পিএলও-এর সদর দপ্তর-
A
তিউনিস
B
ফিলিস্তিন
C
বেনগাজি
D
মরক্কো
উত্তরের বিবরণ
• পিএলও (PLO):
- PLO-এর পূর্ণরূপ— Palestine Liberation Organization.
- প্রতিষ্ঠিত হয় — ১৯৬৪ সালে।
- সদর দপ্তর: রামাল্লাহ — ফিলিস্তিন।
- PLO-এর প্রথম চেয়ারম্যান — আহমদ শুকিরি ।
- PLO-এর তৃতীয় চেয়ারম্যান — ইয়াসির আরাফাত।
- সংগঠনটি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়।
- ১৯৭৪ সাল থেকে পিএলও জাতিসংঘে পর্যবেক্ষক মর্যাদা ভোগ করছে।
• 'Orient House':
- জেরুজালেমে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) এর সদর দপ্তর।
- ওরিয়েন্ট হাউস হল ইসরায়েলি অধিকৃত জেরুজালেমে স্বায়ত্তশাসন এবং সংহতির জন্য ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষার প্রতীক এবং এটিই আজ ফিলিস্তিনি জাতীয় পতাকা নেড়েছে।
তথ্যসূত্র: orienthouse.org, Encyclopaedia Britannica, Britannica.

0
Updated: 4 months ago
জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব ছিলেন-
Created: 4 months ago
A
উ থান্ট
B
ট্রিগভেলি
C
দ্যাগ হ্যামারশোল্ড
D
কুট ওয়াল্ডহেইম
• জাতিসংঘের মহাসচিবগণ:
জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব:
- নরওয়ের ট্রিগভেলাই।
- তিনি ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬ থেকে নভেম্বর ১৯৫২ মেয়াদে জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
- দ্বিতীয় মহাসচিব ছিলেন — দ্যাগ হ্যামারশোল্ড। তিনি সুইডেনের অধিবাসী ছিলেন। ১৯৬১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আফ্রিকার জাম্বিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। ১৯৬১ সালে তিনি মরণোত্তর নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
- তৃতীয় মহাসচিব — মিয়ানমারের উ থান্ট। তিনি ছিলেন জাতিসংঘের তৃতীয় মহাসচিব। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন জাতিসংঘের মহাসচিব পদে ছিলেন।
- চতুর্থ মহাসচিব — অস্ট্রিয়ার কুর্ট ওয়ার্ল্ডহেইম (তার সময়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে)।
- পঞ্চম মহাসচিব — পেরুর জাভিয়ার পেরেজ দ্য কুয়েলার (প্রথম আমেরিকান)। ষষ্ঠ মহাসচিব মিশরের ড. বুট্রোস ঘালি (প্রথম আফ্রিকান)।
- সপ্তম মহাসচিব — ঘানা'র কফি আনান (২০০১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী)।
- অষ্টম মহাসচিব — দক্ষিণ কোরিয়ার বান কি মুন।
- নবম ও বর্তমান মহাসচিব — পর্তুগালের অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
----------------------
• জাতিসংঘ সম্পর্কে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- নামকরণ করেন — রুজভেল্ট।
- সনদ স্বাক্ষরিত হয় — ২৬ জুন, ১৯৪৫ সালে (সানফ্রানসিস্কো শহরে)।
- জাতিসংঘ সনদ কার্যকর হয় — ২৪ অক্টোবর, ১৯৪৫ সালে।
- প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিল — ৫১ টি।
- জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর না করেও প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত হয় — পোল্যান্ড (৫১ তম দেশ)।
- সদর দপ্তর — নিউইর্য়ক, যুক্তরাষ্ট্র।
- ইউরোপীয় সদর দপ্তর — জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
- জাতিসংঘের মহাসচিব — ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হন।
- জাতিসংঘের দুইজন মহাসচিব নোবেল পুরস্কার পান।
- নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত মহাসচিবরা হলেন — দ্যাগ হ্যামারশোল্ড (১৯৬১) ও কফি আনান (২০০১)।
উৎস: জাতিসংঘ ওয়েবসাইট।

