রফিক আজাদ বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত কোন পত্রিকার সম্পাদনার সাথে যুক্ত ছিলেন?
A
শিল্পকলা
B
দোয়েল
C
ধানশালিকের দেশ
D
উত্তরাধিকার
উত্তরের বিবরণ
রফিক আজাদ আধুনিক বাংলা কবিতার এক বলিষ্ঠ কণ্ঠ, যিনি তাঁর কবিতায় বিদ্রোহ, প্রেম, জীবনবোধ ও সামাজিক প্রতিবাদের অনন্য মেলবন্ধন সৃষ্টি করেছেন। তাঁর কবিতার ভাষা যেমন প্রখর, তেমনি সংবেদনশীল ও মানবিক।
-
জন্মস্থান: টাঙ্গাইল জেলার জাহিদগঞ্জের গুণীগ্রামে।
-
তাঁর ডাকনাম ছিল ‘জীবন’।
-
কর্মজীবনে তিনি সাংবাদিকতা, শিক্ষকতা ও সরকারি চাকরিতে যুক্ত ছিলেন।
-
তিনি বাংলা একাডেমি প্রকাশিত মাসিক সাহিত্যপত্রিকা ‘উত্তরাধিকার’-এর সম্পাদক ছিলেন।
-
তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘ভাত দে হারামজাদা’, যা সমাজের নিপীড়িত মানুষের ক্ষুধা ও বঞ্চনার তীব্র প্রতিবাদকে কাব্যের রূপ দিয়েছে।
-
এই কবিতাটি সংকলিত হয়েছে তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘সীমাবদ্ধ জলে, সীমিত সবুজে’-তে।
-
তিনি ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
-
রফিক আজাদের কবিতায় স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের বাস্তবতা, হতাশা, আশাবাদ, প্রেম ও জীবনসংগ্রাম প্রাণবন্তভাবে ফুটে উঠেছে।
-
তাঁর কাব্যচর্চা বাংলা কবিতায় বাস্তবতার ভাষা ও জীবনের অপ্রসাধিত রূপ তুলে ধরেছে।
রচিত বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া
-
অসম্ভবের পায়ে
-
কোনো খেদ নেই
-
হৃদয়ের কী বা দোষ
-
সীমাবদ্ধ জলে, সীমিত সবুজে
-
প্রিয় শাড়িগুলো
-
অপর অরণ্যে
-
পরিকীর্ণ পানশালা আমার স্বদেশ
-
করো অশ্রুপাত
-
পাগলা গারদ থেকে প্রেমিকার চিঠি
রফিক আজাদের কবিতায় ভাষা ও চিন্তার মধ্যে একরকম সংঘর্ষ দেখা যায়—যেখানে তিনি কখনও কোমল অনুভূতির কবি, আবার কখনও সামাজিক বাস্তবতার নির্মম প্রতিবাদী কণ্ঠ। তাঁর কবিতা পাঠককে শুধু ভাবায় না, জাগিয়েও তোলে।

0
Updated: 16 hours ago
'স্বাক্ষর' পত্রিকার সম্পাদনার সাথে যুক্ত ছিলেন-
Created: 1 week ago
A
হুমায়ুন আজাদ
B
হাসান হাফিজুর রহমান
C
কাজী মোতাহার হোসেন
D
রফিক আজাদ
‘স্বাক্ষর’ পত্রিকা
-
‘স্বাক্ষর’ বাংলাদেশের ষাটের দশকে প্রকাশিত লিটল ম্যাগাজিনগুলোর মধ্যে একটি, যা ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল।
-
প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে।
-
প্রথম সম্পাদক ছিলেন দুই কবি: রফিক আজাদ ও সিকদার আমিনুল হক। পরবর্তীতে বিভিন্নজন সম্পাদকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যেমন ইমরুল চৌধুরী, প্রশান্ত ঘোষাল, আসাদ চৌধুরী, রণজিৎ পালচৌধুরী।
-
পত্রিকাটি সাহিত্যে প্রথাবদ্ধতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিল। লেখকরা রবীন্দ্র-রোম্যান্টিকতা, জীবনানন্দীয় প্রণয়-আকুলতা এবং সমাজবাদী মতবাদনিষ্ঠতার পাশাপাশি পাশ্চাত্য দর্শনের প্রভাবিত লেখনীধারণ করতেন।
-
যৌনতা, বিশেষ করে নাগরিক যৌনাচার, বিভিন্ন মাত্রায় তাদের সাহিত্যে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
এই কারণে ‘স্বাক্ষর’ বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্যের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

0
Updated: 1 week ago
বিখ্যাত কবিতা 'ভাত দে হারামজাদা' রচনা করেন কে?
Created: 5 days ago
A
দাউদ হায়দার
B
রফিক আজাদ
C
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
D
হুমায়ুন কবির
রফিক আজাদ টাঙ্গাইল জেলার জাহিদগঞ্জের গুণীগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম ছিল ‘জীবন’। কর্মজীবনে তিনি সাংবাদিকতা, শিক্ষকতা এবং সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘উত্তরাধিকার’ এর সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
• তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘ভাত দে হারামজাদা’, যা ‘সীমাবদ্ধ জলে, সীমিত সবুজে’ কাব্যগ্রন্থে সংকলিত।
• রফিক আজাদ ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

0
Updated: 5 days ago
রফিক আজাদ রচিত কাব্যগ্রন্থ নয় কোনটি?
Created: 16 hours ago
A
উর্বশী ও আর্টেমিস
B
সীমাবদ্ধ জলে, সীমিত সবুজে
C
চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া
D
কোনো খেদ নেই
‘উর্বশী ও আর্টেমিস’ রফিক আজাদের নয়, বরং বিষ্ণু দে-র রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ। এতে মানবসভ্যতা, প্রেম, নন্দনতত্ত্ব ও পৌরাণিক প্রতীকের সমন্বয়ে আধুনিক কাব্যচিন্তার প্রকাশ ঘটেছে। অন্যদিকে, রফিক আজাদ আধুনিক বাংলা কবিতায় বাস্তবতা, ক্ষুধা, প্রেম ও প্রতিবাদের তীব্র স্বর নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। তাঁর কবিতা সমাজ ও মানবজীবনের গভীর সত্যকে নির্ভয়ে উচ্চারণ করে।
-
রফিক আজাদ জন্মগ্রহণ করেন টাঙ্গাইল জেলার জাহিদগঞ্জের গুণীগ্রামে।
-
তাঁর ডাকনাম ছিল ‘জীবন’।
-
কর্মজীবনে তিনি সাংবাদিকতা, শিক্ষকতা ও সরকারি চাকরিতে যুক্ত ছিলেন।
-
তিনি বাংলা একাডেমি প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা ‘উত্তরাধিকার’-এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
তাঁর সবচেয়ে আলোচিত কবিতা ‘ভাত দে হারামজাদা’, যা ‘সীমাবদ্ধ জলে, সীমিত সবুজে’ কাব্যগ্রন্থে সংকলিত—এ কবিতায় ক্ষুধা ও বঞ্চনার প্রতিবাদ তীব্র কণ্ঠে প্রকাশ পেয়েছে।
-
২০১৬ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
-
রফিক আজাদের কবিতায় দেখা যায় মানুষ, মাটি, দেশ, প্রেম ও সংগ্রামের সমন্বয়, যা তাঁকে সমকালীন বাংলা কবিতায় এক স্বতন্ত্র অবস্থানে নিয়ে গেছে।
রফিক আজাদের প্রধান কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া
-
অসম্ভবের পায়ে
-
কোনো খেদ নেই
-
হৃদয়ের কী বা দোষ
-
সীমাবদ্ধ জলে, সীমিত সবুজে
-
প্রিয় শাড়িগুলো
-
অপর অরণ্যে
-
পরিকীর্ণ পানশালা আমার স্বদেশ
-
করো অশ্রুপাত
-
পাগলা গারদ থেকে প্রেমিকার চিঠি
রফিক আজাদ ছিলেন এমন এক কবি, যিনি তাঁর কবিতায় সমাজের বাস্তব মুখোমুখি হয়েছিলেন সাহসিকতার সঙ্গে। তাঁর ভাষা ছিল সরল অথচ প্রচণ্ড আবেগঘন, যা পাঠককে নাড়া দেয়।
অন্যদিকে, ‘উর্বশী ও আর্টেমিস’ বিষ্ণু দে-র একটি প্রতীকধর্মী কাব্যগ্রন্থ, যেখানে গ্রিক পৌরাণিক প্রতীক ‘আর্টেমিস’ ও ভারতীয় পৌরাণিক চরিত্র ‘উর্বশী’-এর মাধ্যমে তিনি সৌন্দর্য, প্রেম ও বুদ্ধিবৃত্তির দ্বন্দ্বকে কাব্যময়ভাবে প্রকাশ করেছেন।

0
Updated: 16 hours ago