IoT (Internet of Things) ডিভাইস সাধারণত কোন প্রোটোকল ব্যবহার করে ডেটা বিনিময় করে?
A
FTP ও SMTP
B
IP ও TCP
C
HTTP ও HTTPS
D
DNS ও DHCP
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর: IoT (Internet of Things) ডিভাইস সাধারণত IP ও TCP প্রোটোকল ব্যবহার করে ডেটা বিনিময় করে।
ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT):
Internet of Things (IoT) হলো এমন একটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা, যেখানে বিভিন্ন ডিজিটাল এবং শারীরিক ডিভাইস—যেমন সেন্সর, স্মার্টফোন, যানবাহন, মেশিন, ও চিকিৎসা যন্ত্র—ইন্টারনেটের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে তথ্য আদান–প্রদান করতে পারে।
এই সংযুক্তি সম্ভব হয় Internet Protocol (IP) ও Transmission Control Protocol (TCP)-এর মাধ্যমে, যা ডিভাইসগুলোকে নেটওয়ার্কে সনাক্ত করতে ও নির্ভরযোগ্যভাবে ডেটা পাঠাতে সক্ষম করে।
প্রযুক্তিগত কাঠামো:
-
IP (Internet Protocol): ডিভাইসগুলোর জন্য একটি স্বতন্ত্র ঠিকানা (unique address) প্রদান করে, যা তাদের একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত হতে সহায়তা করে।
-
TCP (Transmission Control Protocol): ডেটা প্যাকেটগুলোকে সঠিকভাবে প্রেরণ, গ্রহণ ও পুনর্গঠন নিশ্চিত করে, যাতে সংযোগটি নির্ভরযোগ্য থাকে।
-
এই প্রোটোকলগুলো ইথারনেট, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, ও ৫জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ডেটা বিনিময় সম্পন্ন করে, ফলে শারীরিক জগত ও ডিজিটাল জগতের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়।
IoT ডিভাইসের ধরণ:
১. ডিজিটাল-প্রথম (Digital-first):
-
যেমন: স্মার্টফোন বা স্মার্টওয়াচ।
-
এই ডিভাইসগুলোতে বিল্ট-ইন কানেক্টিভিটি থাকে এবং সরাসরি ডিভাইস-টু-ডিভাইস (M2M) যোগাযোগ করতে পারে।
২. শারীরিক-প্রথম (Physical-first):
-
যেমন: যানবাহন, শিল্প যন্ত্রপাতি, মেডিকেল ডিভাইস।
-
এসব যন্ত্রে সেন্সর, মাইক্রোচিপ বা কমিউনিকেশন মডিউল যোগ করে তাদের কার্যকারিতা ও ডেটা ট্র্যাকিং ক্ষমতা বাড়ানো হয়।
IoT-এর ব্যবহার ক্ষেত্র:
-
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য মনিটরিং (যেমন স্মার্ট ওয়াচ বা ফিটনেস ব্যান্ড)
-
স্মার্ট ট্রাফিক নেটওয়ার্ক পরিচালনা
-
সংযুক্ত স্টোরেজ ট্যাংক পর্যবেক্ষণ
-
COVID-19 মহামারীর সময় সংযুক্ত থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ ও ভাইরাসের বিস্তার ট্র্যাক করা
-
কৃষি, পরিবহন ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে দক্ষতা ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন
ইতিহাস:
-
“Internet of Things” শব্দটি প্রথম প্রবর্তন করেন ব্রিটিশ প্রযুক্তিবিদ কেভিন অ্যাশটন (Kevin Ashton), ১৯৯৯ সালে।
সুরক্ষা ও গোপনীয়তার চ্যালেঞ্জ:
-
IoT নেটওয়ার্কে ক্রমবর্ধমান সংযুক্তির কারণে ডেটা লঙ্ঘন, হ্যাকিং ও অননুমোদিত প্রবেশের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
-
দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে ব্যক্তিগত তথ্য, স্বাস্থ্য ও আর্থিক ডেটা হারানো বা অপব্যবহারের আশঙ্কা থাকে।
সারসংক্ষেপ:
IoT ডিভাইসগুলো সাধারণত IP ও TCP প্রোটোকল ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে, যা তাদের বিশ্বব্যাপী সংযুক্ত ও স্মার্ট নেটওয়ার্কে পরিণত করে।

0
Updated: 1 day ago
অফিস অটোমেশনে কোন সফটওয়্যারটি সাধারণত ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের জন্য ব্যবহার হয়?
Created: 2 weeks ago
A
Microsoft Word
B
Adobe Photoshop
C
AutoCAD
D
VLC Media Player
অফিস অটোমেশনে সাধারণত ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের জন্য Microsoft Word ব্যবহার করা হয়। এটি একটি জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী ওয়ার্ড প্রসেসর, যা মাইক্রোসফট কোম্পানি তৈরি করেছে। এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট যেমন চিঠি, প্রতিবেদন, জীবনবৃত্তান্ত ইত্যাদি সহজে তৈরি, সম্পাদনা এবং ছাপানো যায়। Microsoft Word-এ টেক্সট ফরম্যাটিং, বানান ও ব্যাকরণ যাচাই, ছবি সংযোজন, টেবিল তৈরি এবং বিভিন্ন টেমপ্লেট ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। অন্যদিকে, Adobe Photoshop চিত্র সম্পাদনার জন্য, AutoCAD নকশা তৈরির জন্য এবং VLC Media Player ভিডিও/অডিও চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়, ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের জন্য নয়।
সঠিক উত্তর: ক) Microsoft Word
অফিস অটোমেশন সম্পর্কে তথ্য:
-
অফিস পরিচালনার ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির একটি প্রায়োগিক টুল হলো অফিস অটোমেশন সিস্টেম।
-
অফিস অটোমেশন হলো এমন একটি প্রযুক্তিনির্ভর কার্যক্রম, যার মাধ্যমে অফিসে ব্যবস্থাপনা, তথ্য সংরক্ষণ, ডকুমেন্ট প্রস্তুতি, যোগাযোগ ও বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বা কম্পিউটারাইজডভাবে সম্পন্ন করা যায়।
-
এর মধ্যে ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশীট, প্রেজেন্টেশন, ইমেল পরিচালনা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।
-
অফিস অটোমেশন ব্যবহারে সময় বাঁচানো, কাজের কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং ত্রুটি হ্রাস করা সম্ভব হয়।

0
Updated: 1 week ago
নেটওয়ার্কের মধ্যে ডিভাইস সংযোগের ধরনকে কী বলে?
Created: 3 weeks ago
A
প্রোটোকল
B
নোড
C
টপোলজি
D
প্যাকেজ
নেটওয়ার্ক টপোলজি (Network Topology) হলো একটি নেটওয়ার্কে বিভিন্ন ডিভাইস যেমন কম্পিউটার, রাউটার, সুইচ ইত্যাদি কীভাবে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকবে তা বর্ণনা করার পদ্ধতি। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি নেটওয়ার্কের গঠন বা কাঠামো নির্দেশ করে।
-
নেটওয়ার্ক সিস্টেমের ফিজিক্যাল ডিভাইস বা উপাদানগুলো যেভাবে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে, তাকেই নেটওয়ার্ক টপোলজি বলা হয়।
-
সাধারণত নেটওয়ার্ক টপোলজি বলতে নেটওয়ার্ক সিস্টেমের ফিজিক্যাল অবস্থার বা ডিজাইনের বর্ণনাই বোঝানো হয়।
নেটওয়ার্ক টপোলজির প্রধান ধরনগুলো হলো:
১। বাস টপোলজি
২। রিং টপোলজি
৩। স্টার টপোলজি
৪। ট্রি টপোলজি
৫। হাইব্রিড টপোলজি
৬। মেশ টপোলজি
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
1G মোবাইল ফোন কোন প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে কাজ করেছিলো?
Created: 3 weeks ago
A
ডিজিটাল প্রযুক্তি
B
ইনফ্রারেড সিগন্যাল
C
অ্যানালগ প্রযুক্তি
D
ব্লুটুথ কানেকশন
প্রথম প্রজন্মের মোবাইল ফোন (1G: 1979–1990) হলো মোবাইল যোগাযোগের প্রথম ধাপ, যা অ্যানালগ প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে কাজ করত।
1G-এর সূচনা ও উদ্ভাবন
-
যুক্তরাষ্ট্রে Motorola DynaTAC (Total Access Communication System) হ্যান্ডসেট চালু করে।
-
১৯৭৯ সালে জাপানের NTTC (Nippon Telegraph and Telephone Corporation) প্রথম বাণিজ্যিকভাবে অটোমেটেড সেলুলার নেটওয়ার্ক চালু করে।
-
১৯৮০-এর দশকে 1G সেলুলার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সাধারণ ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে।
-
নব্বইয়ের দশকের শুরু পর্যন্ত এই প্রজন্মের সিস্টেম ব্যবহার হতো।
-
রোমিং ব্যবস্থা সীমিত ছিল।
-
উদাহরণ: AMPS (Advanced Mobile Phone System), TACS (Total Access Communication System)।
প্রথম প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য
-
অ্যানালগ রেডিও সিগন্যাল ব্যবহৃত হতো।
-
সেলুলার নেটওয়ার্কের প্রবর্তন।
-
বেজ স্টেশন ও মোবাইল ফোন ভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করত।
-
অর্ধপরিবাহী মেমোরি ও মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহৃত হতো।
-
চ্যানেল অ্যাকসেস পদ্ধতি: FDMA (Frequency Division Multiple Access)।
-
বড় আকার ও ভারী ওজন।
-
কথোপকথন চলাকালীন ব্যবহারকারীর অবস্থান পরিবর্তন হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত।

0
Updated: 3 weeks ago