প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ কোনটি?
A
ডাক্তারখানা
B
অনুগমন
C
দিলখোলা
D
সম্রাট
উত্তরের বিবরণ
উত্তর: ক) ডাক্তারখানা।
ডাক্তারখানা শব্দটি বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়যোগে গঠিত। এখানে "ডাক্তার" শব্দের সঙ্গে "খানা" প্রত্যয় যুক্ত হয়ে শব্দটি তৈরি হয়েছে।
অপশন বিশ্লেষণ:
খ) অনুগমন: এটি উপসর্গ ও প্রত্যয়যোগে গঠিত। "অনু-" উপসর্গ, "গম্" ধাতু এবং "-অন" প্রত্যয় যুক্ত হয়ে শব্দটি গঠিত হয়েছে।
গ) দিলখোলা: এটি একটি সমাসবদ্ধ পদ। এখানে কোনো প্রত্যয় যুক্ত হয়নি, তাই এটি প্রত্যয়যোগে গঠিত নয়।
ঘ) সম্রাট: এটি তৎসম শব্দ। "সম্" উপসর্গ যুক্ত হলেও কোনো প্রত্যয় নেই। তাই এটি প্রত্যয়যোগে গঠিত নয়।
উল্লিখিত অপশনগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র "ডাক্তারখানা" প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ। তাই সঠিক উত্তর ডাক্তারখানা।
প্রত্যয়:
প্রত্যয় হলো এমন শব্দাংশ, যা ধাতু বা শব্দের পরে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে। যেমন:
-
বাঘ + আ = বাঘা (তদ্ধিত প্রত্যয়)।
-
কৃ + তব্য = কর্তব্য (কৃৎ প্রত্যয়)।
ধাতুর পরে যোগ হলে তা কৃৎ প্রত্যয়, আর শব্দের পরে যোগ হলে তদ্ধিত প্রত্যয়।
"ডাক্তারখানা"-তে 'খানা' হলো তদ্ধিত প্রত্যয়।

0
Updated: 1 month ago
বাংলা কৃৎ-প্রত্যয় সাধিত শব্দ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
কারক
B
লিখিত
C
বেদনা
D
খেলনা
বাংলা ও সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়যুক্ত শব্দের উদাহরণ
বাংলায় কৃৎ-প্রত্যয় যুক্ত শব্দ:
-
খেলোনা = √খেল + অনা
সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়যুক্ত শব্দের উদাহরণ:
-
কারক = √কৃ + অক
-
লিখিত = √লিখ + ত
-
বেদনা = √বিদ + অন + আ
উৎস:
উচ্চতর স্বনির্ভর বিশুদ্ধ ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
কোন শব্দে ধাতুর সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে?
Created: 3 months ago
A
ঠগী
B
পানাস
C
পাঠক
D
সেলামী
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ নবম-দশম শ্রেণি ২০১৯ সংস্করণ অনুসারে,
• √পাঠ্ + অক = পাঠক, পাঠ ধাতুর সাথে 'অক' কৃৎ প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে।
বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
• পাঠক (বিশেষ্য)
- এটি সংস্কৃত শব্দ,
- পাঠক শব্দের যথার্থ প্রকৃতি-প্রত্যয় = √পাঠি+অক;
অর্থ: পাঠকারী, ছাত্র, কথক, শিক্ষক।
সুতরাং অপশন অনুসারে, সঠিক উত্তর অপশন ‘খ’।

0
Updated: 3 months ago
'দোলনা' শব্দের সঠিক প্রকৃতি-প্রত্যয় কোনটি?
Created: 2 months ago
A
দুল্ + অনা
B
দোল্ + না
C
দোল্ + অনা
D
দোলনা + আ
বাংলা ভাষায় কিছু ধাতু রয়েছে যেগুলো সংস্কৃত ধাতু নয়, বরং ভাষার নিজস্বতা বহন করে। এসব স্বকীয় ধাতুর সঙ্গে বিশেষ কিছু প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দের সৃষ্টি করে, যেসব প্রত্যয়কে বাংলা কৃৎ প্রত্যয় বলা হয়। এই প্রত্যয়গুলো বাংলা শব্দ গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
নিচে বাংলা কৃৎ প্রত্যয়ের কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণ তুলে ধরা হলো:
১. ‘অনা’ প্রত্যয় যুক্ত শব্দ
‘অনা’ প্রত্যয়টি বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহৃত। এটি অনেক সময় ‘না’ ধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়।
উদাহরণ:
-
√দুল্ + অনা → দুলনা → দোলনা
-
√খেল্ + অনা → খেলনা
২. ‘অক’ প্রত্যয় যুক্ত শব্দ
‘অক’ প্রত্যয়ের মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট কর্ম বা অবস্থা বোঝানো হয়।
উদাহরণ:
-
√ঝল্ + অক → ঝলক
-
√মুড়্ + অক → মোড়ক
৩. ‘আ’ প্রত্যয় (মূলত ‘অন’ রূপে)
এখানে ‘আ’ প্রত্যয় বলতে বোঝানো হচ্ছে এমন একটি ধ্বনি, যা ‘অন’ আকারে প্রকাশ পায়।
উদাহরণ:
-
√খা্ + অন → খাওন
-
√ছা্ + অন → ছাওন
-
√দে্ + অন → দেওন
বাংলা কৃৎ প্রত্যয় বাংলা শব্দের গঠনপ্রক্রিয়ায় এক অনন্য ভূমিকা রাখে। এগুলোর মাধ্যমে ভাষার স্বকীয়তা প্রকাশ পায় এবং সংস্কৃত-নিরপেক্ষ ধাতুদের দ্বারা গঠিত শব্দসমূহ বাংলা ভাষার নিজস্ব রূপকে দৃঢ় করে।
উৎস:
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (নবম-দশম শ্রেণি), ২০১৯ সংস্করণ।

0
Updated: 2 months ago