স্বর্ণকুমারী দেবী রচিত নাটক কোনটি?
A
দীপনির্বাণ
B
মেবার রাজ
C
বসন্ত উৎসব
D
বিদ্রোহ
উত্তরের বিবরণ
স্বর্ণকুমারী দেবী ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বাঙালি মহিলা ঔপন্যাসিক, যিনি তাঁর সাহিত্যকর্মে নারীচেতনা, সমাজজীবনের বাস্তবতা এবং মানবিক মূল্যবোধের গভীর প্রকাশ ঘটিয়েছেন। তিনি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড় বোন এবং দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা—অর্থাৎ ঠাকুর পরিবারে জন্ম নেওয়া এক প্রতিভাবান সাহিত্যিক, যিনি দীর্ঘ সময় ধরে বাংলা সাহিত্যের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
-
জন্মপরিচয়: স্বর্ণকুমারী দেবী ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার অনুকূল পরিবেশে বেড়ে ওঠেন।
-
তিনি দীর্ঘ ত্রিশ বছর মাসিক ‘ভারতী’ পত্রিকার লেখক ও সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন, যা তাঁর সাহিত্যিক প্রভাবকে বিস্তৃত করেছে।
-
তাঁর সাহিত্যজীবনের বৈশিষ্ট্য হলো নারীর মানসিক জগৎ, সমাজে তার অবস্থান ও আত্মসম্মানের প্রশ্নকে শিল্পিতভাবে উপস্থাপন।
-
প্রথম উপন্যাস: দীপনির্বাণ
-
সেরা উপন্যাস: কাহাকে (১৮৯৮), যা ইংরেজিতে The Unfinished Song নামে অনূদিত হয়েছে।
উপন্যাসসমূহ:
-
দীপনির্বাণ
-
মেবার রাজ
-
মালতী
-
বিদ্রোহ
-
বিচিত্রা
-
স্বপ্নবাণী
-
মিলনরাত্রি
কাব্যগ্রন্থ:
-
গাঁথা
-
কবিতা ও গান
নাটক:
-
বসন্ত উৎসব
-
দেব কৌতুক
‘বসন্ত উৎসব’ নাটকটি স্বর্ণকুমারী দেবীর একটি উল্লেখযোগ্য নাট্যকর্ম, যেখানে প্রকৃতি, জীবন, প্রেম ও নবজাগরণের প্রতীকী চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। এতে তাঁর কাব্যিক ভাষা, সুরেলা সংলাপ ও দার্শনিক ভাবনার মেলবন্ধন দেখা যায়।
সাহিত্য বৈশিষ্ট্য:
-
সমাজ ও পরিবারে নারীর অবস্থান নিয়ে সংবেদনশীল দৃষ্টিভঙ্গি।
-
ভাষার সৌন্দর্য, কাব্যিকতা ও বাঙালিত্বের গর্বিত প্রকাশ।
-
ঠাকুর পরিবারের সাহিত্যিক ঐতিহ্য অনুসরণ করেও নিজের স্বকীয় রচনাশৈলীতে অনন্যতা সৃষ্টি।
স্বর্ণকুমারী দেবী শুধু রবীন্দ্রনাথের ভগ্নী হিসেবেই নয়, বরং বাংলা সাহিত্যে প্রথম নারী ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার হিসেবে পথিকৃত—তাঁর ‘বসন্ত উৎসব’ নাটকই এর উজ্জ্বল প্রমাণ।

0
Updated: 1 day ago
'নেমেসিস' নাটকটি কোন পটভূমিতে রচিত হয়?
Created: 1 month ago
A
ভাষা আন্দোলন
B
ঊনপঞ্চাশের মন্বন্তর
C
দেশভাগ
D
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন
নুরুল মোমেন
-
জন্ম: ১৯০৬, ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গায়।
-
তিনি মূলত নাট্যকার ছিলেন।
-
তাঁর প্রথম নাটক ‘রূপান্তর’ ১৯৪২ সালে ঢাকা বেতার-এ প্রচারিত হয়।
-
শ্রেষ্ঠ নাটক: নেমেসিস।
-
‘নেমেসিস’ নাটকটি প্রথম শনিবারের চিঠি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
-
এটি ঊনপঞ্চাশের মন্বন্তর পটভূমিতে রচিত।
-
১৯৪৮ সালে তাঁর ‘বহুরূপা’ নামে একটি রম্যরচনা প্রকাশিত হয়।
নুরুল মোমেনের রচিত বিখ্যাত নাটকসমূহ
-
নেমেসিস
-
যদি এমন হতো
-
নয়া খান্দান
-
আলোছায়া
-
আইনের অন্তরালে
-
শতকরা আশি
-
রূপান্তর
-
যেমন ইচ্ছা তেমন
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া, সংশ্লিষ্ট বই

0
Updated: 1 month ago
‘কিত্তনখােলা’ নাটকটির বিষয়-
Created: 4 weeks ago
A
যন্ত্রণাদগ্ধ শহরজীবন
B
স্নিগ্ধ-শ্যামল প্রকৃতির রূপ
C
লোকায়ত জীবন-সংস্কৃতি
D
দেশবিভাগজনিত জীবন যন্ত্রণা
‘কিত্তনখোলা’ নাটকটি সেলিম আল দীন রচিত একটি জীবনঘনিষ্ঠ নাট্যকর্ম, যা বাংলা নাট্যশিল্পে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। নাটকটির মাধ্যমে সেলিম আল দীন পাশ্চাত্য নাট্যরীতি পরিহার করে প্রাচ্যীয় রীতি ও বাঙালির প্রান্তিক জনগণের জীবন-সংস্কৃতিকে নাট্যরূপে উপস্থাপন করেন।
তিনি নিজেও বলেছেন যে, কিত্তনখোলা রচনার সময় তিনি মানিকগঞ্জের লোকায়ত জীবন, সংস্কৃতি এবং অপূর্ব নিসর্গের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন, যা নাটকে স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়েছে।
মূল তথ্যগুলো:
-
‘কিত্তনখোলা’ নাটকটির রচয়িতা সেলিম আল দীন।
-
নাটকটি বাঙালির প্রান্তিক জনমানুষের প্রথাগত জীবন এবং সাংস্কৃতিক আচার-আচরণের ইতিবৃত্তকে তুলে ধরেছে।
-
নাট্যরচনার মাধ্যমে প্রাচ্যীয় নাট্যরীতি বাংলা নাট্যশিল্পে প্রবর্তন হয়।
সেলিম আল দীন:
-
জন্ম: ১৮ নভেম্বর ১৯৪৮, সোনাগাজি, নোয়াখালি জেলার সেনেরখিল গ্রামে।
-
তিনি মূলত কবিতা লিখতেন, তবে ১৯৭২ সালে তার নাটক ‘নীল শয়তান: তাহিতি ইত্যাদি’ টেলিভিশন ও বেতারে প্রচার হওয়ার পর নাট্যকার হিসেবে পরিচিতি পান।
-
একই বছর ডাকসু মঞ্চে ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’ মঞ্চস্থ হয় এবং নাট্য প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পায়।
-
১৯৭৩ সালে ডাকসু নাট্যচক্র ‘এক্সপ্লোসিভ ও মূল সমস্যা’ মঞ্চস্থ করলে তিনি নাট্যকার হিসেবে সর্বজন পরিচিত হন।
সেলিম আল দীনের অন্যান্য নাট্যগ্রন্থ:
-
সর্প বিষয়ক গল্প ও অন্যান্য
-
বাসন
-
কেরামতমঙ্গল
-
কিত্তনখোলা
-
হাতহদাই
-
শকুন্তলা
-
মুনতাসীর ফ্যান্টাসি
-
জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন
-
চাকা
-
যৈবতী কন্যার মন
-
হরগজ
-
নিমজ্জন

0
Updated: 4 weeks ago
মীর মশাররফ হোসেনের নাটক কোনটি?
Created: 2 months ago
A
নটির পূজা
B
বেহুলা গীতাভিনয়
C
নবীন তপস্বিনী
D
কৃষ্ণকুমারী
‘বেহুলা গীতাভিনয়’ নাটকটি মীর মশাররফ হোসেন রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম।
অপরদিকে,
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নটীর পূজা’ নাটকটি বৌদ্ধধর্মীয় গ্রন্থ থেকে অনুপ্রাণিত।
-
‘নবীন তপস্বিনী’ নাটকটির রচয়িতা হলেন দীনবন্ধু মিত্র।
-
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সফল ট্রাজেডি নাটক ‘কৃষ্ণকুমারী’ রচনা করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
মীর মশাররফ হোসেনের জীবন ও সাহিত্য
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং প্রাবন্ধিক। তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা সাহিত্যে প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক হিসেবে তাঁকে বিবেচনা করা হয়।
তাঁর সাহিত্যগুরু ছিলেন কাঙাল হরিনাথ, যিনি ‘গ্রামবার্তা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। মশাররফের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘রত্নাবতী’। ছাত্রজীবনে তিনি ‘সংবাদ প্রভাকর’ ও ‘কুমারখালির গ্রামবার্তা’ পত্রিকার মফঃস্বল সংবাদদাতার কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি ‘আজিজননেহার’ এবং ‘হিতকরী’ নামে দুটি পত্রিকার সম্পাদনাও করেন। তিনি উনিশ শতকের বাঙালি মুসলিম সাহিত্যিকদের পথপ্রদর্শক এবং বঙ্কিমচন্দ্র যুগের একজন প্রধান গদ্যকার।
মীর মশাররফ হোসেনের প্রধান সাহিত্যকর্মসমূহ
নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
প্রহসন:
-
টালা অভিনয়
-
এর উপায় কি
-
ফাঁস কাগজ
-
ভাই ভাই এইতো চাই
উপন্যাস:
-
বিষাদ-সিন্ধু
আত্মজীবনীমূলক রচনা:
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago