কোনটি ইনপুট এবং আউটপুট উভয় ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করা যায়?
A
মাউস
B
টাচ স্ক্রিন
C
ওএমআর
D
স্পিকার
উত্তরের বিবরণ
টাচ স্ক্রিন ইনপুট ও আউটপুট উভয় ডিভাইস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ইনপুট ডিভাইস:
যেসব যন্ত্রের মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারকে তথ্য বা নির্দেশ প্রদান করি, সেগুলোকে ইনপুট ডিভাইস বলা হয়। এগুলোর সাহায্যে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ডেটা গ্রহণ করে এবং তা প্রক্রিয়াজাত করে।
ইনপুট ডিভাইসের উদাহরণ:
-
কি-বোর্ড (Keyboard)
-
মাউস (Mouse)
-
স্ক্যানার (Scanner)
-
ওএমআর (OMR)
-
ওসিআর (OCR)
-
জয়স্টিক (Joystick)
-
ট্র্যাকবল (Trackball)
-
ডিজিটাইজার (Digitizer)
-
টাচ স্ক্রিন (Touch Screen)
-
লাইটপেন (Light Pen)
-
বারকোড রিডার (Bar Code Reader)
-
গ্রাফিক্স প্যাড (Graphics Pad)
-
পয়েন্ট অফ সেল (Point of Sale)
-
ডিজিটাল ক্যামেরা (Digital Camera) ইত্যাদি।
আউটপুট ডিভাইস:
কম্পিউটারে প্রক্রিয়াজাত ডেটা থেকে যে ফলাফল বা তথ্য আমরা পাই, তা আউটপুট নামে পরিচিত। এই তথ্য প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রগুলোকে আউটপুট ডিভাইস বলা হয়।
আউটপুট ডিভাইসের উদাহরণ:
-
মনিটর (Monitor)
-
প্রিন্টার (Printer)
-
প্লটার (Plotter)
-
স্পিকার (Speaker)
-
মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর (Multimedia Projector)
-
ইমেজ সেটার (Image Setter)
-
ফিল্ম রেকর্ডার (Film Recorder)
-
হেডফোন (Headphone) ইত্যাদি।
ইনপুট–আউটপুট উভয় ডিভাইস:
বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এমন কিছু ডিভাইস রয়েছে যা একই সঙ্গে ইনপুট ও আউটপুটের কাজ সম্পন্ন করতে পারে।
উদাহরণ:
-
হার্ড ডিস্ক (Hard Disk)
-
সিডি/ডিভিডি (CD/DVD)
-
পেন ড্রাইভ (Pen Drive)
-
টাচ স্ক্রিন (Touch Screen)
টাচ স্ক্রিনের বিশেষত্ব:
টাচ স্ক্রিন একই সঙ্গে ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস, কারণ—
-
এটি ডিসপ্লে স্ক্রিনের মাধ্যমে তথ্য প্রদর্শন করে (আউটপুট),
-
আবার ব্যবহারকারী স্ক্রিনে স্পর্শ করে নির্দেশ প্রদান করতে পারে (ইনপুট)।

0
Updated: 1 day ago
নিচের কোনটি ইনপুট এবং আউটপুট উভয় ডিভাইস হিসেবে কাজ করে?
Created: 4 weeks ago
A
প্রিন্টার
B
স্ক্যানার
C
টাচস্ক্রিন
D
ওয়েবক্যাম
টাচস্ক্রিন হলো একটি ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস, যা ব্যবহারকারীর স্পর্শের মাধ্যমে ইনপুট গ্রহণ করে এবং তথ্য প্রদর্শন করে।
ইনপুট ডিভাইস: যেসব ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটারে ডাটা বা কমান্ড ইনপুট করা যায়।
-
উদাহরণ: কি-বোর্ড, মাউস, অপটিকাল রিডার, জয়স্টিক, মাইক্রোফোন, স্ক্যানার, গ্রাফিক্স প্যাড, লাইট পেন, ওয়েবক্যাম, ওসিআর।
আউটপুট ডিভাইস: যেগুলোর মাধ্যমে কম্পিউটার থেকে ডাটা বা তথ্য আউটপুট নেওয়া যায়।
-
উদাহরণ: মনিটর, প্রিন্টার, প্রজেক্টর, স্পিকার, প্লটার।
ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস: কিছু ডিভাইস আছে যেগুলো উভয় ভূমিকা পালন করে।
-
উদাহরণ: পেন ড্রাইভ, টাচস্ক্রিন, মডেম।

0
Updated: 4 weeks ago
Unicode মূলত কী সরবরাহ করে?
Created: 4 days ago
A
একটি প্রোগ্রামিং ভাষা
B
ফাইল কম্প্রেস করার একটি পদ্ধতি
C
সব ভাষার অক্ষরের জন্য একটি এঙ্কোডিং স্ট্যান্ডার্ড
D
একটি ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
ইউনিকোড (Unicode) হলো একটি আন্তর্জাতিক অক্ষর এনকোডিং স্ট্যান্ডার্ড, যা পৃথিবীর প্রায় সব ভাষার বর্ণমালা, সংখ্যা, প্রতীক ও বিশেষ চিহ্নকে একটি অভিন্ন কোডে প্রকাশ করে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো—সব ভাষার অক্ষর যেন একইভাবে কম্পিউটার, মোবাইল, ওয়েব বা অন্য যেকোনো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সঠিকভাবে প্রদর্শিত হয়।
ইউনিকোডের মূল বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব:
-
এটি একটি আন্তর্জাতিক মান (International Standard) যা পৃথিবীর প্রায় সব ভাষার জন্য একক এনকোডিং ব্যবস্থা সরবরাহ করে।
-
Unicode ব্যবহারের ফলে একই অক্ষর সব ডিভাইস ও সফটওয়্যারে একইভাবে প্রদর্শিত হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ, ইংরেজি, বাংলা, আরবি, চীনা ইত্যাদি প্রতিটি ভাষার জন্য Unicode আলাদা আলাদা কোড পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে।
-
Unicode ব্যবহারের মাধ্যমে বহুভাষিক ডকুমেন্ট তৈরি, ওয়েব কনটেন্ট প্রকাশ, ও ডেটা বিনিময় সহজ হয়।
ইউনিকোডের ইতিহাস ও প্রযুক্তিগত তথ্য:
-
১৯৯১ সালে Apple Computer Corporation এবং Xerox Corporation-এর একদল প্রকৌশলী যৌথভাবে এটি উদ্ভাবন করেন।
-
ইউনিকোডের প্রাথমিক সংস্করণে ২ বাইট (১৬ বিট) কোড ব্যবহৃত হতো, যা দিয়ে ৬৫,৫৩৬টি অক্ষর প্রকাশ করা যেত।
-
বর্তমানে Unicode-এর সর্বশেষ সংস্করণে ১,০০,০০০-এরও বেশি অক্ষর অন্তর্ভুক্ত আছে।
-
Unicode মূলত বিশ্বের আধুনিক ও প্রাচীন ভাষার লিখিত পাঠ্যের ইলেকট্রনিক আদান-প্রদান, প্রক্রিয়াকরণ ও প্রদর্শন সহজ করার জন্য তৈরি।
-
Unicode চালুর আগে বিভিন্ন এনকোডিং সিস্টেম (যেমন ASCII) ব্যবহৃত হতো, কিন্তু সেগুলো সীমিত অক্ষর সমর্থন করত এবং ভাষাভেদে আলাদা ছিল।
-
Unicode-এর বিশেষত্ব হলো—এর প্রতিটি অক্ষরের জন্য নির্ধারিত একটি ইউনিক নম্বর (Code Point) থাকে, যা যে কোনো Unicode-সমর্থিত সিস্টেমে একই থাকে।
🔹 সঠিক উত্তর: (গ) — Unicode হলো এমন একটি এনকোডিং স্ট্যান্ডার্ড যা সব ভাষার অক্ষরের জন্য ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 4 days ago
কোনটি আচরণগত বায়োমেট্রিক্সের উদাহরণ নয়?
Created: 1 day ago
A
স্বাক্ষর শনাক্তকরণ
B
কী-বোর্ডে টাইপিং গতি যাচাইকরণ
C
হাতের রেখা শনাক্তকরণ
D
কণ্ঠস্বর যাচাইকরণ
সঠিক উত্তর: হাতের রেখা শনাক্তকরণ আচরণগত বায়োমেট্রিক্সের উদাহরণ নয়।
বায়োমেট্রিক্স (Biometrics):
বায়োমেট্রিক্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি, যেখানে মানুষের শারীরিক বা আচরণগত বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। এটি মূলত নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত শনাক্তকরণ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হয়।
এই প্রযুক্তিতে মানুষের শরীরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য যেমন আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিস, মুখাবয়ব, বা কণ্ঠস্বর ইত্যাদি তথ্য বিশ্লেষণ করে ব্যক্তি সনাক্ত করা হয়।
বায়োমেট্রিক্সের দুই প্রকার:
১। শারীরবৃত্তীয় বায়োমেট্রিক্স (Physiological Biometrics):
এখানে মানুষের দেহের গঠনগত বা শারীরিক বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে পরিচয় যাচাই করা হয়।
উদাহরণ:
-
আঙুলের ছাপ শনাক্তকরণ (Fingerprint Recognition)
-
হাতের রেখা শনাক্তকরণ (Palm Print Recognition)
-
মুখমণ্ডলের অবয়ব শনাক্তকরণ (Facial Recognition)
-
চোখের আইরিস শনাক্তকরণ (Iris Recognition)
২। আচরণগত বায়োমেট্রিক্স (Behavioral Biometrics):
এখানে মানুষের আচরণগত ধরণ বা অভ্যাস বিশ্লেষণ করে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
উদাহরণ:
-
কণ্ঠস্বর যাচাইকরণ (Voice Verification)
-
স্বাক্ষর শনাক্তকরণ (Signature Recognition)
-
কী-বোর্ডে টাইপিং গতির যাচাইকরণ (Keystroke Dynamics)
সারসংক্ষেপ:
‘হাতের রেখা শনাক্তকরণ’ হলো শারীরবৃত্তীয় বায়োমেট্রিক্সের উদাহরণ, কারণ এটি দেহের গঠনগত বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে। তাই এটি আচরণগত বায়োমেট্রিক্সের উদাহরণ নয়।

0
Updated: 1 day ago