কোনটি প্রমথ চৌধুরী রচিত গল্পগ্রন্থ নয়?
A
আহুতি
B
তেল-নুন-লকড়ি
C
নীললোহিত
D
চার ইয়ারী কথা
উত্তরের বিবরণ
বাংলা গদ্যসাহিত্যের আধুনিক রূপকার হিসেবে প্রমথ চৌধুরী বিশেষভাবে স্মরণীয়। তিনি বাংলা ভাষায় চলিত রীতির প্রবর্তন করে সাহিত্যকে সাধারণ পাঠকের কাছে আরও সহজ ও প্রাণবন্ত করে তোলেন। তাঁর সাহিত্যচর্চা গদ্য, প্রবন্ধ ও কবিতা—সবক্ষেত্রেই সমানভাবে বিস্তৃত ছিল।
মূল তথ্যসমূহ:
-
প্রমথ চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট, যশোরে।
-
তিনি বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপের মধ্যে তুলনামূলক গবেষণা করেন।
-
বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক এবং বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক হিসেবে তাঁর বিশেষ খ্যাতি রয়েছে।
-
তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেট রচনার প্রবর্তন করেন।
-
তিনি ১৯১৪ সালে প্রকাশিত মাসিক ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
গল্পগ্রন্থ:
-
চার ইয়ারী কথা
-
নীললোহিত
-
আহুতি
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
তেল-নুন-লকড়ি

0
Updated: 20 hours ago
'আমি কি দুঃখেরে ডরাই'- উক্তিটি কার রচনা?
Created: 3 weeks ago
A
মালাধর বসু
B
রামনিধি গুপ্ত
C
রামপ্রসাদ সেন
D
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
রামপ্রসাদ সেন
১. পরিচিতি
-
শাক্তসঙ্গীত/শ্যামাসঙ্গীত রচনায় বিখ্যাত, শাক্ত পদাবলীর আদি ও শ্রেষ্ঠ কবি।
-
জন্ম: পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার কুমারহট্ট গ্রামে, কবিরাজ বংশে।
-
শ্যামাসঙ্গীতের সংখ্যা প্রায় ৩০০।
-
নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় তাঁকে রাজসভায় যোগদানের আহবান জানান এবং 'কবিরঞ্জন' উপাধিতে ভূষিত করেন।
-
রামপ্রসাদী সুর: ভক্তিভাব, রাগ ও বাউল সুরের মিশ্রণে তাঁর সৃষ্টি সঙ্গীত।
২. বিখ্যাত উক্তি
"আমি কি দুঃখেরে ডরাই"
৩. কিছু জনপ্রিয় গান
-
"মন রে কৃষি কাজ জানো না"
-
"ডুব দেরে মন কালী বলে"
-
"মা আমায় ঘুরাবি কত"

0
Updated: 3 weeks ago
সেলিনা হোসেন রচিত উপন্যাস কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
রাজসিংহ
B
শহরতলী
C
কন্যাকুমারী
D
গায়ত্রী সন্ধ্যা
গায়ত্রী সন্ধ্যা সেলিনা হোসেন রচিত একটি ত্রয়ী উপন্যাস। একই শিরোনামে গ্রন্থটি তিন খণ্ডে প্রকাশিত হয় এবং এর পটভূমি ১৯৪৭ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত। দীর্ঘ আটাশ বছরের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট এতে প্রতিফলিত হয়েছে। এ উপন্যাসে জাতির ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং নারীর অবস্থানকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সেলিনা হোসেন বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক। তিনি ১৯৪৭ সালের ১৪ জুন রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর কথাসাহিত্যের মূল আখ্যান হলো অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং নারীমুক্তি। বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার ও ফিলিপ্স সাহিত্য পুরস্কারসহ বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
-
হাঙর নদী গ্রেনেড
-
মগ্ন চৈতন্যে শিস
-
যাপিত জীবন
-
চাঁদবেনে
-
পোকামাকড়ের ঘরবসতি
-
গায়ত্রী সন্ধ্যা
-
দীপান্বিতা
গল্পগ্রন্থ
-
উৎস থেকে নিরন্তর
-
খোলকরতাল
-
মুক্তিযুদ্ধের গল্প
শিশু-কিশোর উপযোগী রচনা
-
সাগর
-
বাংলা একাডেমী গল্পে বর্ণমালা
-
বর্ণমালার গল্প
-
জ্যোৎস্নার রঙে আঁকা ছবি
-
চাঁদের বুড়ির পান্তা ইলিশ
এছাড়া উল্লেখযোগ্য যে, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচনা করেছেন রাজসিংহ উপন্যাস, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন শহরতলী, এবং কন্যাকুমারী উপন্যাসের রচয়িতা রাশিদা আখতার।

0
Updated: 4 weeks ago
প্রমথ চৌধুরীর মতে সাহিত্যের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে-
Created: 3 hours ago
A
দৈনন্দিন জীবনের বন্দনা
B
বিশেষ সামাজিক উদ্দেশ্য সাধন
C
মানুষের মনোজগৎ জাগিয়ে তোলা
D
লোককে সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষা দেয়া
‘দ্বিতীয়ত, শিক্ষার উদ্দেশ্য মানুষের মনকে বিশ্বের খবর জানানো, আর সাহিত্যের উদ্দেশ্য মানুষের মনকে জাগানো।’
• এই উক্তির ব্যাখ্যা:
-
শিক্ষা মানুষের বুদ্ধি ও জ্ঞানকে প্রসারিত করে, তাকে সমাজ ও বিশ্বের তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে পরিচিত করে।
-
সাহিত্য মানবিক অনুভূতি, চিন্তা ও নৈতিকতাকে জাগ্রত করে, সমাজ ও ব্যক্তির অন্তর্দৃষ্টি বৃদ্ধি করে।
-
প্রমথ চৌধুরীর এই দর্শন শিক্ষার সঙ্গে সাহিত্যকে সমন্বিতভাবে মানব উন্নয়নের মাধ্যম হিসেবে দেখায়।

0
Updated: 3 hours ago