‘লালসালু’ উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদের নাম কী?
A
The Silent Village
B
The Red Cloth
C
Tree Without Roots
D
The River Cries
উত্তরের বিবরণ
‘লালসালু’ হলো সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ রচিত একটি কালজয়ী বাংলা উপন্যাস, যা গ্রামীণ ধর্মীয় ভণ্ডামি, সমাজবাস্তবতা এবং নারীর প্রতিবাদী চেতনার এক জীবন্ত চিত্র। এটি বাংলা সাহিত্যেই নয়, বিশ্বসাহিত্যের পরিসরেও গভীর প্রভাব ফেলেছে। এর ইংরেজি অনুবাদ “Tree Without Roots” নামেই আন্তর্জাতিক পাঠকসমাজে পরিচিত।
-
‘লালসালু’ প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে কলকাতা থেকে।
-
এটি বাংলার গ্রামীণ সমাজজীবনের বাস্তবতা, কুসংস্কার, ধর্মীয় ভণ্ডামি ও নারীর জাগরণের কাহিনি।
-
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র মজিদ, যিনি নোয়াখালি থেকে গারোপাহাড় অঞ্চলে এসে ধর্মের নামে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করেন।
-
উপন্যাসে ধর্মকে ব্যক্তিস্বার্থের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারকারী চরিত্রদের তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গচিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
-
মূল বিষয়: ধর্মের ছদ্মবেশে ভণ্ড ও স্বার্থপর চরিত্রের মুখোশ উন্মোচন এবং নারীর আত্মমর্যাদার জাগরণ।
-
জমিলা চরিত্রটি নারী প্রতিবাদের প্রতীক; তাঁর মধ্যে লুকিয়ে আছে প্রতিরোধ, আত্মসম্মান ও স্বাধীনতার চেতনা।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: মজিদ, খালেক ব্যাপারি, জমিলা, রহিমা, আমেনা, আক্কাস, তাহেরের বাবা, হাসুনির মা।
-
ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে লেখকের তীব্র ব্যঙ্গাত্মক উক্তি:
-
“খোদার এলেমে বুক ভরে না তলায় পেট শূন্য বলে।” — যা ধর্মের আড়ালে ব্যক্তিস্বার্থের নগ্ন বাস্তবতাকে তুলে ধরে।
-
অনুবাদ:
-
ইংরেজি অনুবাদ: Tree Without Roots (১৯৬৭)
-
ফরাসি অনুবাদ: Le Arbre Sans Mame (১৯৬১), অনুবাদ করেছেন লেখকের স্ত্রী অ্যান মেরি ওয়ালীউল্লাহ্।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ (১৯২২–১৯৭১):
-
জন্ম: ১৫ আগস্ট ১৯২২, চট্টগ্রামের ষোলশহরে সৈয়দ বাড়িতে।
-
ছিলেন একজন কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও সাংবাদিক।
-
ছাত্রজীবনে ফেনী হাইস্কুলে সাহিত্যচর্চা শুরু করেন এবং হাতে লেখা পত্রিকা ‘ভোরের আলো’ সম্পাদনা করেন।
-
তাঁর প্রথম গল্প ‘হঠাৎ আলোর ঝলকানি’ প্রকাশিত হয় ঢাকা কলেজ ম্যাগাজিনে।
-
তাঁর লেখায় ধর্ম, সমাজ, মানুষ ও মানসিক দ্বন্দ্ব অত্যন্ত বাস্তব ও গভীরভাবে চিত্রিত।
-
পুরস্কার:
-
বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬১)
-
আদমজি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৫)
-
একুশে পদক (১৯৮৩, মরণোত্তর)
-
-
মৃত্যু: ১০ অক্টোবর ১৯৭১, প্যারিসে।
উপন্যাসসমূহ:
-
লালসালু
-
চাঁদের অমাবস্যা
-
কাঁদো নদী কাঁদো
-
The Ugly Asian
গল্পগ্রন্থ:
-
নয়নচারা
-
দুই তীর ও অন্যান্য গল্প
নাটক:
-
বহিপীর
-
তরঙ্গভঙ্গ
-
উজান মৃত্যু
‘লালসালু’ শুধুমাত্র একটি উপন্যাস নয়, এটি বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজে ধর্মের অপব্যবহার ও নারীর প্রতিরোধচেতনার এক অনন্য দলিল, যার সার্বজনীনতা একে বিশ্বসাহিত্যের মর্যাদায় উন্নীত করেছে।

0
Updated: 1 day ago
'হাতেম তায়ী' ফররুখ আহমেদ রচিত -
Created: 6 days ago
A
উপন্যাস
B
কাহিনী কাব্য
C
গীতি কাব্য
D
কাব্য নাটক
ফররুখ আহমেদ ছিলেন মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি এবং বাংলা সাহিত্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ কাব্যিক রচয়িতা। তাঁর সাহিত্যকর্মে কাহিনী কাব্য, শিশুতোষ গ্রন্থ ও সনেট সংকলন সবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে।
-
জন্ম ও পরিচয়: ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ।
-
সৃজনশীলতা ও স্বীকৃতি:
-
‘সাত সাগরের মাঝি’ তাঁর প্রথম প্রকাশিত ও শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ।
-
কাহিনী কাব্য 'হাতেম তায়ী' এর জন্য ১৯৬৬ সালে আদমজি পুরস্কার লাভ করেন।
-
শিশুতোষ গ্রন্থ 'পাখির বাসা' এর জন্য ১৯৬৬ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার লাভ করেন।
-
রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনীরা
-
নৌফেল ও হাতেম (কাব্য নাটক)
-
মুহূর্তের কবিতা (সনেট সংকলন, ১৯৬৩)
-
সিন্দাবাদ
-
হাতেমতায়ী (কাহিনী কাব্য)
-
নতুন লেখা
-
হাবেদা মরুরকাহিনী
অন্যান্য রচনা:
-
পাখির বাসা (শিশুতোষ গ্রন্থ, ১৯৬৫)

0
Updated: 6 days ago
'হস্তী' - কোন ধরনের শব্দ?
Created: 1 month ago
A
মৌলিক
B
যৌগিক
C
রূঢ়ি
D
যোগরূঢ়
রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ
সংজ্ঞা:
যে শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গ যুক্ত হয়ে মূল শব্দের আক্ষরিক অর্থের অনুগামী না থেকে একেবারে অন্য কোনো বিশেষ বা প্রচলিত অর্থে ব্যবহৃত হয়, তাকে রূঢ়ি শব্দ বলে।
উদাহরণসমূহ
-
হস্তী: হস্ত + ইন → আক্ষরিক অর্থ হাত আছে যার; কিন্তু রূঢ় অর্থে বোঝায় একটি পশু (হাতি)।
-
গবেষণা: গো + এষণা → আক্ষরিক অর্থ গরু খোঁজা; রূঢ় অর্থে ব্যাপক অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা।
-
বাঁশি: আক্ষরিক অর্থে বাঁশ দিয়ে তৈরি বস্তু; রূঢ় অর্থে সুর বাজানোর বাদ্যযন্ত্র।
-
তৈল: মূল অর্থে তিলজাত স্নেহ পদার্থ; রূঢ় অর্থে যে কোনো উদ্ভিজ্জ স্নেহ পদার্থ (যেমন: বাদাম তেল)।
-
প্রবীণ: আক্ষরিক অর্থে প্রকৃষ্টভাবে বীণা বাজাতে পারেন যিনি; রূঢ় অর্থে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বয়স্ক ব্যক্তি।
-
সন্দেশ: মূল অর্থে সংবাদ; রূঢ় অর্থে একটি মিষ্টান্ন বিশেষ।
✅ অর্থাৎ, রূঢ়ি শব্দের প্রকৃত অর্থ তার আদি গঠনমূলক অর্থ থেকে ভিন্ন ও বিশেষ প্রচলিত অর্থে ব্যবহৃত হয়।
উৎস:
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 1 month ago
'সূর্য-দীঘল বাড়ী' — উপন্যাসটি কত সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশ পায়?
Created: 1 week ago
A
১৯৪৫ সালে
B
১৯৫৫ সালে
C
১৯৫৮ সালে
D
১৯৫১ সালে
'সূর্য-দীঘল বাড়ী' উপন্যাসটি আবু ইসহাক রচিত এবং ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত হয়। এটি বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের প্রতিচ্ছবি এবং সমাজের নানা দিক তুলে ধরেছে। উপন্যাসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র আছে যারা গল্পের মূল ঘটনাবলিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
-
উপন্যাসের নাম: সূর্য-দীঘল বাড়ী
-
লেখক: আবু ইসহাক
-
প্রকাশের বছর: ১৯৫৫
-
প্রধান চরিত্র: জয়গুন, হাসু, মায়মুন, শাফি, ডা. রামেশ, মোড়ল গদু প্রমুখ
-
বিষয়বস্তু: বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের বাস্তব চিত্র
আবু ইসহাক
-
জন্ম: ১৯২৬, শিরঙ্গল, শরিয়তপুর জেলা
-
প্রথম গল্প প্রকাশ: 'অভিশাপ', নবযুগ পত্রিকায়, কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত
-
প্রথম উপন্যাস: সূর্য-দীঘল বাড়ী
-
দ্বিতীয় উপন্যাস: পদ্মার পলিদ্বীপ
আবু ইসহাকের সাহিত্যকর্ম
-
উপন্যাস: সূর্য-দীঘল বাড়ী, পদ্মার পলিদ্বীপ, জাল
-
গল্পগ্রন্থ: হারেম, মহাপতঙ্গ

0
Updated: 1 week ago