জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
A
১৯২৭ সালে
B
১৯৩৯ সালে
C
১৯২৯ সালে
D
১৯৪৭ সালে
উত্তরের বিবরণ
‘ঝরা পালক’ জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থ, যেখানে তাঁর কাব্যজগতের সূচনা ঘটে এক বিশেষ ভাবরীতি ও ভাষাশৈলীর মাধ্যমে। এই গ্রন্থেই তাঁর কবি সত্তার প্রথম পূর্ণ প্রকাশ দেখা যায়। কবিতাগুলিতে গ্রামবাংলার প্রকৃতি, নিসর্গ, একাকিত্ব এবং আত্মচেতনা মিলেমিশে এক অনন্য কাব্যিক জগৎ তৈরি করেছে।
-
‘ঝরা পালক’ জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থ, যা ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এতে মোট ৩৫টি কবিতা সংকলিত হয়েছে, যা কবির শুরুর দিকের চিন্তা, বেদনা ও আত্মমগ্নতার পরিচয় বহন করে।
-
ভূমিকায় কবি লিখেছিলেন: “ঝরা পালকের কতকগুলি কবিতা প্রবাসী, বঙ্গবাণী, কল্লোল, কালি-কলম, প্রগতি, বিজলি প্রভৃতি পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াছিলো। বাকিগুলি নতুন।”
-
এই কাব্যগ্রন্থে জীবনানন্দ দাশের কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের প্রভাব যেমন রয়েছে, তেমনি আছে এক নতুন ভাষারীতি, স্বকীয় বাকপ্রতিমা ও অনুভবের গভীরতা।
-
কবির কবিতায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় প্রকৃতি, নদী, পাখি, গাছপালা ও নিসর্গচিত্র জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
-
তাঁর ভাষায় একধরনের বিষণ্ণতা, আত্মঅন্বেষণ ও নান্দনিকতা প্রকাশ পায়, যা পরবর্তীতে তাঁকে আধুনিক বাংলা কবিতার পথিকৃত করে তোলে।
-
‘ঝরা পালক’-এর কবিতাগুলি মূলত আধুনিকতার সূচনা বিন্দু, যেখানে রোমান্টিকতা ও বাস্তববোধের মেলবন্ধন ঘটেছে।
জীবনানন্দ দাশ বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কবিতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি, যিনি প্রকৃতি, মানুষ ও সময়ের গভীর সম্পর্ককে অনন্য কাব্যভাষায় প্রকাশ করেছেন।
-
প্রধান কাব্যগ্রন্থ: ঝরা পালক, ধূসর পাণ্ডুলিপি, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, রূপসী বাংলা, বেলা অবেলা কালবেলা।
-
উপন্যাস: মাল্যবান, সুতীর্থ।
-
প্রবন্ধগ্রন্থ: কবিতার কথা।
-
তাঁর কবিতায় প্রকৃতির অন্তরাত্মা, সময়ের বোধ, নিঃসঙ্গতা ও অস্তিত্বের প্রশ্ন গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
জীবনানন্দ দাশের রচনাশৈলী বাংলা কবিতায় নতুন প্রতীক, ছন্দ ও দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম দিয়েছে, যা বাংলা আধুনিক কবিতার নতুন যুগের সূচনা হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 16 hours ago
'কবিতার কথা' জীবনানন্দ দাশ রচিত কোন ধরনের সাহিত্যকর্ম?
Created: 1 month ago
A
কাব্যগ্রন্থ
B
উপন্যাস
C
প্রবন্ধগ্রন্থ
D
কবিতা
‘কবিতার কথা’ প্রবন্ধগ্রন্থ
-
রচয়িতা: জীবনানন্দ দাশ
-
এটি তাঁর প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ, যা মৃত্যুর পর ১৯৬২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
-
গ্রন্থের বিখ্যাত উক্তি: “সকলেই কবি নন, কেউ কেউ কবি।”
-
প্রবন্ধগ্রন্থে জীবনানন্দ দাশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় মুদ্রিত ১৫টি প্রবন্ধ সংকলিত হয়েছে।
জীবনানন্দ দাশের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ
-
ঝরাপালক
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
বেলা অবেলা কালবেলা ইত্যাদি
জীবনানন্দ দাশের উপন্যাস
-
মাল্যবান
-
সতীর্থ
-
কল্যাণী
উৎস: বাংলাপিডিয়া এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 1 month ago
জীবনান্দ দাশের কাব্য ভাষার স্বকীয় বৈশিষ্ট্য কোনটি?
Created: 4 hours ago
A
সাধু ভাষা প্রভাবিত
B
বিশুদ্ধ চলিত ভাষার মৌখিক রুপ
C
কলকাতার উপভাষার আধিক্য
D
সাধু ও চলিত ভাষার মিশেল
জীবনানন্দ দাশের কাব্যভাষা স্বকীয় এবং স্বতন্ত্র। তাঁর কবিতায় দেখা যায় সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার মিশ্রণ, যা কবিতাকে বিশেষ সৌন্দর্য ও গভীরতা প্রদান করে।
-
জীবনানন্দ দাশ রবীন্দ্র-পরবর্তী আধুনিক কাব্যধারায় নতুন ভাব ও ভাষার সৃষ্টি করেন।
-
তাঁর কবিতায় সাধু ও চলিত ভাষার সমন্বয় দেখা যায়, যা পাঠকের মনে এক অনন্য সুর ও ছন্দ তৈরি করে।
উদাহরণ: "বনলতা সেন" কবিতা থেকে:
-
"হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে"
-
হাঁটিতেছি → সাধু ভাষার ক্রিয়াপদ
-
ধরে, পথ → চলিত ভাষার ব্যবহার
-
এভাবে সাধু ও চলিত ভাষার সংমিশ্রণ জীবনানন্দ দাশের কবিতাকে বিশেষ স্বতন্ত্রতা প্রদান করে।

0
Updated: 4 hours ago
নিচের কোনটি জীবনানন্দ দাশের প্রবন্ধ গ্রন্থ?
Created: 2 months ago
A
ধূসর পাণ্ডুলিপি
B
কবিতার কথা
C
ঝরা পালক
D
দুর্দিনের যাত্রী
জীবনানন্দ দাশের প্রবন্ধ গ্রন্হ - কবিতার কথা। ধূসর পান্ডুলিপি ও ঝরা পালক তার কাব্যগ্রন্হ। দুর্দিনের যাত্রী কাজী নজরুল ইসলামের প্রবন্ধ গ্রন্থ।

0
Updated: 2 months ago