'সামাজিক মূল্যবোধ হল একটি মানদন্ড'-উক্তিটি কার?
A
এইচ এম জনসন
B
জন লক
C
ক্লাইড ব্লুখোন
D
এফ ই মেরিল
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধ মানুষের একটি মৌলিক ও মানবিক গুণাবলী, যা তার নীতি-নৈতিকতা, বিবেকবোধ এবং সামাজিক আচরণের ওপর নির্ভরশীল। এটি ব্যক্তির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে গঠন করে এবং সমাজে তার আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে। মূল্যবোধ কোনো নির্দিষ্ট জন্মগত বিষয় নয়; বরং এটি সমাজের আচার-আচরণ, সংস্কৃতি চর্চা ও সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিকশিত হয়।
-
মূল্যবোধের কোনো স্থির মাপকাঠি বা সর্বজনীন যৌক্তিকতা নেই, কারণ এক ব্যক্তির কাছে যা আদর্শ বলে মনে হয়, অন্য কারও কাছে তা বিরক্তিকর বা অগ্রহণযোগ্য হতে পারে।
-
অনেকের মতে, মানবিক গুণাবলী ও সঠিক বিবেক-বুদ্ধির প্রকাশই হলো প্রকৃত মূল্যবোধ।
-
সমাজবিজ্ঞানী এইচ. এম. জনসন (H.M. Johnson) এর মতে, “সামাজিক মূল্যবোধ হলো একটি মানদণ্ড।”
-
সমাজবিজ্ঞানী ক্লাইড ব্লুখোন (Clyde Kluckhohn) বলেন, “সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে সেসব প্রকাশ্য ও অনুমেয় আচরণধারা, যা ব্যক্তি ও সমাজের মৌলিক বৈশিষ্ট্য বলে স্বীকৃত।”
-
সমাজবিজ্ঞানী এফ. ই. মেরিল (F. E. Merrill) এর মতে, “সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে বিশ্বাসের এক ধরণ, যা গোষ্ঠীগত কল্যাণে সংরক্ষণ করাকে মানুষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।”
-
এসব দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, সামাজিক মূল্যবোধ হলো এমন ধারণা ও আদর্শের সমষ্টি, যা একজন মানুষ তার জীবনের লক্ষ্য ও কাম্য অর্জনের ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে।
-
সমাজের এই মূল্যবোধগুলো মানুষকে তার জীবনধারার লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়তা করে এবং সমাজে ন্যায়, নীতি ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ সৃষ্টি করে।

0
Updated: 22 hours ago
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের কর্তব্য নয় -
Created: 1 week ago
A
নিয়মিত কর প্রদান
B
আইন মান্য করা
C
সন্তানদের শিক্ষাদান
D
সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা
সুশাসন ও নাগরিকের কর্তব্য
সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা:
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকদের অধিকার ভোগের পাশাপাশি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করাও অপরিহার্য। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য শুধু সরকার সচেষ্ট হলে হবে না; নাগরিককেও তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। কর্তব্যবিমুখ জাতি কখনো উন্নতি লাভ করতে পারে না এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয় না।
নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্যসমূহ:
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন: সমাজ ও কমিউনিটির কল্যাণে অবদান রাখা।
-
রাষ্ট্রের সেবা করা: রাষ্ট্রের কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ।
-
সন্তানদের শিক্ষাদান: ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নৈতিক ও শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
-
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন: দেশের সংবিধান ও নীতি মেনে চলা।
-
আইন মান্য করা: আইন এবং বিধি-নিষেধ মেনে চলা।
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন: সততার সঙ্গে ভোট প্রদান ও যোগ্য প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন।
-
নিয়মিত কর প্রদান: রাষ্ট্রের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা।
উল্লেখযোগ্য:
নাগরিকের এই কর্তব্যসমূহের যথাযথ পালনই সুশাসনের মূল ভিত্তি।

0
Updated: 1 week ago
সুশাসনের জন্য সরকারি খাতের ব্যবস্থাপনার কথা বলেছে-
Created: 1 week ago
A
জাতিসংঘ
B
বিশ্বব্যাংক
C
আইএমএফ
D
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক
সুশাসন (Good Governance)
উদ্ভব ও সংজ্ঞা:
-
সুশাসনের ধারণা মূলত ১৯৮৯ সালে উদ্ভূত হয়।
-
বিশ্বব্যাংক প্রথম এই ধারণা উপস্থাপন করে।
-
বিশ্বব্যাংকের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী, সুশাসন হল এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদ সমাজের সমস্যা ও চাহিদা পূরণে ব্যবহৃত হয়।
-
১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংক ‘শাসন: বিশ্বব্যাংকের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক রিপোর্টে সুশাসনকে চারটি কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করে:
১. সরকারি খাতের কার্যকর ব্যবস্থাপনা
২. জবাবদিহিতা
৩. উন্নয়নের জন্য আইনী কাঠামো
৪. স্বচ্ছতা ও তথ্য
সুশাসনের প্রামাণ্য সংজ্ঞা:
-
মিশেল ক্যামডেসাস: "রাষ্ট্রের সব ধরনের উন্নয়নের জন্য সুশাসন অত্যাবশ্যক।"
-
ম্যাককরনি: "সুশাসন বলতে রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের, সরকারের সাথে শাসিত জনগণের, শাসকের সাথে শাসিতের সম্পর্ককে বোঝায়।"
-
কফি আনান: "সুশাসন মানবাধিকার, আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা, জনপ্রশাসনের স্বচ্ছতা এবং সক্ষমতাকে নিশ্চিত করে।"
-
মারটিন মিনোগ: "ব্যাপক অর্থে সুশাসন হলো উদ্যোগ ও সংস্কার কৌশলের সমষ্টি যা সরকারকে আরও গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক করতে সুশীল সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর করে।"

0
Updated: 1 week ago
’শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস’ কোন ধরনের অবক্ষয়?
Created: 6 days ago
A
সামাজিক
B
নৈতিক
C
অর্থনৈতিক
D
পারিবারিক
সমাজে নৈতিকতা, আদর্শ ও সুশাসনের অভাব সমাজকে নষ্ট করে দেয় এবং সামাজিক বন্ধনকে দুর্বল করে। এর ফলে আইন-শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ থাকে না এবং মানুষের মধ্যে অসততা, অনাচার ও অন্যায়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
সামাজিক অবক্ষয়সমূহের মধ্যে রয়েছে:
-
অপসংস্কৃতি
-
যুব সমাজের অবক্ষয়
-
বাল্যবিবাহ
-
যৌতুক প্রথা
-
মাদকাসক্তি
-
শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস
-
ইভটিজিং
-
নারী ও শিশু নির্যাতন
-
আর্থ-সামাজিক সমস্যা
-
দুর্নীতি
-
রাজনৈতিক অস্থিরতা
-
দরিদ্রতা
-
খাদ্যে ভেজাল
-
সহিংসতা ও যুদ্ধমূলক সমস্যা
-
যুদ্ধ, জঙ্গিবাদ, চরমপন্থা, মৌলবাদ, বর্ণবাদ
-
রাষ্ট্র কর্তৃক রাষ্ট্র আক্রমণ

0
Updated: 6 days ago