: ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, চীনা, রুশ, স্প্যানিশ এবং আরবি।
- কার্যকরী দাপ্তরিক ভাষা ২টি - ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ।
জাতিসংঘের ছয়টি মূল অঙ্গসংস্থা (Principal Organs) হলো:
→ সাধারণ পরিষদ (General Assembly),
→ নিরাপত্তা পরিষদ (Security Council),
→ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (Economic and Social Council - ECOSOC),
→ আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (International Court of Justice - ICJ),
→ অছি পরিষদ (Trusteeship Council),
→ জাতিসংঘ সচিবালয় (UN Secretariat).

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ নিচে উল্লিখিত কোন সময়ের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল?
Created: 3 months ago
A
১৯৭৮-৭৯
B
১৯৭৯-৮০
C
১৯৮০-৮১
D
১৯৮১-৮২
জাতিসংঘের ছয়টি প্রধান অঙ্গসংস্থা
-
সাধারণ পরিষদ (The General Assembly)
-
নিরাপত্তা পরিষদ (The Security Council)
-
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (The Economic and Social Council)
-
আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (The International Court of Justice)
-
অছি পরিষদ (The Trusteeship Council)
-
সচিবালয় (The Secretariat)
নিরাপত্তা পরিষদ (UN Security Council)
-
নিরাপত্তা পরিষদ ১৫টি সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত।
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী পাঁচটি পরাশক্তি এ পরিষদের স্থায়ী সদস্য।
-
এই স্থায়ী সদস্যরা হলো: চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
-
এ পাঁচটি দেশ সম্মিলিতভাবে পি-৫ (P-5) নামে পরিচিত।
-
নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশের ভিত্তিতে সাধারণ পরিষদ জাতিসংঘে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করে।
-
মহাসচিব ও আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারক নিয়োগেও নিরাপত্তা পরিষদ সুপারিশ প্রদান করে।
-
মহাসচিব নিয়োগ পায় নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশের ভিত্তিতে এবং সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে।
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও সদস্য সংখ্যা প্রসঙ্গ
-
১৯৬৩ সালে জাতিসংঘ সনদের ২৩নং অনুচ্ছেদের সংশোধনের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ১১ থেকে বৃদ্ধি করে ১৫-তে উন্নীত করা হয়, যা কার্যকর হয় ১৯৬৫ সাল থেকে।
-
অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দুই বছরের মেয়াদে।
বর্তমানে (২০২৫ পর্যন্ত) নিরাপত্তা পরিষদের দশটি অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র হলো
-
২০২৪ মেয়াদের জন্য: ইকুয়েডর, জাপান, মাল্টা, মোজাম্বিক, সুইজারল্যান্ড
-
২০২৫ মেয়াদের জন্য: আলজেরিয়া, গায়ানা, কোরিয়া, সিয়েরা লিওন, স্লোভেনিয়া
বাংলাদেশ ও নিরাপত্তা পরিষদ
-
বাংলাদেশ দুইবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
-
প্রথমবার: ১৯৭৯-১৯৮০ সালে, জাপানকে পরাজিত করে।
-
দ্বিতীয়বার: ২০০০-২০০১ সালে।
-
-
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৭৯-৮০ মেয়াদে বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদ অর্জন ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্র: UN Security Council ওয়েবসাইট

0
Updated: 3 months ago
জাতিসংঘ নামকরণ করেন -
Created: 4 days ago
A
রুজভেল্ট
B
স্টালিন
C
চার্চিল
D
দ্যা গল
জাতিসংঘ হলো বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা শান্তি প্রতিষ্ঠা, সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের বিরোধ নিষ্পত্তিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। এ সংস্থার মূল তথ্য ও ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিচে দেওয়া হলো।
জাতিসংঘ
-
জাতিসংঘ (United Nations) একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা।
-
সংস্থার সদর দফতর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত।
-
শাখা অফিস রয়েছে জেনেভা, ভিয়েনা ও নাইরোবিতে।
-
পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি স্বাধীন দেশই এর সদস্য।
-
‘United Nations’ নামটির ধারণা দেন ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট।
-
আন্তর্জাতিক উত্তেজনা হ্রাস ও বিভিন্ন রাষ্ট্রের বিরোধ মীমাংসায় জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট
-
যুক্তরাষ্ট্রের ৩২তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি এবং ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত টানা ১২ বছর ক্ষমতায় ছিলেন।
-
তিনি একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি ৪ মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
-
তার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র বিংশ শতাব্দীর দুটি বড় সংকট—গ্রেট ডিপ্রেশন ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ—অতিক্রম করে।
অতিরিক্ত তথ্য
-
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে তিনি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ‘নিউ ডিল’ (New Deal) চালু করেন, যা ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত কার্যকর ছিল।
-
৭ ডিসেম্বর ১৯৪১ সালে জাপানের পার্ল হারবার আক্রমণের পর যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।
-
তিনি ‘সৎ প্রতিবেশি নীতি’ (Good Neighbor Policy)-র প্রবক্তা ছিলেন, যা লাতিন আমেরিকান দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নয়নে পূর্বেকার হস্তক্ষেপমূলক নীতির বিকল্প হিসেবে গৃহীত হয়।
-
১৯৪২ সালের ১ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে তিনি প্রথমবারের মতো ‘United Nations’ নামটি ব্যবহার করেন।

0
Updated: 4 days ago
জাতিসংঘের কোন সংস্থা বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যকার রোহিঙ্গা বিষয়ে মধ্যস্থতা করছে?
Created: 1 month ago
A
ইউএনডিপি
B
ইউনিসেফ
C
ইউএনএইচসিআর
D
ইউনেস্কো
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর (UNHCR) বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যকার রোহিঙ্গা সংকটে প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এই সংস্থাটি ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর থেকেই কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীর মানবিক সহায়তা, নিবন্ধন, খাদ্য, চিকিৎসা, আশ্রয় এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করে আসছে।
UNHCR:
- এর পূর্ণরূপ United Nations High Commissioner for Refugees।
- জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (UNHCR) শরণার্থীদের কল্যাণ ও সুরক্ষার জন্য কাজ করে।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয় শরণার্থীদের সহায়তার লক্ষ্যে ১৯৫০ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্তে UNHCR গঠিত হয়।
- সংস্থাটির প্রধানকে হাইকমিশনার বলা হয় এবং এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত।
- শরণার্থীদের পুনর্বাসন, আশ্রয় ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী কাজ করে।
- এই মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য UNHCR দুইবার নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করে—১৯৫৪ এবং ১৯৮১ সালে।
উল্লেখ্য,
- UNHCR বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মায়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের মূল লক্ষ্য হলো রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা।
অন্যদিকে,
- ইউএনডিপি মূলত উন্নয়ন কার্যক্রমে, ইউনিসেফ শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্যে, এবং ইউনেস্কো শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে কাজ করে।

0
Updated: 1 month ago