'কুঁচবরণ কন্যা' শিশুতোষ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
A
প্রমথ চৌধুরী
B
মদনমোহন তর্কালঙ্কার
C
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
D
বন্দে আলী মিয়া
উত্তরের বিবরণ
শিশুসাহিত্যের ক্ষেত্রে বন্দে আলী মিয়া এক উজ্জ্বল নাম। তিনি বাংলা সাহিত্যে শিশুদের জন্য লিখেছেন বহু জনপ্রিয় গল্প ও কবিতা। তাঁর রচনায় গ্রামীণ জীবনের সরলতা, প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বাস্তবভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
বন্দে আলী মিয়া ছিলেন সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিত্রকর।
-
তিনি ১৯০৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পাবনা জেলার রাধানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তাঁর সাহিত্যিক কর্মধারা বিস্তৃত ছিল কবিতা, উপন্যাস, নাটক, জীবনী এবং শিশুসাহিত্য পর্যন্ত।
-
তাঁর লেখার মূল বৈশিষ্ট্য ছিল বাংলার সমাজ, মানুষ ও প্রকৃতির জীবনচিত্রের বাস্তব উপস্থাপন।
-
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য শিশুতোষ গ্রন্থ হলো ‘কুঁচবরণ কন্যা’।
অন্যান্য শিশুসাহিত্য:
-
চোর জামাই
-
মেঘকুমারী
-
বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা
-
সোনার হরিণ
-
সাত রাজ্যের গল্প

0
Updated: 20 hours ago
কোনটি প্রমথ চৌধুরী রচিত গল্পগ্রন্থ নয়?
Created: 20 hours ago
A
আহুতি
B
তেল-নুন-লকড়ি
C
নীললোহিত
D
চার ইয়ারী কথা
বাংলা গদ্যসাহিত্যের আধুনিক রূপকার হিসেবে প্রমথ চৌধুরী বিশেষভাবে স্মরণীয়। তিনি বাংলা ভাষায় চলিত রীতির প্রবর্তন করে সাহিত্যকে সাধারণ পাঠকের কাছে আরও সহজ ও প্রাণবন্ত করে তোলেন। তাঁর সাহিত্যচর্চা গদ্য, প্রবন্ধ ও কবিতা—সবক্ষেত্রেই সমানভাবে বিস্তৃত ছিল।
মূল তথ্যসমূহ:
-
প্রমথ চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট, যশোরে।
-
তিনি বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপের মধ্যে তুলনামূলক গবেষণা করেন।
-
বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক এবং বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক হিসেবে তাঁর বিশেষ খ্যাতি রয়েছে।
-
তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেট রচনার প্রবর্তন করেন।
-
তিনি ১৯১৪ সালে প্রকাশিত মাসিক ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
গল্পগ্রন্থ:
-
চার ইয়ারী কথা
-
নীললোহিত
-
আহুতি
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
তেল-নুন-লকড়ি

0
Updated: 20 hours ago
চর্যাপদে সর্বাপেক্ষা বেশি পদ রচনা করেন কে?
Created: 4 weeks ago
A
শবরপা
B
লুইপা
C
কাহ্নপা
D
সরহপা
চর্যাপদে মোট সাড়ে ছেচল্লিশটি পদ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে একটি পদ ছেঁড়া বা খণ্ডিত আকারে রয়েছে। পদসংখ্যার ভিত্তিতে কবিদের মধ্যে সর্বাধিক অবদান রেখেছেন কাহ্নপা, যিনি ১৩টি পদ রচনা করেছেন। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান রেখেছেন ভুসুকুপা, তাঁর রচিত পদ সংখ্যা ৮। তৃতীয় সর্বোচ্চ অবদানকারী সরহপা, যিনি ৪টি পদ (ক্রমিক ২২, ৩২, ৩৮ ও ৩৯) রচনা করেছেন। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন কুক্কুরীপা, যিনি ৩টি পদ রচনা করেছেন। আর পঞ্চম স্থানে রয়েছেন লুইপা, শবরপা ও শান্তিপা, এঁরা প্রত্যেকে ২টি করে পদ রচনা করেছেন।

0
Updated: 4 weeks ago
‘সাত ভাই চম্পা’ - কী ধরনের গ্রন্থ?
Created: 20 hours ago
A
উপন্যাস
B
প্রবন্ধগ্রন্থ
C
কাব্যগ্রন্থ
D
গল্পগ্রন্থ
বাংলা আধুনিক কবিতায় চিন্তাশীলতা, শিল্পবোধ ও মার্কসবাদী চেতনার অনন্য সমন্বয় ঘটিয়েছেন বিষ্ণু দে। তিনি ত্রিশোত্তর কবিদের মধ্যে অন্যতম একজন, যিনি বিশ্বসাহিত্য ও পাশ্চাত্য দর্শনের প্রভাবকে বাংলা কবিতায় নতুন রূপে প্রকাশ করেন। তাঁর রচনায় বুদ্ধিবৃত্তি, সৌন্দর্যবোধ ও সমাজচেতনা একত্রে প্রতিফলিত হয়েছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
বিষ্ণু দে জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৯ সালের ১৮ জুলাই কলকাতার পটলডাঙ্গায়।
-
তিনি ছিলেন একজন কবি, প্রাবন্ধিক, চিত্রসমালোচক ও শিল্পানুরাগী।
-
বাংলা সাহিত্যের ত্রিশোত্তর কবিতার নব্যধারার আন্দোলনের প্রধান পাঁচজন কবির অন্যতম ছিলেন তিনি।
-
তাঁর কবিতায় গভীরভাবে মার্কসবাদী চেতনা ও টি.এস. এলিয়টের প্রভাব লক্ষ করা যায়।
-
বিষ্ণু দে-এর রচনায় কেবল সামাজিক সচেতনতা নয়, শিল্প ও নন্দনতত্ত্বের প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগও প্রকাশ পেয়েছে।
‘সাত ভাই চম্পা’
-
এটি বিষ্ণু দে রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ, যেখানে প্রতীক ও কাব্যরূপের মাধ্যমে জীবন, সমাজ ও সময়ের নানা রূপ তুলে ধরা হয়েছে।
তাঁর প্রধান কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
উর্বশী ও আর্টেমিস
-
চোরাবালি
-
স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ
-
সাত ভাই চম্পা
-
সেই অন্ধকার চাই
-
তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ
-
রবিকরোজ্জ্বল নিজদেশ

0
Updated: 20 hours ago