”আ” প্রত্যয়যোগে গঠিত স্ত্রীবাচক শব্দ কোনটি?
A
পাঠিকা
B
লেখিকা
C
গায়িকা
D
কনিষ্ঠা
উত্তরের বিবরণ
কিছু নরবাচক শব্দকে স্ত্রীবাচক রূপে রূপান্তর করার নিয়ম রয়েছে।
• আ প্রত্যয় যোগে গঠিত স্ত্রীবাচক শব্দ:
-
বৃদ্ধ → বৃদ্ধা
-
প্রিয় → প্রিয়া
-
কনিষ্ঠ → কনিষ্ঠা
• '-অক' প্রত্যয় যুক্ত নরবাচক শব্দের নারীবাচক রূপ:
-
পাঠক → পাঠিকা
-
লেখক → লেখিকা
-
গায়ক → গায়িকা

0
Updated: 1 day ago
নিচের কোনটি প্রত্যয়ের অপপ্রয়োগজনিত অশুদ্ধি?
Created: 1 month ago
A
অলসতা
B
সৌজন্যতা
C
চঞ্চলতা
D
অধীরতা
ChatGPT said:

0
Updated: 1 month ago
'নীলিমা' শব্দের গঠনে কোন প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে?
Created: 2 days ago
A
আ
B
অ
C
ইমন্
D
শানচ্
‘নীলিমা’ শব্দের গঠনে ‘ইমন্’ তদ্ধিত প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে।
তদ্ধিত প্রত্যয় এমন একটি প্রত্যয় যা মূল শব্দের শেষে যুক্ত হয়ে নতুন অর্থবোধক শব্দ সৃষ্টি করে। এখানে নিয়মটি হলো—
যদি শব্দের শেষে ‘ইমা’ থাকে, তবে তার প্রত্যয়রূপ হয় ‘ইমন্’, এবং এতে ভাবার্থে বিশেষ্য শব্দ গঠিত হয়।
উদাহরণ:
-
মহৎ + ইমন্ = মহিমা,
-
নীল + ইমন্ = নীলিমা।

0
Updated: 2 days ago
উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যয়ের পার্থক্য-
Created: 3 months ago
A
অব্যয় ও শব্দাংশে
B
নতুন শব্দ গঠনে
C
উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পেছনে
D
ভিন্ন অর্থ প্রকাশে
উপসর্গ
উপসর্গ হলো এমন কিছু অর্থহীন শব্দাংশ, যা অন্য শব্দের শুরুর দিকে বসে নতুন শব্দ তৈরি করে। নিজের কোনো স্বাধীন অর্থ না থাকলেও, উপসর্গ নতুন শব্দ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উদাহরণ:
-
অ + জানা = অজানা
-
অভি + যোগ = অভিযোগ
-
বে + তার = বেতার
এখানে “অ”, “অভি”, “বে” – এগুলো উপসর্গ।
বৈশিষ্ট্য:
-
উপসর্গ শব্দের আগে বসে।
-
এগুলোর নিজস্ব অর্থ নেই, তবে এগুলো অর্থ সৃষ্টি করে এমন শব্দ গঠনে সাহায্য করে।
-
বাংলা ভাষায় প্রায় ৫০টির মতো উপসর্গ ব্যবহার হয়।
ধরন:
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গগুলো তিনটি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত:
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
-
তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ
-
বিদেশি উপসর্গ
প্রত্যয়
প্রত্যয় হলো এমন কিছু অর্থহীন শব্দাংশ, যা শব্দ বা ধাতুর পরে বসে নতুন শব্দ তৈরি করে।
উদাহরণ:
-
বাঘ + আ = বাঘা
-
দিন + ইক = দৈনিক
বৈশিষ্ট্য:
-
প্রত্যয় শেষে বসে।
-
এগুলো স্বাধীন অর্থ বহন করে না তবে শব্দের রূপ ও অর্থ পরিবর্তনে সাহায্য করে।
প্রকারভেদ:
প্রত্যয় প্রধানত দুই প্রকার:
১. কৃৎ প্রত্যয়
-
যে প্রত্যয় ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে।
উদাহরণ: -
চল (ধাতু) + অন্ত = চলন্ত
-
কৃ (ধাতু) + তব্য = কর্তব্য
👉 কৃৎ প্রত্যয় হতে পারে:
-
বাংলা কৃৎ প্রত্যয়
-
সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়
২. তদ্ধিত প্রত্যয়
-
যে প্রত্যয় শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে।
উদাহরণ: -
চোর + আ = চোরা
-
কেষ্ট + আ = কেষ্টা
-
ডিঙি + আ = ডিঙা
-
বাঘ্ + আ = বাঘা
-
হাত্ + আ = হাতা
তথ্যসূত্র:
"বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি" – নবম-দশম শ্রেণি, ২০২২ সংস্করণ।

0
Updated: 3 months ago