জসীম উদ্দীন রচিত নাটক নয় কোনটি?
A
বেদের মেয়ে
B
রঙিলা নায়ের মাঝি
C
পদ্মাপাড়
D
গ্রামের মায়া
উত্তরের বিবরণ
‘রঙিলা নায়ের মাঝি’ জসীম উদ্দীনের এক জনপ্রিয় গানের সংকলন, যেখানে গ্রামীণ জীবনের সুখ-দুঃখ, প্রেম, ব্যথা, প্রকৃতি ও নদীমাতৃক বাংলার সৌন্দর্য সংগীতে রূপ পেয়েছে। এটি বাংলা লোকসংগীত ও সাহিত্য উভয় ক্ষেত্রেই এক অনন্য সংযোজন।
-
‘রঙিলা নায়ের মাঝি’ হলো জসীম উদ্দীনের রচিত গানের সংকলন, যা ১৯৩৫ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এতে কবির গীতিকবিতা ও গ্রামীণ সংগীতের ধারা একত্রে মিলিত হয়ে লোকজ অনুভূতির কবিতারূপ ধারণ করেছে।
-
সংকলনটিতে বাংলার নদী, মাঝি, পল্লীজীবন ও মানবসম্পর্কের চিত্র গভীর আবেগের সঙ্গে প্রকাশ পেয়েছে।
-
সংকলনের অন্তর্ভুক্ত গানসমূহ:
-
আজ আমার মনে ত না মানেরে
-
আমার বন্ধু বিনোদিয়ারে
-
আরে ও রঙিলা নায়ের মাঝি
-
উজান গাঙের নাইয়া
-
ও আমার গহিন গাঙের নায়া
-
ও তুই যারে আঘাত হানলিরে মনে
-
ও মোহন বাঁশী
-
নদীর কুল নাই–কিনার নাইরে
-
নিশিতে যাইও ফুলবনে
-
বাঁশরী আমার হারায়ে গিয়েছে
-
সিন্দুরের বেসাতি
-
-
এই গানগুলোতে বাংলার নদী ও নৌকার প্রতীক ব্যবহার করে কবি মানুষের মনের টানাপোড়েন ও জীবনের যাত্রাপথকে কাব্যময়ভাবে প্রকাশ করেছেন।
-
সংকলনের ভাষা সহজ, লৌকিক, তবে আবেগে ও সুরে ভরপুর, যা জসীম উদ্দীনের ‘পল্লীকবি’ পরিচয়কে আরও দৃঢ় করেছে।
-
এটি বাংলা গীতিকবিতার ইতিহাসে লোকজ ভাবধারার পুনরুজ্জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকলন হিসেবে স্বীকৃত।
জসীম উদ্দীন ছিলেন বাংলা সাহিত্য ও সংগীতজগতের এক অনন্য প্রতিভা, যিনি পল্লীজীবনের সরল সৌন্দর্য ও বেদনাকে কাব্যে অমর করে তুলেছেন।
-
প্রধান গানের সংকলন: রঙিলা নায়ের মাঝি, গাঙ্গের পাড়, জারিগান।
-
নাটক: পদ্মাপাড়, বেদের মেয়ে, মধুমালা, পল্লীবধূ, গ্রামের মায়া।
-
তাঁর রচনায় লোকসংস্কৃতি, মানবপ্রেম, প্রকৃতির রূপ ও গ্রামীণ জীবনের বাস্তবতা ফুটে উঠেছে।
-
তিনি বাংলা সাহিত্যে লোকজ অনুভূতি ও কবিতার সুরকে একীভূত করে নতুন ধারার সৃষ্টি করেন।

0
Updated: 16 hours ago
পল্লিসাহিত্যের সংগ্রাহক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন কে?
Created: 16 hours ago
A
জীবনানন্দ দাশ
B
দীনবন্ধু মিত্র
C
জসীম উদ্দীন
D
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
জসীম উদ্দীন ছিলেন বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক অমর নাম—একজন কবি, শিক্ষাবিদ, সংগীতসংগ্রাহক এবং পল্লিজীবনের অকৃত্রিম রূপকার। তাঁর লেখায় বাংলার গ্রামীণ মানুষের হাসি-কান্না, প্রেম, সংগ্রাম, লোকসংগীত ও মাটির ঘ্রাণ জীবন্ত হয়ে উঠেছে। তিনি ছিলেন এমন এক কবি, যিনি শহুরে কৃত্রিমতার বাইরে থেকে পল্লিজীবনের সৌন্দর্য ও মানবিকতাকে কাব্যে রূপ দিয়েছেন।
-
জন্ম: ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি, ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে।
-
তিনি ছিলেন কবি ও শিক্ষাবিদ।
-
কর্মজীবনের সূচনা হয় পল্লিসাহিত্যের সংগ্রাহক হিসেবে, যার মাধ্যমে তিনি লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত হন।
-
ছাত্রজীবনেই তাঁর কবিত্ব প্রতিভার প্রকাশ ঘটে, বিশেষ করে কলেজজীবনে রচিত ‘কবর’ কবিতা তাঁকে এনে দেয় বিপুল খ্যাতি।
-
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালেই এই কবিতাটি বাংলা প্রবেশিকা সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়—যা ছাত্রজীবনেই তাঁর অসামান্য সাহিত্যিক সাফল্যের নিদর্শন।
-
তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’ প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে, যা বাংলা পল্লীকাব্যের নতুন ধারা সূচনা করে।
-
তিনি লোকসংগীত সংগ্রহ ও সম্পাদনায়ও ছিলেন সক্রিয়—‘জারীগান’ (১৯৬৮) ও ‘মুর্শীদা গান’ (১৯৭৭) তাঁর সম্পাদিত দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংকলন।
-
বাংলা সাহিত্যে তিনি ‘পল্লীকবি’ হিসেবে সুপরিচিত, কারণ তাঁর কবিতায় বাংলার গ্রাম, মানুষ ও প্রকৃতি প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে।
রচিত উপন্যাস:
-
বোবা কাহিনী
রচিত কাব্যগ্রন্থ:
-
নক্সী কাঁথার মাঠ
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
মাটির কান্না
-
ভয়াবহ সেই দিনগুলিতে
-
বালুচর
-
রাখালী (প্রথম কাব্যগ্রন্থ, ১৯২৭)
-
রূপবতী
রচিত নাটক:
-
পদ্মাপাড়
-
বেদের মেয়ে
-
পল্লীবধূ
-
মধুমালা
-
গ্রামের মায়া
শিশুতোষ গ্রন্থ:
-
এক পয়সার বাঁশী
-
হাসু
-
ডালিম কুমার
ভ্রমণকাহিনি:
-
চলে মুসাফির
-
হলদে পরীর দেশ
-
যে দেশে মানুষ বড়
জসীম উদ্দীনের সাহিত্যকর্মে লোকজ সংস্কৃতি ও মানবিক বোধের অপূর্ব সংমিশ্রণ দেখা যায়। তাঁর কবিতায় পল্লীজীবনের প্রেম, দুঃখ, প্রকৃতি ও আধ্যাত্মিকতা মিলে এক নির্মল মানবতাবাদী কাব্যজগৎ সৃষ্টি করেছে।
তিনি শুধু কবি নন, ছিলেন বাংলা লোকসাহিত্য ও সংগীত ঐতিহ্যের ধারক ও রক্ষক—তাঁর রচনাবলি আজও বাঙালির মাটির গন্ধ, প্রাণের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতীক হয়ে আছে।

0
Updated: 16 hours ago
'গ্রামের মায়া' - নাটকটির রচয়িতা কে?
Created: 5 days ago
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
জীবনানন্দ দাশ
C
জসীম উদ্দীন
D
আবু ইসহাক
জসীম উদ্দীন একজন প্রখ্যাত বাঙালি কবি ও শিক্ষাবিদ। তিনি ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামের মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় পল্লিসাহিত্যের সংগ্রাহক হিসেবে।
জসীম উদ্দীন রচিত নাটক:
• পদ্মাপার
• বেদের মেয়ে
• পল্লীবধূ
• মধুমালা
• গ্রামের মায়া

0
Updated: 5 days ago
কোনটি জসীমউদ্দীনের রচনা?
Created: 1 month ago
A
গাজী মিয়ার বস্তানী
B
হাঁসুলী বাঁকের উপকথা
C
ভাওয়াল গড়ের উপাখ্যান
D
ঠাকুরবাড়ির আঙিনা
জসীমউদ্দীন
-
জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯০৩, ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে।
-
পেশা ও পরিচিতি: তিনি ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও শিক্ষাবিদ। পল্লিকবি হিসেবে বিশেষ খ্যাত।
-
সাহিত্যকর্ম:
-
একমাত্র উপন্যাস: ‘বোবা কাহিনী’।
-
বিখ্যাত গাথাকাব্য: ‘নক্সী কাঁথার মাঠ’ (১৯২৯)। এটি E.M. Millford ইংরেজিতে ‘The Field of the Embroidered Quilt’ নামে অনুবাদ করেছেন।
-
অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ: বালুচর, রূপবতী, নকশী কাঁথার মাঠ, ধানখেত, সোজন বাদিয়ার ঘাট, মাটির কান্না, মা যে জননী কান্দে।
-
আত্মকথা: জীবনকথা, স্মৃতিপট, যাদের দেখেছি, ঠাকুর বাড়ির আঙ্গিনায়।
-
শিশুতোষ সাহিত্য: ডালিমকুমার, এক পয়সার বাঁশি, হাসু।
-
নাটক: পদ্মাপার, বেদের মেয়ে, মধুমালা, পল্লীবধূ, গ্রামের মায়া।
-
-
পুরস্কার ও সম্মাননা:
-
প্রেসিডেন্টের প্রাইড অব পারফরমেন্স (১৯৫৮)
-
একুশে পদক (১৯৭৬)
-
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (মরণোত্তর, ১৯৭৮)
-
-
মৃত্যু: ১৩ মার্চ ১৯৭৬, ঢাকা।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আঞ্চলিক ও আত্মজীবনীমূলক সাহিত্য:
-
হাঁসুলী বাঁকের উপকথা – তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী – মীর মশাররফ হোসেন
-
ভাওয়াল গড়ের উপাখ্যান – আবু জাফর শামসুদ্দীন
উৎস:বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago