‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ গ্রন্থটি কে রচনা করেছেন?
A
স্বর্ণকুমারী দেবী
B
বেগম রোকেয়া
C
নওয়াব ফয়জুন্নেসা
D
নীলিমা ইব্রাহিম
উত্তরের বিবরণ
‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ হলো নীলিমা ইব্রাহিম রচিত একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রবন্ধ ও গবেষণাগ্রন্থ, যেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নির্যাতিত নারীসমাজের সংগ্রাম, বেদনা ও মানবিক মর্যাদার গল্প উঠে এসেছে। এই গ্রন্থটি মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী নারীজীবনের এক মর্মস্পর্শী দলিল হিসেবে বিবেচিত।
-
‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ গ্রন্থটি ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকারদের হাতে নির্যাতিত সাতজন নারীর জীবনকাহিনি তুলে ধরা হয়েছে।
-
এই নারীরা হলেন — তারা ব্যানার্জি, মেহেরজান, রীনা, শেফা, ময়না, ফাতেমা ও মীনা।
-
লেখিকা বলেছেন, এই সাতজন নারী আসলে বাংলাদেশের প্রায় দুই লক্ষ নির্যাতিত মা-বোনের প্রতীকী প্রতিনিধি।
-
বইটিতে শুধু তাদের জীবনের বেদনাদায়ক অধ্যায়ই নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা, হানাদার বাহিনীর নিষ্ঠুরতা, এবং রাজাকারদের অপকীর্তি নিয়েও বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।
-
লেখিকা এই রচনার মাধ্যমে সমাজে বীরাঙ্গনাদের প্রতি সহমর্মিতা, সম্মান ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির আহ্বান জানিয়েছেন।
নীলিমা ইব্রাহিম (১৯২১–২০০২):
-
জন্ম: ১১ জানুয়ারি, ১৯২১, খুলনা জেলায়।
-
মৃত্যু: ১৮ জুন, ২০০২।
-
তিনি ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, প্রবন্ধকার ও গবেষক।
-
তাঁর লেখায় সমাজ, সাহিত্য ও নারীর অবস্থান নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ দেখা যায়।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে নারীর অভিজ্ঞতাকে নথিবদ্ধ করেছেন, যা গবেষণার ক্ষেত্রেও ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
তাঁর রচিত প্রবন্ধ ও গবেষণাকর্ম:
-
শরৎ প্রতিভা
-
বাংলার কবি মধুসূদন
-
উনবিংশ শতাব্দীর বাঙালি সমাজ ও বাংলার নাটক
-
বাঙালি মানস ও বাংলা সাহিত্য
-
অগ্নিস্নাত বঙ্গবন্ধুর ভস্মাচ্ছাদিত কন্যা আমি
-
আমি বীরাঙ্গনা বলছি
তাঁর রচিত উপন্যাস:
-
বিশ শতকের মেয়ে
-
এক পথ দুই বাঁক
-
কেয়াবন সঞ্চারিণী
-
বহ্নিবলয়
তাঁর রচিত নাটক:
-
যে অরণ্যে আলো নেই
-
দুয়ে দুয়ে চার
-
রোদ জ্বলা বিকেল
-
সূর্যাস্তের পর
তাঁর আত্মজীবনী:
-
বিন্দু বিসর্গ
‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ গ্রন্থটি শুধু সাহিত্য নয়, বরং বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মহত্তম দলিল, যেখানে নারীকে ভুক্তভোগী নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের অদম্য সাহসী অংশগ্রহণকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেওয়া হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
নীলিমা ইব্রাহিমের গবেষণামূলক রচনার মধ্যে কোনটি রয়েছে?
Created: 2 weeks ago
A
শরৎ প্রতিভা
B
বহ্নিবলয়
C
কেয়াবন সঞ্চারিণী
D
বিশ শতকের মেয়ে
নীলিমা ইব্রাহিম ছিলেন একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক এবং সমাজকর্মী, যিনি নারী উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
-
জন্ম: ১৯২১ সালের ১১ অক্টোবর, বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর গ্রামে, একটি জমিদার পরিবারে।
-
তিনি বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমাজকল্যাণ ও নারী-উন্নয়ন সংস্থা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রচিত প্রবন্ধ ও গবেষণা:
-
শরৎ প্রতিভা
-
বাংলার কবি মধুসূদন
-
ঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙালী সমাজ ও বাংলার নাটক
-
বাঙালী মানস ও বাংলা সাহিত্য
-
অগ্নিস্নাত বঙ্গবন্ধুর ভস্মাচ্ছাদিত কন্যা আমি
-
আমি বীরাঙ্গনা বলছি
রচিত উপন্যাস:
-
বিশ শতকের মেয়ে
-
এক পথ দুই বাঁক
-
কেয়াবন সঞ্চারিণী
-
বহ্নিবলয়

0
Updated: 2 weeks ago
'বিশ শতকের মেয়ে' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
আল মাহমুদ
B
জহির রায়হান
C
আহমদ শরীফ
D
নীলিমা ইব্রাহিম
‘বিশ শতকের মেয়ে’ উপন্যাস
-
‘বিশ শতকের মেয়ে’ নীলিমা ইব্রাহিম রচিত একটি উপন্যাস।
-
এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫৮ সালে।
অন্যান্য উপন্যাস ও গ্রন্থ
-
‘আগুনের মেয়ে’ উপন্যাসের রচয়িতা আল মাহমুদ।
-
জহির রায়হানের ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’ যতটা না প্রেমের, তার চেয়ে বেশি প্রেমহীনতার উপন্যাস।
-
‘বিশ শতকের বাঙালি’ গ্রন্থের লেখক আহমদ শরীফ।
নীলিমা ইব্রাহিম
-
নীলিমা ইব্রাহিম (১৯২১–২০০২) ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী।
-
তিনি ১৯২১ সালের ১১ অক্টোবর বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর গ্রামের এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
-
কর্মজীবনের শুরুতে তিনি কলকাতার লরেটো হাউজে ১৯৪৩–৪৪ সালে লেকচারার হিসেবে চাকরি করেন।
-
নীলিমা ইব্রাহিম গবেষণা, উপন্যাস, নাটক ও আত্মজীবনী সহ নানা ধারার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন।
তাঁর গ্রন্থসমূহ
গবেষণা
-
শরৎ-প্রতিভা
-
বাংলার কবি মধুসূদন
-
ঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙালি সমাজ ও বাংলা নাটক
উপন্যাস
-
বিশ শতকের মেয়ে
-
এক পথ দুই বাঁক
-
কেয়াবন সঞ্চারিণী
-
বহ্নিবলয়
নাটক
-
দুয়ে দুয়ে চার
-
যে অরণ্যে আলো নেই
-
রোদ জ্বলা বিকেল
-
সূর্যাস্তের পর
আত্মজীবনী
-
বিন্দু-বিসর্গ
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'ইব্রাহিম কার্দি' বিখ্যাত চরিত্রটি কোন গ্রন্থে পাওয়া যায়?
Created: 1 month ago
A
বিষাদ সিন্ধু
B
রক্তাক্ত প্রান্তর
C
নীল দর্পণ
D
জমিদার দর্পণ
‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ নাটক
-
‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ মুনীর চৌধুরী রচিত নাটক, যা মহাকবি কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ গ্রন্থের কাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত।
-
এটি মুনীর চৌধুরীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটক।
-
নাটকটি রচিত হয়েছে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ (১৭৬১) অবলম্বনে এবং এতে তিনটি অঙ্ক রয়েছে।
-
‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ ঐতিহাসিক নাটক নয়, বরং ইতিহাস-আশ্রিত নাটক হিসেবে পরিচিত।
-
নাটকের জনপ্রিয় উক্তি:
“মানুষ মরে গেলে পচে যায়। বেঁচে থাকলে বদলায়।”
-
উক্তিটি বলেছেন নবাব সুজাউদ্দৌলা।
-
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: ইব্রাহিম কার্দি, জোহরা, হিরণবালা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago