নিচের কোনটি ব্যঞ্জন সন্ধির উদাহরণ?
A
দিক্ + অন্ত = দিগন্ত
B
পরম + ঔষধ = পরমৌষধ
C
প্রতি + ঊষ = প্রত্যুষ
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
ব্যঞ্জনসন্ধি হলো সেই সন্ধি যেখানে স্বর ও ব্যঞ্জন, অথবা দুই ব্যঞ্জনধ্বনি বা ব্যঞ্জন ও স্বরধ্বনি-এর মিলনে ধ্বনিগত পরিবর্তন ঘটে। অর্থাৎ, স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনির মিলনে নতুন ধ্বনি উৎপন্ন হয়, যা শব্দগঠনে ধ্বনিগত রূপান্তর ঘটায়।
ব্যঞ্জনধ্বনি + স্বরধ্বনি অবস্থায় নিম্নলিখিত পরিবর্তন ঘটে—
ক, চ, ট, ত্, প্-এর পরে স্বরধ্বনি এলে তারা যথাক্রমে গ্, জ্, ড্ (বা ড়), দ্, ব্-এ রূপান্তরিত হয়। পরবর্তী স্বরধ্বনি পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
উদাহরণসমূহ:
-
ক্ + অ = গ → দিক্ + অন্ত = দিগন্ত
-
চ্ + অ = জ → ণিচ্ + অন্ত = ণিজন্ত
-
ট্ + আ = ড় → ষট্ + আনন = ষড়ানন
-
ত্ + অ = দ → তৎ + অবধি = তদবধি
-
প্ + অ = ব → সুপ্ + অন্ত = সুবন্ত
অন্যদিকে, প্রতি + এক = প্রত্যেক, প্রতি + ঊষ = প্রত্যুষ, পরম + ঔষধ = পরমৌষধ—এগুলো স্বরসন্ধির উদাহরণ, কারণ এখানে ব্যঞ্জনের পরিবর্তে স্বরধ্বনির মিলন ঘটেছে।

0
Updated: 1 day ago
সংখ্যাবাচক শব্দ পূর্বে বসে সমষ্টি বা সমাহার বা মিলন বোঝালে কোন সমাস হয়?
Created: 1 month ago
A
দ্বিগু
B
অব্যয়ীভাব
C
বহুবীহি
D
কর্মধারয়
সংখ্যাবাচক শব্দ + বিশেষ্য = দ্বিগু সমাস

0
Updated: 1 month ago
‘কাচামিