বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে গ্রেপ্তার ও আটক বিষয়ে নাগরিকের রক্ষাকবচ উল্লেখ রয়েছে?
A
৩৫ নং অনুচ্ছেদ
B
৩৪ নং অনুচ্ছেদ
C
৩৩ নং অনুচ্ছেদ
D
৩২ নং অনুচ্ছেদ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে গ্রেপ্তার ও আটক সংক্রান্ত রক্ষাকবচ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে কোনো ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার বা আটক করা না যায়। এই বিধান অনুচ্ছেদ ৩৩-এ বর্ণিত হয়েছে, যা ব্যক্তি-স্বাধীনতা ও আইনি সুরক্ষার অন্যতম ভিত্তি।
মূল তথ্যসমূহ:
-
অনুচ্ছেদ ৩৩: গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ
-
(১) কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর যথাসম্ভব দ্রুত গ্রেপ্তারের কারণ জানানো ছাড়া প্রহরায় আটক রাখা যাবে না।
-
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে তাঁর মনোনীত আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করার এবং তাঁর মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
-
(২) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা আবশ্যক (গ্রেপ্তারের স্থান থেকে আদালতে পৌঁছানোর প্রয়োজনীয় সময় ব্যতীত)।
-
ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতীত তাকে ২৪ ঘণ্টার বেশি প্রহরায় আটক রাখা যাবে না।
-
(৩) এই রক্ষাকবচ প্রযোজ্য নয়—
-
(ক) যে ব্যক্তি বর্তমানে বিদেশী শত্রু, অথবা
-
(খ) যিনি নিবর্তনমূলক আটক সংক্রান্ত আইনের অধীনে গ্রেপ্তার বা আটক হয়েছেন।
-
-
সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অনুচ্ছেদ:
-
অনুচ্ছেদ ৩২: জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ।
-
অনুচ্ছেদ ৩৪: জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরণ।
-
অনুচ্ছেদ ৩৫: বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ।

0
Updated: 19 hours ago
বাংলাদেশের সংবিধানের নাম কি?
Created: 2 months ago
A
বাংলাদেশের সংবিধান
B
বাংলাদেশের সাংবিধানিক বিধিমালা
C
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান
D
প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ সংবিধান
বাংলাদেশের সংবিধান
⇒ বাংলাদেশের সংবিধানের নাম হলো "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"।
-
সংবিধান হলো একটি দেশের মূল আইন, যেটি দেশের শাসনব্যবস্থা, নাগরিকদের অধিকার ও দায়িত্ব, এবং সরকারের কাঠামো নির্ধারণ করে।
-
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতা লাভ করে। এরপর ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ দেশের জন্য একটি সংবিধান তৈরির কাজ শুরু হয়।
-
এই লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল ৪০৩ সদস্য নিয়ে একটি গণপরিষদ গঠিত হয় এবং এদের মধ্য থেকে ৩৪ জনের একটি কমিটি গঠন করে সংবিধানের খসড়া তৈরি করা হয়।
-
১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর এই খসড়া গণপরিষদে উপস্থাপন করা হয় এবং পঠন শেষে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়।
-
তখন দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী।
⇒ বাংলাদেশের প্রথম হস্তলিখিত সংবিধান ছিল মোট ১০৯ পাতার, যার মধ্যে মূল লেখা ছিল ৯৩ পৃষ্ঠায়।
-
এটি হাতে লিখেছিলেন শিল্পী আব্দুর রউফ এবং অঙ্গসজ্জা করেছিলেন বিখ্যাত শিল্পী জয়নুল আবেদীন।
-
সংবিধানের প্রচ্ছদে শীতলপাটির উপর লেখা ছিল "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"।
-
গণপরিষদের ৩৯৯ জন সদস্য এই মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেছিলেন।
⇒ সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো:
-
মোট অনুচ্ছেদ: ১৫৩টি
-
ভাগ: ১১টি
-
তফসিল: ৭টি
-
প্রস্তাবনা: ১টি
-
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি: ৪টি — জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা
-
এখন পর্যন্ত সংবিধান ১৭ বার সংশোধিত হয়েছে।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের সংবিধানের ২১(২) ধারায় বলা হয়েছে ''সকল সময়ে ____ চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য।'' শূন্যস্থান পূরণ করুন।
Created: 3 months ago
A
জনগণের সেবা করিবার
B
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করিবার
C
সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করিবার
D
সংবিধানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করিবার
বাংলাদেশের সংবিধানের ২১ নং অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে নাগরিক এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিদের কর্তব্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এই অনুচ্ছেদ দুটি উপ-অনুচ্ছেদের মাধ্যমে দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
২১ (১) অনুচ্ছেদ:
প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সংবিধান ও আইন মেনে চলা একটি বাধ্যতামূলক দায়িত্ব। এছাড়াও, শৃঙ্খলা রক্ষা, নাগরিক দায়বদ্ধতা পালন এবং জাতীয় সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করাও নাগরিকদের নৈতিক ও আইনগত কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত।
◉ ২১ (২) অনুচ্ছেদ:
প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিরা—যেমন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা—সব সময় জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকার চেষ্টা করবেন। জনগণের কল্যাণ সাধনই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
এই ধারাগুলোতে নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের মধ্যে দায়িত্বশীলতা, আইন মেনে চলা এবং সেবার মানসিকতা বজায় রাখার গুরুত্ব অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
উৎস: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 3 months ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান মতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগের মেয়াদকাল-
Created: 1 month ago
A
৩ বছর
B
৪ বছর
C
৫ বছর
D
৬ বছর
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী (সপ্তম ভাগ, অনুচ্ছেদ ১১৮) দেশটির নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থা হলো বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
-
কমিশনের প্রধানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলা হয়।
-
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পাশাপাশি সর্বোচ্চ চারজন নির্বাচন কমিশনার থাকেন।
-
একাধিক কমিশনার থাকলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
সংবিধান অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের মেয়াদ ৫ বছর, যা তাদের দায়িত্ব নেওয়ার তারিখ থেকে গণ্য হবে।
তথ্যসূত্র: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago