‘পলাশীর যুদ্ধ’ কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কে?
A
বিষ্ণু দে
B
নবীনচন্দ্র সেন
C
নুরুল মোমেন
D
বিজন ভট্টাচার্য
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যে ঐতিহাসিক আখ্যানকাব্যের অন্যতম প্রবর্তক ছিলেন নবীনচন্দ্র সেন। তাঁর কাব্যে দেশপ্রেম, ইতিহাসচেতনা ও নৈতিক বোধ একত্রে প্রকাশ পেয়েছে। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ তাঁর বিখ্যাত কাব্য ‘পলাশীর যুদ্ধ’, যা বাংলার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়কে সাহিত্যরূপে উপস্থাপন করেছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
‘পলাশীর যুদ্ধ’ নবীনচন্দ্র সেন রচিত একটি ঐতিহাসিক আখ্যানকাব্য।
-
এটি ১৮৭৫ সালে প্রকাশিত হয়।
-
কাব্যটি প্রকাশের পর ব্রিটিশ সরকারের রোষানলে পড়েন নবীনচন্দ্র সেন, কারণ এতে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবোধ ও ঐতিহাসিক সত্যের প্রকাশ ছিল।
নবীনচন্দ্র সেন সম্পর্কে তথ্য:
-
তিনি ১৮৪৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের নোয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
শিক্ষাজীবন শুরু করেন চট্টগ্রাম স্কুলে, পরে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফ.এ. (১৮৬৫) এবং জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশন (বর্তমান স্কটিশ চার্চ কলেজ) থেকে বি.এ. (১৮৬৮) ডিগ্রি অর্জন করেন।
-
তিনি ১৯০৯ সালের ২৩ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
অবকাশরঞ্জিনী
-
পলাশীর যুদ্ধ
-
রৈবতক
-
কুরুক্ষেত্র
-
প্রভাস
-
অমৃতাভ

0
Updated: 19 hours ago
বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য সংকলন 'চর্যাপদ' -এর আবিষ্কারক-
Created: 3 months ago
A
ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
B
ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
ডক্টর সুকুমার সেন
চর্যাপদ বাংলা ভাষার সর্বপ্রথম কাব্যগ্রন্থ হিসেবে পরিচিত। এটি কেবল বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন নয়, বরং এটি গানের সংকলন হিসেবেও বিবেচিত হয়। চর্যাপদের ভাষা প্রাচীন, রূপান্তরমান (আর্ন্ধবঙ্গীয় প্রাকৃতঘেঁষা) এবং এর মূল উপজীব্য ছিল বৌদ্ধ সহজিয়া সাধনার দার্শনিক ও গূঢ় ভাবধারা।
আবিষ্কার ও গুরুত্ব
১৯০৭ সালে বিশিষ্ট পণ্ডিত ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবার লাইব্রেরি থেকে চর্যাপদের পাণ্ডুলিপি আবিষ্কার করেন।
-
এই পাণ্ডুলিপি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।
পদকর্তা ও সংখ্যা
চর্যাপদে বৌদ্ধ সহজিয়াগণ বিভিন্ন গূঢ় তত্ত্ব তুলে ধরেছেন কবিতার মাধ্যমে।
-
ড. সুকুমার সেন তাঁর ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড)’ গ্রন্থে ২৪ জন পদকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর মতে চর্যাপদের মোট পদ সংখ্যা ৫১টি, যদিও তিনি নিজের রচিত ‘চর্যাগীতি পদাবলী’ গ্রন্থে ৫০টি পদের উল্লেখ করেন এবং আলোচনা অংশে মুনিদত্তের ৫০টি ব্যাখ্যার কথাও বলেন।
-
অপরদিকে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ তাঁর সম্পাদিত ‘Buddhist Mystic Songs’ গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম এবং ৫০টি পদের কথা উল্লেখ করেন।
অনুবাদ ও ব্যাখ্যা
চর্যাপদের তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
সংস্কৃত ভাষায় চর্যাপদের ব্যাখ্যা করেন মুনিদত্ত। তবে তিনি ১১ নম্বর পদের ব্যাখ্যা করেননি।
চর্যাপদ কেবল বাংলা ভাষার শুরুর ধাপেই একটি সাহিত্যিক চিহ্ন নয়, এটি বাঙালির আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক ঐতিহ্যের প্রাচীন প্রমাণও বটে। বৌদ্ধ সহজিয়া সাধনার গভীর অন্তর্দৃষ্টি এই পদগুলোর মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে, যা বাংলা সাহিত্যের গর্ব ও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – মাহবুবুল আলম
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 months ago
’ক্রন্দসী’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 2 weeks ago
A
সুকান্ত ভট্টাচার্য
B
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
C
হুমায়ুন কবির
D
হুমায়ুন আজাদ
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন কবি, প্রাবন্ধিক এবং পত্রিকা সম্পাদক। তিনি ১৯০১ সালের ৩০ অক্টোবর কলকাতার হাতীবাগানে জন্মগ্রহণ করেন। ত্রৈমাসিক পরিচয় পত্রিকা সম্পাদনার মাধ্যমে তিনি সাহিত্যজগতে স্থায়ী আসন লাভ করেন। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন ত্রিশের দশকের রবীন্দ্রকাব্যধারার বিরোধী খ্যাতিমান কবিদের একজন। তিনি ফরাসি কবি মালার্মের প্রতীকী কাব্যাদর্শ অনুসরণ করেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ তন্বী তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করেছিলেন। ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য, মননশীলতা ও নাগরিক বৈদগ্ধ্য তাঁর কাব্যের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। বাংলা কবিতায় দর্শনচিন্তার নান্দনিক প্রকাশ ঘটানো এবং বাংলা গদ্যের আধুনিক রূপপ্রবর্তনের কৃতিত্বও তাঁর। তিনি ১৯৬০ সালে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ
-
তন্বী
-
অর্কেষ্ট্রা
-
ক্রন্দসী
-
উত্তরফাল্গুনী
-
সংবর্ত
-
প্রতিদিন
-
দশমী
তাঁর রচিত অনুবাদ-কাব্যগ্রন্থ
-
প্রতিধ্বনি

0
Updated: 2 weeks ago
কোন সাহিত্যিক 'গণমানুষের কবি' হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন?
Created: 2 weeks ago
A
আবুল ফজল
B
রফিক আজাদ
C
দিলওয়ার
D
আহসান হাবীব
কবি দিলওয়ার – গণমানুষের কবি
-
কবি দিলওয়ারকে ‘গণমানুষের কবি’ হিসেবে খ্যাতি লাভ 1977 সালের ৭ মার্চ, যখন সিলেটে তাকে এক নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
-
সংবর্ধনায় পড়া মানপত্রে উল্লেখ ছিল, ‘গণমানুষের কবি’ দিলওয়ারকে সিলেটের মানুষ অভিনন্দন জানাচ্ছে স্বদেশ, স্বজাতি ও বিশ্বমানবের মঙ্গল কামনাকে অঙ্গীকার করে তাঁর ‘আবাল্য কাব্যসাধনার’ জন্য।
-
সেই দিন থেকে ‘গণমানুষের কবি’ অভিধাটি তার নামের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যায়।
দিলওয়ারের তথ্য:
-
জন্ম: ১৯৩৭ সালে সিলেটে
-
প্রকৃত নাম: দিলওয়ার খান
কবিতা গ্রন্থ:
-
জিজ্ঞাসা
-
ঐকতান
-
উদ্ভিন্ন উল্লাস
-
রক্তে আমার অনাদি অস্থ

0
Updated: 2 weeks ago