0
Updated: 4 months ago
কোন শাসকের সময় থেকে সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল পরিচিত হয়ে ওঠে বাঙ্গালাহ নামে?
Created: 3 months ago
A
ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ
B
শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ্
C
জালালুদ্দিন মুহাম্মদ আকবর
D
ঈসা খান
সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের শাসনামল থেকেই সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী এলাকা ‘বাঙ্গালাহ’ নামে পরিচিত হতে শুরু করে।
🔹 সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ:
যদিও বাংলার স্বাধীন সুলতানি যুগের সূচনা করেছিলেন ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ, প্রকৃতপক্ষে এই যুগের সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেন সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ।
তিনিই প্রথম দুই বাংলাকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি সামগ্রিক ভূখণ্ড হিসেবে ‘বাঙ্গালাহ’ নামে পরিচিত করান।
🔹 বাঙালি জাতিসত্তার উন্মেষ:
তাঁর রাজত্বকালে বাংলার মানুষ একক জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং "বাঙালি" পরিচয়ে পরিচিত হতে থাকে।
এই কারণে ঐতিহাসিকগণ তাঁকে ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
🔹 শাসনকাল ও কৃতিত্ব:
ইলিয়াস শাহ দীর্ঘ ১৬ বছর বাংলার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং ১৩৫৮ খ্রিস্টাব্দে পরলোকগমন করেন।
🔹 সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ:
১৩৫২ খ্রিস্টাব্দে তিনি সোনারগাঁও-এর শাসক ও ফখরুদ্দিন মুবারক শাহের পুত্র ইখতিয়ারউদ্দিন গাজী শাহকে পরাজিত করে পূর্ব বাংলায় তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
পরে লখনৌতি, সাতগাঁও ও সোনারগাঁও অধিকার করে পুরো বাংলার একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে ওঠেন — যা আগে কোনো মুসলিম শাসকের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
🔹 ঐতিহাসিক স্বীকৃতি:
ইতিহাসবিদ শামস-ই-সিরাজ আফীফ তাঁকে “শাহ-ই-বাঙ্গালাহ” ও “সুলতান-ই-বাঙ্গালাহ” উপাধিতে ভূষিত করেন — যা তাঁর অগ্রগামী নেতৃত্বের প্রমাণ বহন করে।
উৎস: ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি (২য় পত্র), এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 3 months ago
নিকারাগুয়ায় যে বিদ্রোহীদের যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে তার নাম-
Created: 4 months ago
A
ইউনিটা
B
সান্ডিনিস্টা
C
কন্ট্রা
D
সোয়াপো
• নিকারাগুয়ায় যে বিদ্রোহীদের যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে তার নাম- 'কন্ট্রা'।
• কনট্রাগুলি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত ও অনুপ্রেরিত ডানপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী যা ১৯৯৯ থেকে ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে নিকারাগুয়ায় জাতীয় পুনর্গঠন সরকারের সমাজতান্ত্রিক সান্দিনিস্তা জান্তার বিরোধিতা করে সক্রিয় ছিল।
- ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অস্ত্রভর্তি বিমান ইসরায়েল হয়ে ইরানের একটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
- অস্ত্র বিক্রির সম্পূর্ণ টাকা নিকারাগুয়ার কমিউনিস্ট সরকারে পতনের জন্য গড়ে উঠা কন্ট্রা বিদ্রোহী গ্রুপকে সাহায্য হিসেবে প্রদান করা হয়।
• নিকারাগুয়া:
- নিকারাগুয়া মধ্য আমেরিকার একটি দেশ।
- এটি মধ্য আমেরিকার বৃহত্তম দেশ।
- ১৮২১ সালে স্পেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
- দেশটির সবচেয়ে বিখ্যাত আগ্নেয়গিরি হল মাসায়া।
- মার্কিন হস্তক্ষেপ:
বিংশ শতাব্দীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহুবার নিকারাগুয়ার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। বিশেষত ১৯৮০-এর দশকে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কন্ট্রা বিদ্রোহীদের সমর্থন করেছিল যারা স্যান্ডিনিস্টা সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করছিল।
উৎস: Encyclopedia Britannica, ব্রিটানিকা।

0
Updated: 4 months ago