বাক্যের তিনটি গুণ কী কী?
A
আকাঙ্ক্ষা, আসক্তি ও বিধেয়
B
আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি ও যোগ্যতা
C
যোগ্যতা, উদ্দেশ্য ও বিধেয়
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
আদর্শ বাক্যের ৩টি দরকারি গুণ
একটি ভালো বা আদর্শ বাক্য গঠনের জন্য তিনটি গুণ থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হলো: আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি, এবং যোগ্যতা।
আকাঙ্ক্ষা
বাক্য বুঝতে গেলে এক শব্দের পর আরেকটি শব্দ কী আসবে, তার একটি আশা বা চাহিদা থাকে। এই চাহিদার নামই আকাঙ্ক্ষা।
উদাহরণ:
কাজল নিয়মিত লেখাপড়া।
এই বাক্যটি অসম্পূর্ণ। এখানে বোঝা যাচ্ছে না কাজল লেখাপড়া করে নাকি করে না।
ঠিকভাবে বললে হবে: কাজল নিয়মিত লেখাপড়া করে।
আসত্তি
একটি বাক্যের মধ্যে শব্দগুলোর সঠিক জায়গায় বসার নিয়মই হলো আসত্তি।
উদাহরণ:
নিয়মিত করে হাসান লেখাপড়া।
এই বাক্যে শব্দগুলোর জায়গা ঠিক না থাকায় বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে।
সঠিকভাবে বললে হবে: হাসান নিয়মিত লেখাপড়া করে।
যোগ্যতা
বাক্যের সব শব্দের মানে ও তথ্য যেন বাস্তবসম্মত ও মানানসই হয়, সেটাই হলো যোগ্যতা।
উদাহরণ:
বর্ষার রৌদ্র প্লাবনের সৃষ্টি করে।
এই বাক্যটি ভুল, কারণ বর্ষাকালে রোদে প্লাবন হয় না।
সঠিকভাবে বললে হবে: বর্ষার বৃষ্টি প্লাবনের সৃষ্টি করে।
তথ্যসূত্র: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াত মাহমুদ
0
Updated: 3 months ago
যৌগিক বাক্যের অন্যতম গুণ কী?
Created: 5 months ago
A
একটি জটিল ও একটি সরল বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
B
একটি সংযুক্ত ও একটি বিযুক্ত বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
C
দুটি সরল বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
D
দুটি মিশ্র বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
যৌগিক বাক্য কী?
যখন দুটি বা তার বেশি সরল অথবা মিশ্র বাক্য একসঙ্গে মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ অর্থপূর্ণ বাক্য গঠন করে, তখন তাকে যৌগিক বাক্য বলা হয়। সাধারণভাবে বলতে গেলে, যখন একাধিক স্বাধীন খণ্ডবাক্য যোজক শব্দ বা যতিচিহ্নের মাধ্যমে যুক্ত হয়, তখন সেগুলো মিলে একটি যৌগিক বাক্য তৈরি করে।
যৌগিক বাক্যের বৈশিষ্ট্য:
-
এতে দুটি বা ততোধিক খণ্ডবাক্য থাকে।
-
প্রতিটি খণ্ডবাক্য স্বাধীন, অর্থাৎ একটির ওপর অন্যটির নির্ভরতা থাকে না।
-
খণ্ডবাক্যগুলো যোজক শব্দ (যেমন: এবং, ও, আর, অথবা, কিন্তু, অথচ, সেজন্য, ফলে ইত্যাদি) অথবা কিছু যতিচিহ্ন (যেমন: কমা (,), সেমিকোলন (;), কোলন (:), ড্যাশ (−)) দ্বারা যুক্ত থাকে।
-
কখনো কখনো যোজক উহ্যও থাকতে পারে।
যোজক শব্দের উদাহরণ:
-
এবং, ও, আর, অথবা, কিংবা, কিন্তু, অথচ, সেজন্য, ফলে ইত্যাদি।
যৌগিক বাক্যের কিছু উদাহরণ:
-
হামিদ বই পড়ছে, আর সীমা রান্না করছে।
-
সে ভালো ফল করেছে, তাই আমরা আনন্দিত হয়েছি।
-
সে ঘর ঝাড়ু দিল, ঘর মুছল, তারপর পড়তে বসল।
-
অন্ধকার হয়ে এসেছে, অথচ সে এখনো বাসায় ফেরেনি।
-
তোমরা চেষ্টা করেছ, কিন্তু আশানুরূপ ফল পাওনি; এতে দোষের কিছু নেই।
সূত্র:
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 5 months ago
গঠনগত দিক থেকে বাক্য কত প্রকার?
Created: 1 month ago
A
৪ প্রকার
B
২ প্রকার
C
৩ প্রকার
D
৫ প্রকার
বাক্যের গঠন অনুযায়ী শ্রেণিবিভাগ
-
গঠনগত দিক থেকে বাক্যকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
১. সরল
২. জটিল
৩. যৌগিক -
সরল বাক্য:
-
যদি বাক্যে কেবল একটিমাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে।
-
উদাহরণ:
-
জেসমিন সবার জন্য চা বানিয়েছে।
-
-
-
জটিল বাক্য:
-
একটি মূল বাক্যের অধীনে এক বা একাধিক আশ্রিত বাক্য বা বাক্যাংশ থাকলে জটিল বাক্য তৈরি হয়।
-
উদাহরণ:
-
যদি তোমার কিছু বলার থাকে, তবে এখনই বলে ফেলো।
-
-
-
যৌগিক বাক্য:
-
এক বা একাধিক বাক্য বা বাক্যাংশ যোজকের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে যৌগিক বাক্য গঠন করে।
-
উদাহরণ:
-
রহমত রাতে রুটি খায় আর রহিমা খায় ভাত।
-
-
0
Updated: 1 month ago
‘তিনি সৎ কিন্তু কৃপণ’ বাক্যটি –
Created: 2 months ago
A
সরল বাক্য
B
যৌগিক বাক্য
C
মিশ্র বাক্য
D
বিস্ময়বোধক বাক্য
পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বা মিশ্র বাক্য মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে।
0
Updated: 2 months ago