মূর্ধন্য ব্যঞ্জন ধ্বনির উদাহরণ কোনটি?
A
স
B
ঠ
C
প
D
থ
উত্তরের বিবরণ
ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণস্থল অনুসারে বিভিন্ন প্রকার ভাগ করা হয়। উচ্চারণের সময় জিহ্বা, ঠোঁট, দাঁত বা তালুর অবস্থান অনুযায়ী ধ্বনিগুলোর নাম নির্ধারিত হয়।
• মূর্ধন্য ব্যঞ্জন:
যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বার ডগা দন্তমূল ও তালুর মাঝখানের উঁচু অংশে (মূর্ধায়) স্পর্শ করে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে, সেগুলোকে মূর্ধন্য ব্যঞ্জন বলে।
উদাহরণ: ট, ঠ, ড, ঢ, ড়, ঢ়।
• দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন:
যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বার ডগা উপরের দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে, সেগুলো দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন নামে পরিচিত।
উদাহরণ: ন, র, ল, স।
• ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন:
যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় দুই ঠোঁট কাছাকাছি এসে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে, সেগুলোকে ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন বলে।
এগুলোকে দ্বি-ওষ্ঠ্য ধ্বনি নামেও ডাকা হয়।
উদাহরণ: প, ফ, ব, ভ, ম।
• দন্ত্য ব্যঞ্জন:
যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বার ডগা উপরের দাঁতে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে, সেগুলো দন্ত্য ব্যঞ্জন নামে পরিচিত।
উদাহরণ: ত, থ, দ, ধ।

0
Updated: 17 hours ago
ব্যঞ্জনদ্বিত্বের উদাহরণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পদ্ম > পদ্দ
B
জন্ম > জন্ম
C
সকাল > সক্কাল
D
লগ্ন > লগ্গ
দ্বিত্ব ব্যঞ্জন বা ব্যঞ্জনদ্বিত্ব
সংজ্ঞা:
কখনো কখনো জোর বা গুরুত্ব দেওয়ার জন্য শব্দের ভেতরে থাকা কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি দ্বিত্ব (একই ব্যঞ্জনের পুনরাবৃত্ত) আকারে উচ্চারিত হয়। একে দ্বিত্ব ব্যঞ্জন বা ব্যঞ্জনদ্বিত্ব বলা হয়।
উদাহরণ:
-
পাকা → পাক্কা
-
সকাল → সক্কাল
সমীভবন
সংজ্ঞা:
কোনো শব্দে পাশাপাশি দুটি ভিন্ন ধ্বনি একে অপরের প্রভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে সমান হয়ে যায়। একে সমীভবন বলে।
উদাহরণ:
-
জন্ম → জন্ম
-
পদ্ম → পদ্দ
-
লগ্ন → লগ্গ

0
Updated: 1 month ago
প্রকৃত বাংলা ব্যঞ্জনসন্ধি কোন নিয়মে হয়ে থাকে?
Created: 1 week ago
A
সমীভবন
B
বিষমীভবন
C
অপিনিহিতি
D
অসমীকরণ
শব্দের মধ্যে পাশাপাশি অবস্থিত দুটি পৃথক ব্যঞ্জনধ্বনি যখন একে অপরের প্রভাবে বা উভয় উভয়ের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়ে দুটি একই ব্যঞ্জনে পরিণত হয় অথবা উচ্চারণগত সমতা লাভ করে, তবে সেই ধ্বনি পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে বলে সমীভবন।

0
Updated: 1 week ago
’চলচ্চিত্র’ কোন নিয়মে ব্যঞ্জনসন্ধি?
Created: 2 weeks ago
A
স্বর + ব্যঞ্জন
B
ব্যঞ্জন + স্বর
C
ব্যঞ্জন + ব্যঞ্জন
D
স্বর + স্বর
ব্যঞ্জনসন্ধি হলো স্বরে-ব্যঞ্জনে, ব্যঞ্জনে-স্বরে এবং ব্যঞ্জনে-ব্যঞ্জনে সংঘটিত সন্ধি। বিশেষত ব্যঞ্জন + ব্যঞ্জনের যোগে যখন একটি ধ্বনির প্রভাবে পার্শ্ববর্তী ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে যায়, তখন তাকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলা হয়।
-
চলৎ + চিত্র = চলচ্চিত্র (এখানে চ ধ্বনির প্রভাবে ত → চ হয়েছে)
-
বিপদ্ + জনক = বিপজ্জনক (এখানে জ ধ্বনির প্রভাবে দ → জ হয়েছে)
-
উৎ + শ্বাস = উচ্ছ্বাস (এখানে শ ধ্বনির প্রভাবে ত → চ হয়েছে)
-
উৎ + শৃঙ্খল = উচ্ছৃঙ্খল (ত → চ, শ → ছ হয়েছে)
-
সত্ + গুণ = সজ্জন (এখানে গ ধ্বনির প্রভাবে ত → জ হয়েছে)
-
তৎ + সাধন = তৎসাধন (এখানে ব্যঞ্জন যুক্ত হলেও মূল ধ্বনি রক্ষিত হয়েছে)
ব্যঞ্জনসন্ধিতে মূলত ধ্বনি পরিবর্তন, ধ্বনি সংযোগ ও উচ্চারণের সুবিধা অর্জিত হয়। এটি বাংলা ধ্বনিতত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

0
Updated: 2 weeks ago