হার্ড ডিস্ক কোন ধরনের স্টোরেজ মিডিয়াম?
A
অপটিক্যাল
B
ইলেকট্রিক
C
লেজার
D
ম্যাগনেটিক
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর: ঘ) ম্যাগনেটিক
হার্ড ডিস্ক (Hard Disk):
হার্ড ডিস্ক হলো একটি ম্যাগনেটিক স্টোরেজ মিডিয়াম, যা কম্পিউটারের তথ্য সংরক্ষণ (data storage) এর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত অ্যালুমিনিয়াম বা কাচের সমতল, গোলাকার প্লেট (platter) দিয়ে তৈরি, যার উপর চৌম্বকীয় পদার্থের (magnetic material) প্রলেপ দেওয়া থাকে। এই ডিস্কগুলিতে ডেটা সংরক্ষণ ও পড়া হয় চৌম্বকীয় নীতির মাধ্যমে।
গঠন ও কার্যপ্রণালি:
-
হার্ড ডিস্কে একাধিক চৌম্বকীয় প্ল্যাটার (magnetic platter) থাকে, যেগুলো একটি কেন্দ্রীয় অক্ষের (spindle) চারপাশে উচ্চ গতিতে ঘোরে।
-
প্রতিটি ডিস্কের তথ্য পড়া ও লেখার জন্য থাকে একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রিড/রাইট হেড, যা ডিস্কের পৃষ্ঠের খুব কাছাকাছি অবস্থান করে।
-
রিড/রাইট হেড ডিস্কের ক্ষুদ্র স্থানগুলোকে চৌম্বকায়িত (magnetize) করে বাইনারি ডিজিট (০ ও ১) আকারে তথ্য সংরক্ষণ করে, এবং বিপরীতভাবে সেই চৌম্বক ক্ষেত্রের দিক শনাক্ত করে তথ্য পড়ে।
-
হার্ড ডিস্কের অভ্যন্তরে থাকে—
-
একাধিক ডিস্ক প্ল্যাটার,
-
রিড/রাইট হেড,
-
ডিস্ক ঘোরানোর মোটর,
-
এবং নিয়ন্ত্রণ সার্কিট, যা সবকিছু একটি ধুলাবদ্ধ ধাতব আবরণে (sealed metal casing) রাখা হয়।
-
কার্যপ্রণালির বৈশিষ্ট্য:
-
ডিস্কের ওপর তথ্য খুব ঘনভাবে বৃত্তাকার ট্র্যাকে (tracks) সংরক্ষিত থাকে।
-
প্রতিটি ট্র্যাক সঠিকভাবে পড়া ও লেখার জন্য হেডের অবস্থান মাইক্রোপ্রসেসর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
-
হার্ড ডিস্কে RAM ব্যবহৃত হয় তথ্য স্থানান্তরকে দ্রুততর করতে।
-
পুরো সিস্টেমটি বায়ুরোধী (airtight)ভাবে তৈরি, যাতে রিড/রাইট হেড ডিস্কের পৃষ্ঠের খুব কাছ দিয়ে নিরাপদে চলতে পারে।
আধুনিক বিকল্প:
বর্তমানে অনেক কম্পিউটার ও ল্যাপটপে Solid-State Drive (SSD) ব্যবহৃত হয়, যা তথ্য সংরক্ষণের জন্য ফ্ল্যাশ মেমরি চিপ (Flash Memory Chip) ব্যবহার করে। SSD তে কোনো চলমান অংশ নেই, তাই এটি দ্রুত, নীরব এবং কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।
সারসংক্ষেপ:
হার্ড ডিস্ক একটি চৌম্বকীয় (Magnetic) স্টোরেজ ডিভাইস, যা বহু বছর ধরে কম্পিউটারের প্রধান তথ্য সংরক্ষণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি তথ্য সংরক্ষণে নির্ভরযোগ্য হলেও আধুনিক প্রযুক্তিতে ধীরে ধীরে SSD তার স্থান নিচ্ছে।

0
Updated: 1 day ago
নিম্নলিখিত কোনটি শারীরবৃত্তীয় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি?
Created: 2 weeks ago
A
কিবোর্ড টাইপিং গতি যাচাইকরণ
B
হাতে করা স্বাক্ষর যাচাইকরণ
C
ডিএনএ পর্যবেক্ষণ
D
কণ্ঠস্বর যাচাইকরণ
শারীরবৃত্তীয় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি হলো এমন একটি প্রযুক্তি যা মানুষের দেহের ভৌত বা জৈব বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে পরিচয় শনাক্ত করে। অপশনগুলোর মধ্যে ডিএনএ পর্যবেক্ষণ (গ) শারীরবৃত্তীয় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি হিসেবে গণ্য হয়, কারণ এটি মানুষের জিনগত বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে, যা প্রতিটি মানুষের জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং পরিবর্তনযোগ্য নয়। অন্যদিকে, কণ্ঠস্বর যাচাইকরণ, কিবোর্ড টাইপিং গতি এবং হাতে করা স্বাক্ষর—এসব আচরণগত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত, যা মানুষের ব্যবহার অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। সুতরাং, স্থায়িত্ব এবং নির্ভরযোগ্যতার দিক থেকে ডিএনএ পর্যবেক্ষণ সবচেয়ে নিখুঁত শারীরবৃত্তীয় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি।
বায়োমেট্রিক্স সম্পর্কে তথ্য:
-
বায়োমেট্রিক্স শব্দের উৎপত্তি হয়েছে গ্রীক শব্দ “bio” (জীবন) এবং “metron” (পরিমাপ) থেকে।
-
এটি এমন একটি পদ্ধতি যা মানুষের অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করে তাদের স্বতন্ত্রতা শনাক্ত করতে সাহায্য করে।
-
বায়োমেট্রিক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় নিরাপত্তা, পরিচয় যাচাইকরণ, এবং অ্যান্টি-ফ্রড সিস্টেমে।
-
শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্য যেমন ডিএনএ, আঙ্গুলের ছাপ, চোখের আইরিস, আচরণগত বৈশিষ্ট্য যেমন কণ্ঠস্বর, টাইপিং প্যাটার্ন, স্বাক্ষর—উভয়ই বায়োমেট্রিক্সের অন্তর্ভুক্ত।

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার নয়?
Created: 1 week ago
A
পান্ডা
B
নরটন
C
এভাস্ট
D
ওয়ার্ম
ওয়ার্ম (Worm) একটি কম্পিউটার ভাইরাসের ধরন, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেকে কপি করে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটি সাধারণত ইমেইল, নেটওয়ার্ক সংযোগ বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং সিস্টেমের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার
-
কম্পিউটারে ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।
-
এই সফটওয়্যার ভাইরাস আক্রমণের আগেই তা শনাক্ত করে প্রতিরোধ করে বা ব্যবহারকারীকে সতর্কবার্তা প্রদান করে।
-
এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেট রাখা হলে এটি নতুন ভাইরাসের বিরুদ্ধেও সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
উল্লেখযোগ্য এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার
১. এভিজি (AVG)
২. অ্যাভাস্ট (Avast)
৩. নরটন (Norton)
৪. এভিরা (Avira)
৫. পান্ডা (Panda)
কম্পিউটার ভাইরাস (Computer Virus)
-
কম্পিউটার ভাইরাসের নামকরণ করেন প্রখ্যাত গবেষক ফ্রেড কোহেন (Fred Cohen)।
-
ভাইরাস হলো এমন একটি ক্ষতিকর প্রোগ্রাম, যা কম্পিউটারে প্রবেশ করে ফাইল, প্রোগ্রাম ও অপারেটিং সিস্টেমকে সংক্রমিত করে।
-
একবার সংক্রমিত হলে এটি সিস্টেমের গতি কমিয়ে দেয়, ফাইল নষ্ট করে বা সম্পূর্ণ কম্পিউটারকে অচল করে দিতে পারে।
উল্লেখযোগ্য কম্পিউটার ভাইরাসসমূহ
-
VBS/Helper
-
Worm (ওয়ার্ম)
-
VBS/Aqui
-
Trojan Horse
-
X97M/Hopper
-
Boot Sector Virus
-
Jerusalem
-
Stone
-
Dhaka Virus
-
Vienna
-
CIH
ওয়ার্ম (Worm) সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
-
ওয়ার্ম একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাইরাস, যা অন্য কোনো ফাইলের উপর নির্ভর না করেই নিজেকে একাধিক কপিতে রূপান্তর করতে পারে।
-
এটি নেটওয়ার্ক সংযোগ ব্যবহার করে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং নেটওয়ার্ক ট্রাফিক বাড়িয়ে সিস্টেমকে ধীর করে দেয়।
-
অনেক সময় এটি ব্যবহারকারীর অজান্তে ফাইল পাঠানো, মেইল সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া বা সিস্টেম ক্র্যাশ ঘটাতে পারে।

0
Updated: 1 week ago
মুদ্রিত লেখা বা সংখ্যাসূচক ডেটা শনাক্ত করে কোনটি?
Created: 1 day ago
A
Barcode
B
OMR
C
OCR
D
QR Code
সঠিক উত্তর: OCR মুদ্রিত লেখা বা সংখ্যাসূচক ডেটা শনাক্ত করে থাকে।
OCR (Optical Character Recognition):
OCR হলো একটি উন্নত স্ক্যানিং ও তুলনা প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে মুদ্রিত লেখা বা সংখ্যাসূচক তথ্য (Printed Text or Numeric Data) শনাক্ত ও ডিজিটাল আকারে রূপান্তর করা হয়। এই প্রযুক্তির ফলে কোনো মুদ্রিত নথি পুনরায় টাইপ না করেই সেটি কম্পিউটারে পড়া ও সম্পাদনা করা যায়।
কাজের পদ্ধতি:
-
মুদ্রিত নথি প্রথমে স্ক্যানার দ্বারা স্ক্যান করা হয়।
-
এরপর OCR সফটওয়্যার প্রতিটি অক্ষরকে লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত মানক অক্ষরগুলোর সঙ্গে তুলনা করে চিনে নেয়।
-
অক্ষরের অবস্থান ও নিকটতার (proximity) ভিত্তিতে শব্দ শনাক্ত করা হয়।
-
শেষ ধাপে সফটওয়্যার মূল নথির বিন্যাস বা ফরম্যাট পুনর্গঠন করার চেষ্টা করে।
নির্ভুলতা:
-
স্ক্যানের মান যত উচ্চ ও পরিষ্কার, ফলাফল তত সঠিক হয়।
-
স্ক্যান বা মূল লেখার মান নিম্নমানের হলে অক্ষর শনাক্তকরণে ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
ব্যবহার:
-
পোস্টাল সার্ভিসে: চিঠিপত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে শ্রেণিবিন্যাসে ব্যবহার করা হয়।
-
ডিজিটাল আর্কাইভে: পুরনো বই বা নথি ডিজিটাইজ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
ব্যাংকিং সেক্টরে: চেকের লেখাসমূহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পড়তে ব্যবহৃত হয়।
-
ডেটা এন্ট্রি: দ্রুত ও নির্ভুলভাবে মুদ্রিত তথ্য কম্পিউটারে ইনপুট দিতে সহায়ক।
ঐতিহাসিক তথ্য:
-
১৯৬৫ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের U.S. Postal Service প্রথমবারের মতো অক্ষর ও সংখ্যা শনাক্তকরণের জন্য OCR প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করে।
-
১৯৮০-এর দশকের শুরুতে, তারা এমন যন্ত্র তৈরি করে যা ঠিকানা স্ক্যান, পোস্টাল কোড যাচাই ও রাউটিং কোড প্রিন্ট করতে সক্ষম ছিল।
OCR প্রক্রিয়ার ধাপ:
১. মুদ্রিত লেখা বা সংখ্যা স্ক্যান করা।
২. স্ক্যানকৃত অক্ষরের সঙ্গে লাইব্রেরির অক্ষরের তুলনা।
৩. অক্ষরগুলোর নিকটতার মাধ্যমে শব্দ শনাক্তকরণ।
৪. মূল পৃষ্ঠার বিন্যাস পুনর্গঠন।
অন্য প্রযুক্তিগুলোর সঙ্গে পার্থক্য:
-
Barcode: রেখা বা প্যাটার্নের মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ ও শনাক্ত করে।
-
OMR: মার্ক করা বৃত্ত বা ডট শনাক্ত করে (যেমন – পরীক্ষার উত্তরপত্রে)।
-
QR Code: স্ক্যানের মাধ্যমে তথ্য পড়া হয়, তবে এটি লেখা বা সংখ্যাসূচক অক্ষর শনাক্ত করে না।
সারসংক্ষেপ:
OCR হলো এমন একটি প্রযুক্তি যা মুদ্রিত লেখা ও সংখ্যা শনাক্ত করে ডিজিটাল আকারে রূপান্তর করে, ফলে তথ্য ইনপুটের কাজ দ্রুত, সহজ ও নির্ভুল হয়।

0
Updated: 1 day ago