সেলিম আল দীন রচিত নাট্যগ্রন্থ নয় কোনটি?
A
ঝিলিমিলি
B
কিত্তনখোলা
C
কেরামতমঙ্গল
D
মুনতাসীর ফ্যান্টাসি
উত্তরের বিবরণ
‘ঝিলিমিলি’ সেলিম আল দীন রচিত কোনো নাট্যগ্রন্থ নয়; এটি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি নাট্যগ্রন্থ। সেলিম আল দীন বাংলা নাটকের আধুনিক ধারার অন্যতম প্রধান রূপকার, যিনি বাংলাদেশে লোকজ সংস্কৃতি, গ্রামীণ জীবন ও ঐতিহ্যবাহী নাট্যরূপকে আধুনিক রূপে উপস্থাপন করেছেন।
সেলিম আল দীন (১৯৪৯–২০০৮):
-
জন্ম: ১৮ আগস্ট ১৯৪৯, ফেনি জেলার সোনাগাজী উপজেলার সেনেরখিল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে।
-
প্রকৃত নাম: মইনুদ্দিন আহমেদ।
-
তিনি ছিলেন বাংলাদেশের আধুনিক নাট্যচিন্তা ও নাট্যচর্চার পথিকৃৎ।
-
তাঁর লেখায় বাংলাদেশের শ্রমজীবী, গ্রামীণ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন, সংগ্রাম ও সংস্কৃতি বাস্তব ও সংবেদনশীলভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
প্রথম প্রবন্ধ: ‘নিগ্রো সাহিত্য’ (প্রকাশিত ১৯৬৮ সালে, দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায়)।
-
প্রথম রেডিও নাটক: বিপরীত তমসায় (১৯৬৯)।
-
প্রথম টেলিভিশন নাটক: লিব্রিয়াম (পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে ঘুম নেই, ১৯৭০)।
-
তিনি বাংলা নাটকে এপিক থিয়েটার ও লোকনাট্যের সমন্বিত ধারার প্রবর্তক।
-
পুরস্কার:
-
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার
-
একুশে পদক
-
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননা
-
-
মৃত্যু: ১৪ জানুয়ারি ২০০৮।
রচিত নাট্যগ্রন্থসমূহ:
-
সর্প বিষয়ক গল্প ও অন্যান্য
-
বাসন
-
কেরামতমঙ্গল
-
কিত্তনখোলা
-
জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন
-
চাকা
-
যৈবতী কন্যার মন
-
হরগজ
-
হাতহদাই
-
জুলান
-
শকুন্তলা
-
মুনতাসীর ফ্যান্টাসি
-
নিমজ্জন
অন্যদিকে,
‘ঝিলিমিলি’ হলো কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি নাট্যগ্রন্থ, যা তাঁর সাহিত্য প্রতিভার বহুমাত্রিক প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত। নজরুল তাঁর নাটকে মানবতা, প্রেম, সমাজবোধ ও বিপ্লবী চেতনার সমন্বয় ঘটিয়েছেন।
সুতরাং, ‘ঝিলিমিলি’ কাজী নজরুল ইসলামের রচনা, সেলিম আল দীন-এর নয়।

0
Updated: 1 day ago
'নেমেসিস' কোন জাতীয় রচনা?
Created: 2 months ago
A
কাব্য
B
নাটক
C
উপন্যাস
D
গীতি কবিতা
‘নেমেসিস’ নাটক
- 'নেমেসিস' নুরুল মোমেন রচিত শ্রেষ্ঠ নাটক।
- ১৯৩৯-৪৩ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নুরুল মোমেন ১৯৪৪ সালে নাটকটি লেখেন এবং ‘শনিবারের চিঠি’ পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়।
- নাটকটি গ্রন্থাকারে প্রকাশ পায় ১৯৪৮ সালে।
- নাটকটি স্কুল মাস্টার সুরজিত নন্দী নামের এক চরিত্র বিশিষ্ট নাটক।
- এ নাটকে সমকালীন দুর্ভিক্ষ, মজুতদারদের পিশাচবৃত্তি ও নিরন্নদের হাহাকারের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে।
- 'নেমেসিস' নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম সুরজিত নন্দী, নৃপেন বোস, সুলতা, অসীম, অমল বাবু, ইয়াকুব ইত্যাদি।
-----------------------
• নুরুল মোমেন:
- নুরুল মোমেন এর জন্ম ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গায় ১৯০৬ সালে।
- নুরুল মোমেনের প্রথম নাটক রূপান্তর ১৯৪২ সালে ঢাকা বেতার-এ প্রচারিত হয়।
- তাঁর 'নেমেসিস' নাটক শনিবারের চিঠি পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ১৯৪৫ সালে।
- 'নেমেসিস' নাটকটি পঞ্চাশ-দশকের মন্বন্তরের পটভূমিতে রচিত।
- ১৯৪৮ সালে তাঁর 'বহুরূপা' নামে একটি রম্যরচনা প্রকাশিত হয়।
• তাঁর বিখ্যাত নাটক:
- যদি এমন হতো,
- নেমেসিস,
- নয়া খান্দান,
- আলোছায়া,
- আইনের অন্তরালে,
- শতকরা আশি,
- রূপলেখা,
- যেমন ইচ্ছা তেমন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
বাংলা সাহিত্যে প্রথম মুসলিম নাট্যকার রচিত নাট্যগ্রন্থ কোনটি?
Created: 4 months ago
A
জগৎ মোহিনী
B
বসন্তকুমারী
C
আয়না
D
মোহনী প্রেমপাস
‘বসন্তকুমারী’ নাটক:
মীর মশাররফ হোসেন রচিত ‘বসন্তকুমারী’ (১৮৭৩) বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নাটক। এটি মুসলমান নাট্যকার কর্তৃক রচিত প্রথম নাটক হিসেবে বিবেচিত।
নাটকটির কাহিনিতে রয়েছে—ইন্দ্রপুরের এক বৃদ্ধ রাজার যুবতী রাণী গ্রহণ, সেই রাণীর রাজার যুবক পুত্রের প্রতি আকর্ষণ, প্রেম নিবেদন, পুত্রের প্রত্যাখ্যান এবং বিমাতার প্রতিহিংসাপরায়ণ ষড়যন্ত্র—যার পরিণতিতে রাজপরিবারের সবার মৃত্যু ঘটে।
নাটকটির অপর নাম ‘বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা’।
এছাড়া একই বছর মীর মশাররফ হোসেন রচিত তাঁর দ্বিতীয় নাটক ‘জমীদার দর্পণ’ প্রকাশিত হয়।
মীর মশাররফ হোসেন:
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন উনিশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিক, যিনি উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধ রচনায় বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।
তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকা-র মফঃস্বল সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে আজিজননেহার ও হিতকরী নামক দুটি পত্রিকার সম্পাদনা করেন।
তিনি ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্রের সমসাময়িক গদ্যশিল্পী এবং বাঙালি মুসলমান সাহিত্যজগতের অগ্রদূত।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম:
নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
-
টালা অভিনয়
উপন্যাস:
-
বিষাদ-সিন্ধু
আত্মজীবনীমূলক রচনা:
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
উৎস:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 4 months ago
'মানুষ মরে গেলে পচে যায়। বেঁচে থাকলে বদলায়।'- উক্তিটি কোন রচনার অন্তর্ভুক্ত?
Created: 2 weeks ago
A
সাজাহান
B
কবর
C
রক্তাক্ত প্রান্তর
D
নুরলদীনের সারাজীবন
রক্তাক্ত প্রান্তর ও মুনীর চৌধুরী
-
‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ নাটকটি মুনীর চৌধুরী রচিত এবং মহাকবি কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ গ্রন্থের কাহিনি অবলম্বনে রচিত।
-
এটি মুনীর চৌধুরীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটক।
-
নাটকটি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ (১৭৬১)-এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন অঙ্কে রচিত।
-
যদিও ঘটনাভিত্তিক, এটি একটি ইতিহাস-আশ্রিত নাটক, সরাসরি ঐতিহাসিক রচনা নয়।
-
নাটকের জনপ্রিয় উক্তি: “মানুষ মরে গেলে পচে যায়। বেঁচে থাকলে বদলায়।” — নবাব সুজাউদ্দৌলার মুখোমুখি বলা।
নাটকের প্রধান চরিত্র:
-
ইব্রাহিম কার্দি
-
জোহরা
-
হিরণবালা
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নাটক:
-
‘সাজাহান’ — দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত ঐতিহাসিক নাটক (১৯০৯)
-
‘কবর’ — মুনীর চৌধুরী রচিত নাটক, ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা; ১৯৫৩ সালে জেলের রাজবন্দিদের দ্বারা প্রথম অভিনীত, ১৯৬৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত।
-
‘নুরলদীনের সারাজীবন’ — সৈয়দ শামসুল হক রচিত ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক নাটক।

0
Updated: 2 weeks ago