পাওয়ার ব্যাকআপের মূল শক্তি সঞ্চয়ের উপায় হলো -
A
ট্রান্সফরমার
B
ব্যাটারি
C
জেনারেটর
D
সোলার প্যানেল
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর: পাওয়ার ব্যাকআপের মূল শক্তি সঞ্চয়ের উপায় হলো ব্যাটারি।
পাওয়ার ব্যাকআপ সিস্টেম (Power Backup System):
পাওয়ার ব্যাকআপ হলো এমন একটি ব্যবস্থা, যা মূল বিদ্যুৎ সরবরাহ (main power line) বন্ধ হয়ে গেলে বা ব্যাহত হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সহায়তা করে। এই সিস্টেমে মূল শক্তি সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়।
কাজের প্রক্রিয়া:
-
যখন মূল বিদ্যুৎ সরবরাহ (AC Power) বন্ধ হয়ে যায়, তখন ব্যাটারিতে সঞ্চিত DC (Direct Current) শক্তি ব্যবহার করা হয়।
-
ইনভার্টার বা পাওয়ার ব্যাকআপ ডিভাইস এই DC শক্তিকে পরিবর্তন করে AC (Alternating Current)-এ রূপান্তরিত করে, যা ঘরোয়া বা অফিসের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির জন্য উপযোগী।
-
ফলে কম্পিউটার, লাইট, ফ্যান, রাউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসগুলো বিদ্যুৎ চলে গেলেও নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু থাকে।
পাওয়ার ব্যাকআপের প্রধান উপাদান:
-
ব্যাটারি (Battery): শক্তি সঞ্চয়ের মূল মাধ্যম।
-
ইনভার্টার (Inverter): ব্যাটারির DC বিদ্যুৎকে AC তে রূপান্তর করে।
-
চার্জার ইউনিট (Charger Unit): মূল বিদ্যুৎ আসলে ব্যাটারি পুনরায় চার্জ করে।
পাওয়ার ব্যাকআপ সিস্টেমের ধরন:
১. IPS (Instant Power Supply): বিদ্যুৎ চলে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাটারির বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
২. UPS (Uninterrupted Power Supply): কম্পিউটার ও সংবেদনশীল যন্ত্রে ব্যবহার হয়; বিদ্যুৎ চলে গেলেও একটুও সময় না নিয়ে শক্তি সরবরাহ অব্যাহত রাখে।
৩. EPS (Emergency Power Supply): জরুরি পরিস্থিতিতে, যেমন হাসপাতাল বা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়।
৪. QPS (Quick Power Supply): স্বল্প সময়ের জন্য দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত হয়।
সারসংক্ষেপ:
পাওয়ার ব্যাকআপ সিস্টেমের মূল শক্তি সঞ্চয়ের উপাদান হলো ব্যাটারি, যা চার্জ হয়ে বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করে এবং প্রয়োজনের সময় তা সরবরাহ করে।

0
Updated: 1 day ago
ওয়েব হোস্টিং এর প্রধান উদ্দেশ্য কী?
Created: 3 weeks ago
A
ওয়েব সার্চিং কার্যক্রম
B
ওয়েব অ্যানালিটিক্স পর্যবেক্ষণ
C
ওয়েবপেজ কোডিং ও স্টাইলিং
D
ওয়েবসাইটের তথ্য অনলাইনে সংরক্ষণ
ওয়েব হোস্টিং (Web Hosting) হলো একটি পরিষেবা যা কোনো ওয়েবসাইটের ফাইলসমূহ (HTML, CSS, Image, Video, Database ইত্যাদি) ইন্টারনেটের মাধ্যমে সার্ভারে সংরক্ষণ করে, যাতে ব্যবহারকারীরা তা অনলাইনে অ্যাক্সেস করতে পারে।
ওয়েব হোস্টিং সম্পর্কিত মূল তথ্য:
-
ওয়েবসাইট তৈরি করতে ব্যবহৃত ফাইল, কোড, ছবি এবং অ্যাপ্লিকেশন সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয়।
-
হোস্টিং পরিষেবাগুলো সার্ভার সরবরাহ, কনফিগারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করে।
-
প্রয়োজনে অতিরিক্ত সুবিধা যেমন ব্যাকআপ, সিকিউরিটি, এবং ডোমেইন ম্যানেজমেন্টও প্রদান করে।
ওয়েব হোস্টিং-এর কার্যপ্রণালি:
-
ফাইল ও কনটেন্ট সংরক্ষণ: HTML, CSS, JavaScript, মিডিয়া ফাইল ইত্যাদি সার্ভারে রাখা হয়।
-
২৪/৭ অনলাইন সার্ভার: ওয়েবসাইট সর্বদা ব্যবহারযোগ্য থাকে।
-
ডোমেইন নেম এবং IP Address: ওয়েবসাইট লোড করতে ব্যবহৃত হয়।
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
এমবেডেড সিস্টেমে সাধারণত কোন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
DOS 6.0
B
Linux (RTOS)
C
macOS
D
Windows 11
এম্বেডেড সিস্টেমে সাধারণত Linux (Embedded/RTOS) ব্যবহার করা হয়। এমবেডেড সিস্টেম হলো একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য ডিজাইন করা কম্পিউটার সিস্টেম, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ, নজরদারি বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করে। এই ধরনের সিস্টেমে সম্পূর্ণ ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেম যেমন Windows 11 বা macOS ব্যবহার করা অকার্যকর এবং ভারী হয়ে যায়। DOS 6.0 অনেক পুরনো এবং সীমিত ফিচারের কারণে আধুনিক এমবেডেড ডিভাইসে কার্যকর নয়। অন্যদিকে, Linux ভিত্তিক এমবেডেড বা রিয়েল-টাইম অপারেটিং সিস্টেম (RTOS) হালকা, স্থিতিশীল এবং বিভিন্ন হার্ডওয়্যার প্ল্যাটফর্মে অভিযোজিত করা যায়। এছাড়াও, RTOS নির্ভুল সময়ে কাজ সম্পাদনের সুবিধা দেয়, যা সেন্সর বা নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, এমবেডেড সিস্টেমে Linux বা RTOS সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়।
এম্বেডেড কম্পিউটার:
-
এমবেডেড কম্পিউটার হলো একটি বিশেষায়িত কম্পিউটার সিস্টেম, যা একটি নির্দিষ্ট কাজ বা প্রক্রিয়ার জন্য তৈরি।
-
এটি সাধারণ কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মতো বহুমুখী নয়, বরং নির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনে দক্ষ এবং হালকা।
-
এমবেডেড কম্পিউটার বিভিন্ন ডিভাইস যেমন স্মার্টফোন, রোবট, হোম অটোমেশন, মেডিকেল ডিভাইস ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্ট্রোল সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়।
-
এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ, সেন্সর নিয়ন্ত্রণ এবং সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট করতে সক্ষম।
চাওয়াতে আমি চাইলে এম্বেডেড সিস্টেমে Linux/RTOS ব্যবহারের প্রধান সুবিধা ও উদাহরণও সংযোজন করতে পারি।

0
Updated: 2 weeks ago
হাফ-ডুপ্লেক্স মোডের একটি উদাহরণ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
ওয়াকিটকি
B
রেডিও
C
মোবাইল ফোন
D
টিভি
ডাটা ট্রান্সমিশন মোড হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে উৎস থেকে গন্তব্যে ডাটা প্রেরণের সময় ডাটা প্রবাহের দিক বিবেচনা করা হয়। এটি মূলত তিন প্রকারে বিভক্ত।
-
ডাটা ট্রান্সমিশন মোড:
-
উৎস থেকে গন্তব্যে ডাটা প্রেরণের সময় ডাটা প্রবাহের দিক অনুযায়ী যে পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়, তাকে ডাটা ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়।
-
ডাটা প্রবাহের দিকের উপর ভিত্তি করে ডাটা ট্রান্সমিশন মোডকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
-
-
সিমপ্লেক্স (Simplex):
-
শুধুমাত্র একদিকে ডাটা প্রেরণ হয়।
-
গ্রাহক যন্ত্র কখনোই প্রেরক যন্ত্রে ডাটা পাঠাতে পারে না।
-
উদাহরণ: রেডিও, টিভি, কীবোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডাটা প্রেরণ।
-
-
হাফ-ডুপ্লেক্স (Half-Duplex):
-
যে কোনো প্রান্ত ডাটা গ্রহণ বা প্রেরণ করতে পারে, কিন্তু একই সময়ে উভয় করতে পারে না।
-
উদাহরণ: ওয়াকিটকি, যেখানে A যখন ডাটা প্রেরণ করছে, B তখন ডাটা গ্রহণ করতে পারে কিন্তু প্রেরণ করতে পারে না।
-
-
ফুল-ডুপ্লেক্স (Full-Duplex):
-
একই সময়ে উভয় দিক থেকে ডাটা প্রেরণ এবং গ্রহণ সম্ভব।
-
উদাহরণ: টেলিফোন, মোবাইল ফোন, যেখানে ডাটা প্রেরণ ও গ্রহণ একসাথে হয়।
-
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago