'যে আলোতে কুমুদ ফোটে'- এককথায় কী হবে?
A
B
কৌমুদী
C
প্রভাবতী
D
বিভা
উত্তরের বিবরণ
‘যে আলোতে কুমুদ ফোটে’ এর এককথায় প্রকাশ হলো - কৌমুদি।
অন্যদিকে,
প্রভাবান - দীপ্তি-মান, উজ্জ্বল। এর স্ত্রীবাচক শব্দ প্রভাবতী।
বিভা - আলোক, কিরণ, প্রভা, দীপ্তি, সৌন্দর্য।
আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাক্য সংকোচন/ এক কথায় প্রকাশ
- 'গম্ভীর ধ্বনি' এর এক কথায় প্রকাশ -- মন্দ্র।
- হরিণের চামড়া এর এক কথায় প্রকাশ -- অজিন।
- ময়ূরের ডাক এর এক কথায় প্রকাশ -- কেকা।
- ঘোড়ার ডাক এর এক কথায় প্রকাশ -- হ্রেষা।
- পাখির ডাক এর এক কথায় প্রকাশ -- কূজন।
- হাতির গর্জন এর এক কথায় প্রকাশ -- বৃংহিত।
0
Updated: 3 months ago
'নষ্ট হওয়ার অভাব যার' এক কথায় হবে-
Created: 6 days ago
A
নিদাঘ
B
নশ্বর
C
নষ্টমান
D
বিনশ্বর
‘নষ্ট হওয়ার অভাব যার’ এই বাক্যাংশটি এমন একটি গুণকে নির্দেশ করে, যেখানে কোনো কিছুর বিনাশ বা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই অর্থের সঙ্গে সবচেয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ শব্দ হলো ‘নশ্বর’, যার বিপরীতার্থক রূপ ‘অমর’ বা ‘অবিনশ্বর’। এখানে শব্দটির প্রকৃত অর্থ বোঝার জন্য এর মূল ব্যুৎপত্তি ও ব্যবহারিক দিকটি বোঝা জরুরি।
নশ্বর শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ‘নশ্’ ধাতু থেকে, যার অর্থ ‘নষ্ট হওয়া’, ‘বিনাশ হওয়া’ বা ‘ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়া’। এর সঙ্গে ‘বরচ’ প্রত্যয় যোগে গঠিত হয় ‘নশ্বর’, যার অর্থ ‘যার নষ্ট বা বিনাশ হওয়ার স্বভাব আছে’। কিন্তু প্রশ্নে বলা হয়েছে ‘নষ্ট হওয়ার অভাব যার’, অর্থাৎ যার মধ্যে বিনাশের গুণ নেই। তাই এই অর্থের বিপরীতে ‘নশ্বর’ শব্দটি ব্যবহার করা হয় তার বিপরীতার্থকতা নির্দেশ করতে।
এই প্রসঙ্গে বাংলা ভাষায় আরও কয়েকটি সম্পর্কিত শব্দ পাওয়া যায়— যেমন ‘বিনশ্বর’, যার অর্থও প্রায় একই; তবে ব্যবহারিক দিক থেকে ‘নশ্বর’ শব্দটি বেশি প্রচলিত ও সাহিত্যসম্মত। অনেক সময় কবি ও লেখকেরা জীবনের ক্ষণস্থায়িত্ব বোঝাতে এই শব্দটি ব্যবহার করেন। উদাহরণস্বরূপ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানবজীবনের অস্থায়িত্ব প্রকাশ করতে ‘নশ্বর দেহে অনশ্বর প্রাণ’ বলেছেন।
বাংলা সাহিত্যে ‘নশ্বর’ শব্দের ব্যবহার মানুষের জীবন, প্রেম, প্রকৃতি ও সময়ের অস্থায়ী রূপ বোঝাতে ব্যাপকভাবে হয়েছে। এর মাধ্যমে বোঝানো হয় যে পৃথিবীর সব বস্তুই একদিন ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, কেবল চেতনা বা আত্মা চিরন্তন। তাই যখন বলা হয় ‘নষ্ট হওয়ার অভাব যার’, তখন বোঝানো হয় এমন কিছু যা এই নশ্বরতার সীমা অতিক্রম করেছে।
এই শব্দের অর্থ বোঝার ক্ষেত্রে ভাষাতাত্ত্বিকভাবে একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ— ‘ন’ উপসর্গ সাধারণত ‘না’ বা ‘অভাব’ অর্থে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ‘নশ্বর’ শব্দে এই ‘ন’ উপসর্গটি মূল ধাতুর অংশ, আলাদা ‘না’ নয়। তাই অনেকেই ভুলভাবে মনে করেন ‘নশ্বর’ মানে ‘নষ্ট হয় না’, যা প্রকৃতপক্ষে বিপরীতার্থক। আসলে ‘নশ্বর’ মানে ‘যা নষ্ট হয়’, এবং তার বিপরীত অর্থে ‘অবিনশ্বর’ বা ‘অমর’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
সুতরাং প্রশ্নে প্রদত্ত অর্থ অনুযায়ী সঠিক উত্তর ‘নশ্বর’, কারণ এই শব্দটিই নির্দেশ করে এমন কিছু যা বিনাশ বা ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার গুণ ধারণ করে, এবং ‘নষ্ট হওয়ার অভাব যার’ এর অর্থটি পরোক্ষভাবে এই শব্দের বিপরীতার্থক রূপের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
0
Updated: 6 days ago
যা বলার যোগ্য নয়' এর কথায় প্রকাশ কী হবে?
Created: 1 month ago
A
অকথ্য
B
অনুক্ত
C
বক্তব্য
D
অশ্রুত
যা বলার যোগ্য নয় এক কথায় প্রকাশ—অকথ্য।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু এককথায় প্রকাশ নিম্নরূপ—
-
যা পূর্বে ছিল এখন নেই এক কথায় প্রকাশ — ভূতপূর্ব
-
যা পূর্বে দেখা যায় নি এমন এক কথায় প্রকাশ — অদৃষ্টপূর্ব
-
যা অধ্যয়ন করা হয়েছে এক কথায় প্রকাশ — অধীত
-
যা বলা হয় নি এক কথায় প্রকাশ — অনুক্ত
-
যা বলার যোগ্য নয় এক কথায় প্রকাশ — অকথ্য
-
যা পূর্বে শোনা যায় নি এক কথায় প্রকাশ — অশ্রুতপূর্ব
-
যা কখনো নষ্ট হয় না এক কথায় প্রকাশ — অবিনশ্বর
0
Updated: 1 month ago
যে উপকারীর উপকার করে, তাকে এক কথায় বলে-
Created: 6 days ago
A
কৃতজ্ঞ
B
অকৃতজ্ঞ
C
কৃতঘ্ন
D
কোনোটিই নয়
উ. ক) কৃতজ্ঞ
যে ব্যক্তি অন্যের উপকারের প্রতিদান দেয় বা উপকারের কথা মনে রাখে, তাকে বলা হয় কৃতজ্ঞ। এই শব্দটি কৃত (অর্থাৎ সম্পন্ন) এবং জ্ঞ (অর্থাৎ জানা) ধাতু থেকে গঠিত, যার আক্ষরিক অর্থ “যে উপকার জানে” বা “উপকার স্মরণ রাখে”। বাংলাভাষায় এটি এমন ব্যক্তিকে বোঝায়, যে অন্যের সহায়তা বা দয়া প্রাপ্ত হয়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
কৃতজ্ঞ ব্যক্তির মধ্যে সাধারণত উপকারের স্বীকৃতি, বিনয় ও শ্রদ্ধা থাকে। সে শুধু মুখে ধন্যবাদ জানায় না, বরং প্রয়োজনে সেই উপকারের প্রতিদান দিতে আগ্রহী থাকে। সমাজে এমন মানুষকে সম্মানিত দৃষ্টিতে দেখা হয়, কারণ কৃতজ্ঞতা মানবিকতার অন্যতম প্রধান গুণ।
অন্যদিকে অকৃতজ্ঞ শব্দটি বোঝায় এমন ব্যক্তিকে, যে উপকার পেয়েও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। সে উপকারীর উপকার ভুলে যায় বা অবহেলা করে। এটি একধরনের নৈতিক দুর্বলতা হিসেবে গণ্য হয়।
আর কৃতঘ্ন শব্দটির অর্থ আরও নেতিবাচক; এটি বোঝায় এমন মানুষকে, যে শুধু উপকার ভুলেই যায় না, বরং উপকারীর অনিষ্ট কামনা করে বা ক্ষতি করে। তাই কৃতঘ্নতা সমাজে এক গুরুতর দোষ হিসেবে বিবেচিত হয়।
কৃতজ্ঞতা মানবসম্পর্কের বন্ধনকে দৃঢ় করে তোলে। একজন কৃতজ্ঞ ব্যক্তি সমাজে সহযোগিতা, দয়া ও সহমর্মিতার উদাহরণ স্থাপন করে। সে জানে যে জীবনের প্রতিটি সাফল্যের পেছনে অন্যের অবদান রয়েছে—পরিবার, শিক্ষক, বন্ধু, এমনকি সমাজেরও। তাই সে বিনয়ের সঙ্গে সেই অবদানকে স্বীকার করে নেয়।
বাংলা সাহিত্যেও কৃতজ্ঞতার বহু উদাহরণ পাওয়া যায়। কবি ও সাহিত্যিকরা কৃতজ্ঞতাকে মহৎ গুণ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ শুধু নৈতিক কর্তব্য নয়, বরং এটি মানুষকে মানবিক করে তোলে। একজন কৃতজ্ঞ ব্যক্তি অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হয় এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে।
এই প্রেক্ষিতে “যে উপকারীর উপকার করে” তার জন্য কৃতজ্ঞ শব্দটিই সবচেয়ে উপযুক্ত। কারণ সে শুধু উপকার স্বীকার করে না, বরং সুযোগ পেলে উপকারীর প্রতি সহায়তা প্রদান করে নিজের মানবিক দায়িত্ব পালন করে।
অতএব, প্রদত্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো ক) কৃতজ্ঞ।
0
Updated: 6 days ago