‘জোহরা’ মুনীর চৌধুরী রচিত কোন নাটকের চরিত্র?
A
দণ্ডকারণ্য
B
চিঠি
C
রক্তাক্ত প্রান্তর
D
কবর
উত্তরের বিবরণ
বাংলা নাট্যসাহিত্যে মুনীর চৌধুরী ছিলেন এক বিশিষ্ট নাট্যকার, যিনি বাস্তবতা, ইতিহাস ও মানবচেতনার সমন্বয়ে নাট্যরচনা করেছেন। তাঁর প্রথম পূর্ণাঙ্গ নাটক ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ ইতিহাসনির্ভর হলেও এতে মানবজীবনের পরিবর্তন ও সংগ্রামের গভীর দার্শনিক তাৎপর্য ফুটে উঠেছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ মুনীর চৌধুরী রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটক।
-
নাটকটি রচিত হয়েছে মহাকবি কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ গ্রন্থের কাহিনির অবলম্বনে।
-
এটি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের (১৭৬১) ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচিত তিন অঙ্ক বিশিষ্ট নাটক।
-
যদিও এতে ঐতিহাসিক পটভূমি ব্যবহৃত হয়েছে, এটি ঐতিহাসিক নাটক নয়, বরং ইতিহাস-আশ্রিত নাটক।
-
নাটকের জনপ্রিয় সংলাপ—“মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়।”
উক্তিটি নাটকের চরিত্র নবাব সুজাউদ্দৌলা-র মুখে বলা হয়েছে। -
নাটকের উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ: ইব্রাহিম কার্দি, জোহরা, হিরণবালা প্রমুখ।
মুনীর চৌধুরী সম্পর্কে তথ্য:
-
মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বাগ্মী।
-
তিনি ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি শিক্ষা ও পেশাগত জীবনে বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
মুনীর চৌধুরীর অন্যান্য মৌলিক নাটক:
-
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
চিঠি
-
কবর
-
দণ্ডকারণ্য

0
Updated: 20 hours ago
পুঁথি সাহিত্যের আদি ও শ্রেষ্ঠ কবি কে?
Created: 4 weeks ago
A
শাহ মুহম্মদ সগীর
B
ফকির গরিবুল্লাহ
C
আলাওল
D
সৈয়দ হামজা
ফকির গরীবুল্লাহ এবং পুঁথি সাহিত্য
-
পুঁথি সাহিত্যের প্রথম, শ্রেষ্ঠ ও সার্থক কবি: ফকির গরীবুল্লাহ
-
জীবনকাল: আনুমানিক ১৬৮০–১৭৭০
-
অবদান: ‘আমীর হামজা’ রচনা করে বাংলা পুঁথি সাহিত্যের সূচনা
পুঁথি সাহিত্য:
-
আঠারো থেকে উনিশ শতক পর্যন্ত বিস্তৃত, বাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ ধারা
-
ভাষার মিশ্রণ: আরবি, উর্দু, ফারসি ও হিন্দি
-
মূলত মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে রচিত এবং পাঠকও মুসলমান সম্প্রদায়
-
দোভাষী পুঁথি বা পুঁথি সাহিত্যের প্রাচীনতম ও সার্থক কবি: ফকির গরীবুল্লাহ
-
মর্সিয়া সাহিত্যের আদি কবি: শেখ ফয়জুল্লাহ
ফকির গরীবুল্লাহ রচিত কাব্যসমূহ:
-
আমীর হামজা (প্রথম অংশ)
-
সোনাভান
-
জঙ্গনামা
-
সত্যপীরের পুঁথি
-
ইউসুফ জোলেখা
-
বিশেষ উল্লেখ: ফকির গরীবুল্লাহ না থাকলে উত্তর হবে সৈয়দ হামজা।

0
Updated: 4 weeks ago
'লাইলী মজনু' কাব্যের মূল উপাখ্যান কোন দেশের?
Created: 1 month ago
A
পাকিস্থান
B
ইরান
C
ইরাক
D
শামদেশ
লায়লী মজনু
-
লায়লী মজনু কাব্যের রচয়িতা দৌলত উজির বাহরাম খান।
-
রচনাকাল নিয়ে মতভেদ রয়েছে—আহমদ শরীফের মতে ১৫৪৩-১৫৫৩ সালের মধ্যে, আর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে ১৬৬৯ খ্রিষ্টাব্দে রচিত।
-
এটি পারস্যের কবি জামি-এর লায়লী ওয়া মজনুন কাব্যের ভাবানুবাদ।
-
কাব্যের উপাখ্যানের দেশ ইরান।
-
এতে আধ্যাত্মিকতার তুলনায় মানবিক প্রবৃত্তি বেশি প্রাধান্য পেয়েছে।
-
কাহিনির প্রধান চরিত্র আমিরপুত্র কায়েশ ও বণিককন্যা লায়লী।

0
Updated: 1 month ago
'রাজবন্দীর রোজনামচা' স্মৃতিকথার রচয়িতা কে?
Created: 3 weeks ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
জহির রায়হান
C
শহীদুল্লাহ কায়সার
D
শেখ মুজিবুর রহমান
শহীদুল্লাহ কায়সার
-
জন্ম: ফেনী জেলার মজুপুর গ্রামে
-
প্রকৃত নাম: আবু নঈম মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ
-
পেশা: লেখক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী
স্মৃতিকথা:
-
রাজবন্দীর রোজনামচা (প্রকাশিত: ১৯৬২)
উপন্যাস:
-
সারেং বৌ
-
সংশপ্তক
-
কৃষ্ণচূড়া মেঘ
-
তিমির বলয়
-
দিগন্তে ফুলের আগুন
-
সমুদ্র ও তৃষ্ণা
-
চন্দ্রভানের কন্যা
-
কবে পোহাবে বিভাবরী (অসমাপ্ত)
ভ্রমণবৃত্তান্ত:
-
পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ
উল্লেখ্য:
-
রাজবন্দীর জবানবন্দী – কাজী নজরুল ইসলাম
-
শয়তানের জবানবন্দি – আরজ আলী মাতুব্বর
-
কারাগারের রোজনামোচা – শেখ মুজিবর রহমান

0
Updated: 3 weeks ago