দীনবন্ধু মিত্র রচিত সর্বশেষ নাটক কোনটি?
A
লীলাবত
B
নীল দর্পন
C
কমলে কামিনী
D
নবীন তপস্বিন
উত্তরের বিবরণ
‘কমলে কামিনী’ দীনবন্ধু মিত্রের রচিত একটি বিখ্যাত নাটক, যেখানে সমাজের অভিজাত শ্রেণির ভণ্ডামি, দুর্বলতা এবং নৈতিক অবক্ষয় বাস্তবতার আলোয় ফুটে উঠেছে। নাটকটি সমাজচিত্রের পাশাপাশি নাট্যরসের দিক থেকেও অসাধারণ।
-
‘কমলে কামিনী’ (১৮৭৩) দীনবন্ধু মিত্রের সর্বশেষ নাটক।
-
নাটকের পটভূমি কাছাড় অঞ্চল, যা সে সময়ের সমাজবাস্তবতার প্রতিফলন।
-
নাটকের চরিত্রগুলো অভিজাত বংশীয় হলেও মানসিকভাবে দুর্বল ও আত্মকেন্দ্রিক।
-
২০ ডিসেম্বর ১৮৭৩ তারিখে নাটকটি ন্যাশনাল থিয়েটারে প্রথম অভিনীত হয়, যা তখনকার নাট্যজগতে সাড়া ফেলে।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: রাজা, সমরকেতু, শশাঙ্কশেখর, গান্ধারী, সুশীলা ও সুরবালা।
-
নাটকে সমাজের অভিজাত শ্রেণির ভোগবিলাস, প্রেম, প্রতারণা ও মানবিক সংকট বাস্তবভাবে চিত্রিত হয়েছে।
-
ভাষা সহজ, সংলাপ নাটকীয়, এবং ঘটনাবিন্যাসে সমাজসংস্কারের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
-
এটি দীনবন্ধু মিত্রের নাট্যরচনায় পরিপক্বতার নিদর্শন হিসেবে গণ্য হয়।
দীনবন্ধু মিত্র বাংলা নাট্যসাহিত্যের এক অগ্রগণ্য ব্যক্তিত্ব, যিনি সমাজসংস্কার ও বাস্তবধর্মী নাট্যরচনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যকে নতুন দিক নির্দেশ করেছেন।
-
জন্ম: ১৮৩০ সালে নদীয়া জেলায়।
-
সাহিত্যজীবনের শুরু কবিতা লেখার মাধ্যমে, এবং ঈশ্বর গুপ্তের অনুপ্রেরণায় তিনি কবিতা রচনা করেন।
-
পরবর্তীতে তিনি নাট্যকার রূপে সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন।
-
সমাজের অসঙ্গতি, বিশেষত ইংরেজি শিক্ষিত যুবকদের নৈতিক অবক্ষয় ও বিলাসিতাকে ব্যঙ্গ করে তিনি রচনা করেন বিখ্যাত প্রহসন ‘সধবার একাদশী’।
-
উল্লেখযোগ্য নাটক: নীল দর্পণ, নবীন তপস্বিনী, লীলাবতী, কমলে কামিনী।
-
প্রহসনসমূহ: সধবার একাদশী, বিয়ে পাগলা বুড়ো, জামাই বারিক।
-
তাঁর নাটকে সমাজবাস্তবতা, সংলাপের প্রাণবন্ততা ও চরিত্রচিত্রণের দক্ষতা একত্রে মিলিত হয়েছে।
-
‘নীল দর্পণ’ নাটকের মাধ্যমে তিনি ব্রিটিশ শাসনের অন্যায় ও নীলচাষিদের দুর্দশা তুলে ধরে সমাজে গভীর আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
-
তাঁর সাহিত্যকর্মে সাহসিকতা, বাস্তবতা ও মানবিক বোধের মেলবন্ধন পরিলক্ষিত হয়, যা তাঁকে বাংলা নাট্যজগতের ইতিহাসে অমর করে রেখেছে।

0
Updated: 16 hours ago
দীনবন্ধু মিত্রের প্রহসন নয় কোনটি?
Created: 1 week ago
A
সধবার একাদশী
B
বিয়ে পাগলা বুড়ো
C
বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ
D
কোনোটিই নয়
'বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ' মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত একটি প্রহসন।
দীনবন্ধু মিত্র ছিলেন একজন প্রখ্যাত নাট্যকার, যিনি বাংলার নাট্যসাহিত্যে বিশেষ অবদান রেখেছেন। ১৮৩০ সালে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামে দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কলেজে পড়ার সময় তিনি ঈশ্বর গুপ্তের সংস্পর্শে এসে সংবাদ প্রভাকর, সাধুরঞ্জন প্রভৃতি পত্রিকায় কবিতা লিখতে শুরু করেন। তবে মূলত নাটক ও প্রহসন রচনায় তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর শ্রেষ্ঠ নাটক ও রচনা হলো 'নীলদর্পণ'।
-
উল্লেখযোগ্য প্রহসন:
-
বিয়ে পাগলা বুড়ো
-
সধবার একাদশী
-
জামাই বরিক
-

0
Updated: 1 week ago
দীনবন্ধু মিত্রের প্রহসন কোনটি?
Created: 2 months ago
A
বুড় শালিকের ঘাড়ে রোঁ
B
বিয়ে পাগলা বুড়ো
C
কিঞ্চিত জলযোগ
D
কল্কি অবতার
বিয়ে পাগলা বুড়ো
‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’ হচ্ছে দীনবন্ধু মিত্রের রচিত একটি প্রহসন নাটক, যা হাস্যরসাত্মক ধারার। বাংলা সাহিত্যে এটি একটি জনপ্রিয় নাটক। বিখ্যাত সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন যে, এই নাটকটি কোনো জীবিত ব্যক্তির চরিত্রকে লক্ষ্য করে রচিত হয়েছে।
১৮৭২ সালে প্রথমবার এই নাটক মঞ্চস্থ হয়। নাটকের প্রধান চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছেন—নসিরাম, রতা, রাজীব, রাজমণি, কেশব ও বৈকুণ্ঠ।
অন্যদিকে,
-
মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনা ‘বুড় শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ ও
-
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কিঞ্চিৎ জলযোগ’
-
এবং দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘কল্কি অবতার’— এগুলোও উল্লেখযোগ্য প্রহসন নাটক।
দীনবন্ধু মিত্র সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয়
দীনবন্ধু মিত্র (১৮৩০–১৮৭৩) ছিলেন একজন প্রতিভাবান নাট্যকার। তিনি নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং পিতৃদত্ত নাম ছিল গন্ধর্বনারায়ণ।
কলেজ জীবনে তিনি ঈশ্বর গুপ্তের প্রভাবে ‘সংবাদ প্রভাকর’, ‘সাধুরঞ্জন’সহ বিভিন্ন পত্রিকায় কবিতা প্রকাশ শুরু করেন, তবে নাটক ও প্রহসনে তার খ্যাতি সর্বাধিক।
তার উল্লেখযোগ্য রচনা সমূহ:
-
‘নীলদর্পণ’ (১৮৬০) — যা তার শ্রেষ্ঠ নাটক হিসেবে বিবেচিত, এতে সমকালের নীলচাষিদের শোষণ ও শাসকদের পক্ষপাতিত্বের চিত্রায়ন করা হয়েছে। এই নাটক সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং কৃষকদের বিদ্রোহকে উৎসাহিত করেছিল।
-
‘নবীন তপস্বিনী’ (১৮৬৩) — এই নাটকে দুটি ভিন্ন গল্পের মিশ্রণ রয়েছে, যদিও পুরোপুরি সমন্বিত নয়।
-
‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’ (১৮৬৬) — বাস্তব ঘটনার অনুপ্রেরণায় রচিত একটি প্রহসন।
-
‘লীলাবতী’ (১৮৬৭) — নাটকটি ততটা সাফল্য পায়নি।
-
‘কমলে কামিনী’ (১৮৮৩) — তার শেষ রচনা, যা রোমান্টিক নাটক হিসেবে স্বীকৃত।
সূত্র
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহাবুবুল আলম
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
কোনটি দীনবন্ধু মিত্রের রচনা?
Created: 2 months ago
A
কমলে কামিনী
B
চক্ষুদান
C
বিধবা বিবাহ
D
ভদ্রার্জুন
‘কমলে কামিনী' নাটক
- ‘কমলে কামিনী' (১৮৭৩) দীনবন্ধু মিত্রের সর্বশেষ নাটক।
- এই নাটকের পটভূমি কাছাড় অঞ্চল। চরিত্রগুলি সবই অভিজাত বংশীয় তবে দুর্বল।
- ২০ শে ডিসেম্বর ১৮৭৩ তারিখে নাটকটি ন্যাশনাল থিয়েটারে সর্বপ্রথম অভিনীত হয়।
তাঁর উল্লেখযােগ্য চরিত্র:
- রাজা,
- সমরকেতু,
- শশাঙ্কশেখর,
- গান্ধারী,
- সুশীলা,
- সুরবালা।
অন্যদিকে,
- ‘চক্ষুদান’ প্রহসনটির রচয়িতা রামনারায়ণ তর্করত্ন।
- তারাচরণ শিকদার রচিত ‘ভদ্রার্জুন’ নামক মৌলিক নাটকটি ১৮৫২ সালে প্রকাশিত হয়। ‘ভদ্রার্জুন’ ইংরেজি ও সংস্কৃতের যুক্ত আদর্শে রচিত প্রথম মৌলিক মধুরান্তিক বাংলা নাটক।
--------------------------
• দীনবন্ধু মিত্র:
- রায়বাহাদুর দীনবন্ধু মিত্র একজন নাট্যকার ছিলেন।
- ১৮৩০ সালে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর পিতৃদত্ত নাম গন্ধর্বনারায়ণ।
- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের অনুপ্রেরণায় কবিতা লিখতেন।
- তিনি কলেজে পড়ার সময়ই ঈশ্বর গুপ্তের সংস্পর্শে গিয়ে সংবাদ প্রভাকর, সাধুরঞ্জন প্রভৃতি পত্রিকায় কবিতা লিখতে শুরু করেন।
- তবে নাটক ও প্রহসন লিখেই তিনি সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন।
- নীলদর্পণ তাঁর শ্রেষ্ঠ নাটক এবং শ্রেষ্ঠ রচনাও।
দীনবন্ধু মিত্রের কাব্যগ্রন্থ:
- দ্বাদশ কবিতা ও
- সুরধুনী কাব্য।
দীনবন্ধু মিত্র রচিত প্রহসন:
- সধবার একাদশী,
- বিয়ে পাগলা বুড়ো ও
- জামাই বারিক।
নাটক:
- লীলাবতী,
- নবীন তপস্বিনী,
- কমলে কামিনী।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago