আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের উৎস কী?
A
অন্তর্নিহিত আত্মিক শক্তি
B
বাহ্যিক শিক্ষা
C
পারিবারিক শিক্ষা
D
সামাজিক অনুশাসন
উত্তরের বিবরণ
আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের মূল উৎস হলো মানুষের অন্তর্নিহিত আত্মিক শক্তি, যা তাকে নৈতিক ও সৎ জীবনের পথে পরিচালিত করে। মানুষের অন্তরে কিছু সহজাত আধ্যাত্মিক বা আত্মিক মূল্যবোধ থাকে, যা তার আচরণ ও চিন্তাকে প্রভাবিত করে।
-
মানুষ স্বভাবতই সৎভাবে ও ন্যায়ের পথে বাঁচতে চায় এবং সৎ মানুষকে শ্রদ্ধা করে, অথচ অসৎ ও মিথ্যাবাদী ব্যক্তিকে ঘৃণা করে।
-
কোনো সৎ কাজ করতে পারলে মানুষ মনে মনে স্বস্তি, শান্তি ও তৃপ্তি অনুভব করে।
-
এই সব ইতিবাচক আচরণের প্রেরণাশক্তি আসে তার অন্তর্নিহিত আত্মিক শক্তি (Spiritual Power) থেকে।
-
আত্মিক মূল্যবোধ মানুষের মধ্যে জন্মগতভাবে বিদ্যমান; এটি সহজাত ও চিরন্তন।

0
Updated: 22 hours ago
মূল্যবোধ শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে -
Created: 1 month ago
A
দুর্নীতি রোধ করা
B
সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা
C
রাজনৈতিক অবক্ষয় রোধ করা
D
সাংস্কৃতিক অবরোধ রক্ষণ করা
মূল্যবোধ শিক্ষার লক্ষ্য ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ
মূল্যবোধ শিক্ষা আমাদের সমাজে সঠিক আচরণ ও শিষ্টাচার রক্ষা করতে সহায়তা করে। এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ করা।
সামাজিক মূল্যবোধ:
-
সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষ এবং সমাজের আচরণ নিয়ন্ত্রণের নিয়ম।
-
এটি ব্যক্তি ও সমাজের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
-
সামাজিক মূল্যবোধের মধ্যে থাকে: শিষ্টাচার, সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়-বিচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শ্রমের মর্যাদা, শৃঙ্খলাবোধ, সময়ানুবর্তিতা, দানশীলতা, উদারতা ইত্যাদি।
-
সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবোধও পরিবর্তিত হয়।
সামাজিক অবক্ষয়:
-
সামাজিক অবক্ষয় হলো মূল্যবোধের ঘাটতি বা অনুপস্থিতি।
-
সমাজের রীতিনীতি, মনোভাব ও অনুমোদিত আচরণের সমন্বয়ে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে। যখন এই মূল্যবোধগুলো দুর্বল হয় বা নষ্ট হয়, তখন সমাজে অবক্ষয় দেখা দেয়।
-
সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হতে পারে:
-
আইন শৃঙ্খলার দুর্বলতা
-
মানুষের সহনশীলতার অভাব
-
বিশৃঙ্খল পরিবেশ
-
ধর্মীয় বা নৈতিক ভুল ব্যাখ্যা, যেমন: কোনো বিষয়ে ভুল ফতোয়া বা নির্দেশের মাধ্যমে মানুষকে মূল্যবোধহীন পথে পরিচালিত করা।
-
-
তাই, আইনের শাসন ও সামাজিক নীতি মানার শিক্ষা সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১মপত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
কে ‘কর্তব্যের নৈতিকতা’র ধারণা প্রবর্তন কৱেন?
Created: 4 weeks ago
A
হ্যারল্ড উইলসন
B
এডওয়ার্ড ওসবর্ন উইলসন
C
জন স্টুয়ার্ট মিল
D
ইমানুয়েল কান্ট
ইমানুয়েল কান্ট ছিলেন একজন প্রখ্যাত জার্মান নীতিবিজ্ঞানী, যিনি নৈতিকতা ও দার্শনিক চিন্তাধারায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
তিনি ‘কর্তব্যের জন্য কর্তব্য’ ধারণার প্রবর্তক হিসেবে পরিচিত এবং তার নীতিবিদ্যার মূলকথা তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে: সৎ ইচ্ছা, কর্তব্যের জন্য কর্তব্য, এবং শর্তহীন আদেশ।
-
নীতিশাস্ত্রে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ রচনা:
-
Groundwork for Metaphysics of Morals
-
Critique of Pure Reason
-
Critique of Practical Reason
-
Critique of Judgement
-

0
Updated: 4 weeks ago
ইমানুয়েল কান্টের নীতিবিদ্যার মূলকথা নয় কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
কর্তব্যের জন্য কর্তব্য
B
সৎ ইচ্ছা
C
শর্তহীন আদেশ
D
নৈতিকতার জন্য দায়িত্ব
ইমানুয়েল কান্ট
-
ইমানুয়েল কান্ট ছিলেন একজন প্রখ্যাত জার্মান দার্শনিক ও নীতিবিজ্ঞানী।
-
তিনি নীতিবিদ্যায় “কর্তব্যের জন্য কর্তব্য” (Duty for duty’s sake) ধারণার প্রবর্তক, যা নৈতিকতার ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।
তার নীতিবিদ্যার মূলকথা তিনটি:
-
সৎ ইচ্ছা (Good Will)
-
কর্তব্যের জন্য কর্তব্য (Duty for Duty’s Sake)
-
শর্তহীন আদেশ (Categorical Imperative)
উল্লেখ্য: “নৈতিকতার জন্য কর্তব্য” ইমানুয়েল কান্টের নীতিবিদ্যার মূলকথা নয়।

0
Updated: 3 weeks ago