মুদ্রিত লেখা বা সংখ্যাসূচক ডেটা শনাক্ত করে কোনটি?
A
Barcode
B
OMR
C
OCR
D
QR Code
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর: OCR মুদ্রিত লেখা বা সংখ্যাসূচক ডেটা শনাক্ত করে থাকে।
OCR (Optical Character Recognition):
OCR হলো একটি উন্নত স্ক্যানিং ও তুলনা প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে মুদ্রিত লেখা বা সংখ্যাসূচক তথ্য (Printed Text or Numeric Data) শনাক্ত ও ডিজিটাল আকারে রূপান্তর করা হয়। এই প্রযুক্তির ফলে কোনো মুদ্রিত নথি পুনরায় টাইপ না করেই সেটি কম্পিউটারে পড়া ও সম্পাদনা করা যায়।
কাজের পদ্ধতি:
-
মুদ্রিত নথি প্রথমে স্ক্যানার দ্বারা স্ক্যান করা হয়।
-
এরপর OCR সফটওয়্যার প্রতিটি অক্ষরকে লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত মানক অক্ষরগুলোর সঙ্গে তুলনা করে চিনে নেয়।
-
অক্ষরের অবস্থান ও নিকটতার (proximity) ভিত্তিতে শব্দ শনাক্ত করা হয়।
-
শেষ ধাপে সফটওয়্যার মূল নথির বিন্যাস বা ফরম্যাট পুনর্গঠন করার চেষ্টা করে।
নির্ভুলতা:
-
স্ক্যানের মান যত উচ্চ ও পরিষ্কার, ফলাফল তত সঠিক হয়।
-
স্ক্যান বা মূল লেখার মান নিম্নমানের হলে অক্ষর শনাক্তকরণে ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
ব্যবহার:
-
পোস্টাল সার্ভিসে: চিঠিপত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে শ্রেণিবিন্যাসে ব্যবহার করা হয়।
-
ডিজিটাল আর্কাইভে: পুরনো বই বা নথি ডিজিটাইজ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
ব্যাংকিং সেক্টরে: চেকের লেখাসমূহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পড়তে ব্যবহৃত হয়।
-
ডেটা এন্ট্রি: দ্রুত ও নির্ভুলভাবে মুদ্রিত তথ্য কম্পিউটারে ইনপুট দিতে সহায়ক।
ঐতিহাসিক তথ্য:
-
১৯৬৫ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের U.S. Postal Service প্রথমবারের মতো অক্ষর ও সংখ্যা শনাক্তকরণের জন্য OCR প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করে।
-
১৯৮০-এর দশকের শুরুতে, তারা এমন যন্ত্র তৈরি করে যা ঠিকানা স্ক্যান, পোস্টাল কোড যাচাই ও রাউটিং কোড প্রিন্ট করতে সক্ষম ছিল।
OCR প্রক্রিয়ার ধাপ:
১. মুদ্রিত লেখা বা সংখ্যা স্ক্যান করা।
২. স্ক্যানকৃত অক্ষরের সঙ্গে লাইব্রেরির অক্ষরের তুলনা।
৩. অক্ষরগুলোর নিকটতার মাধ্যমে শব্দ শনাক্তকরণ।
৪. মূল পৃষ্ঠার বিন্যাস পুনর্গঠন।
অন্য প্রযুক্তিগুলোর সঙ্গে পার্থক্য:
-
Barcode: রেখা বা প্যাটার্নের মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ ও শনাক্ত করে।
-
OMR: মার্ক করা বৃত্ত বা ডট শনাক্ত করে (যেমন – পরীক্ষার উত্তরপত্রে)।
-
QR Code: স্ক্যানের মাধ্যমে তথ্য পড়া হয়, তবে এটি লেখা বা সংখ্যাসূচক অক্ষর শনাক্ত করে না।
সারসংক্ষেপ:
OCR হলো এমন একটি প্রযুক্তি যা মুদ্রিত লেখা ও সংখ্যা শনাক্ত করে ডিজিটাল আকারে রূপান্তর করে, ফলে তথ্য ইনপুটের কাজ দ্রুত, সহজ ও নির্ভুল হয়।

0
Updated: 1 day ago
ডিএনএ ম্যাপিং, ড্রাগ ডিজাইন- এইগুলো কোন বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে অন্তর্গত?
Created: 4 days ago
A
বায়োইনফরমেটিক্স
B
ন্যানোটেকনোলজি
C
ক্রায়োসার্জারি
D
জেনেটিক অ্যালগরিদম
ডিএনএ ম্যাপিং এবং ড্রাগ ডিজাইন হলো বায়োইনফরমেটিক্সের অন্তর্গত গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। বায়োইনফরমেটিক্স হলো জীববিজ্ঞান, কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং তথ্যপ্রযুক্তির সংমিশ্রণ, যা জীবজগতের ডেটা বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যায় ব্যবহৃত হয়। ডিএনএ সিকোয়েন্স বা জিনোম ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে জেনেটিক তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়, যা রোগ শনাক্তকরণ এবং ব্যক্তিগতকৃত চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একইভাবে, ড্রাগ ডিজাইন-এ বায়োইনফরমেটিক্স ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রোটিন বা লক্ষ্য অণুর সাথে সঠিক ও কার্যকরী ওষুধ আবিষ্কার করা যায়। এই প্রক্রিয়ায় কম্পিউটার অ্যালগরিদম এবং সিমুলেশন প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বায়োইনফরমেটিক্স:
-
বায়োইনফরমেটিক্স হলো এমন একটি শাখা, যেখানে জীববিজ্ঞানের তথ্য বিশ্লেষণের জন্য কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
বায়োইনফরমেটিক্সের ব্যবহার:
-
প্যাটার্ন রিকগনিশন
-
ডেটা মাইনিং
-
মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যালগরিদম
-
ভিজ্যুয়ালাইজেশন
গবেষণায় বায়োইনফরমেটিক্সের প্রয়োগ:
-
সিকোয়েন্স এলাইনমেন্ট
-
ডিএনএ ম্যাপিং ও এনালাইসিস
-
জিন ফাইন্ডিং ও জিনোম সমাগম
-
ড্রাগ নকশা ও ড্রাগ আবিষ্কার
-
প্রোটিনের গঠন এবং ভবিষ্যত গঠন
-
জিন সূত্রের ভবিষ্যত
-
প্রোটিন-প্রোটিনের মিথষ্ক্রিয়া
-
জিনোমের ব্যাপ্তি এবং বিবর্তনের মডেলিং
🔹 উপসংহার: ডিএনএ ম্যাপিং এবং ড্রাগ ডিজাইন স্পষ্টভাবে বায়োইনফরমেটিক্সের অন্তর্ভুক্ত।

0
Updated: 4 days ago
"জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং"-এর জনক হিসেবে কে পরিচিত?
Created: 2 weeks ago
A
Paul Berg
B
Gregor Mendel
C
James Watson
D
Herbert Boyer
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর জনক হিসেবে পরিচিত Paul Berg। ১৯৭২ সালে তিনি প্রথম কৃত্রিমভাবে DNA-এর দুটি ভিন্ন অংশ একত্রিত করে রিকম্বিন্যান্ট DNA (rDNA) তৈরি করেন। এই কাজ জীববিজ্ঞানের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে, যা চিকিৎসা, কৃষি এবং শিল্পখাতে বিপ্লব ঘটায়। Paul Berg-এর গবেষণা ভবিষ্যতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তির ভিত্তি স্থাপন করে এবং জেনেটিক রোগ নিরাময়, জৈবপ্রযুক্তি, ও জেনেটিক্যালি মডিফায়েড ফসল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তার এই যুগান্তকারী অবদানের জন্য তিনি ১৯৮০ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
সঠিক উত্তর: ক) Paul Berg
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং:
-
বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে কোনো জীবের জিনোমকে মানুষের সুবিধানুযায়ী পরিবর্তন বা সাজানোকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জেনেটিক মডিফিকেশন বলা হয়।
-
১৯৭২ সালে Paul Berg বানরের ভাইরাস SV40 এবং lambda virus-এর DNA নিয়ে রিকম্বিন্যান্ট DNA তৈরি করেন, যা জীববিজ্ঞানের গবেষণায় বিপ্লব ঘটায়।
-
এই প্রযুক্তি বর্তমানে জেনেটিক রোগ নিরাময়, নতুন ওষুধ তৈরি, GM ফসল উৎপাদন এবং বিভিন্ন শিল্পখাতে ব্যবহৃত হচ্ছে।

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি সাইবার অপরাধ নয়?
Created: 1 week ago
A
স্পুফিং
B
প্লেজিয়ারিজম
C
লজিক বম্ব
D
ফাজি লজিক
ফাজি লজিক (Fuzzy Logic) হলো এমন একটি লজিক ব্যবস্থা যা শুধুমাত্র সত্য বা মিথ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং বিভিন্ন মান বা ডিগ্রির সমাধান দিতে সক্ষম। এটি কম্পিউটার সিস্টেমে জটিল সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করা হয়, যেখানে সিদ্ধান্ত বা ফলাফল কেবল 'হ্যাঁ' বা 'না' নয়, বরং একাধিক সম্ভাব্য মানে প্রকাশ করা যেতে পারে।
ফাজি লজিকের বৈশিষ্ট্য
-
ফাজি লজিক সাধারণ বাইনারি লজিকের চেয়ে বেশি সূক্ষ্মতা প্রদান করে।
-
এটি সমস্যার সমাধান ১ অথবা ০ ছাড়াও বিভিন্ন মানে প্রকাশ করতে পারে।
-
বাইনারি লজিকে একটি সমস্যার সমাধান কেবল হ্যাঁ বা না হতে পারে, কিন্তু ফাজি লজিকে সমাধান একাধিক ডিগ্রিতে হতে পারে।
-
এটি বিশেষ করে জটিল সিস্টেম, কন্ট্রোল সিস্টেম, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
তুলনামূলক তথ্য
অন্যদিকে, নীচের বিষয়গুলো সাইবার অপরাধের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:
-
স্পুফিং (Spoofing) – নেটওয়ার্ককে বিভ্রান্ত করার জন্য ভুল তথ্য ব্যবহার।
-
প্লেজিয়ারিজম (Plagiarism) – অন্যের লেখা বা কন্টেন্ট চুরি করে নিজের নামে ব্যবহার বা প্রকাশ করা।
-
লজিক বম্ব (Logic Bomb) – ইভেন্ট নির্ভর প্রোগ্রামের মাধ্যমে সিস্টেমে আক্রমণ চালানো।

0
Updated: 1 week ago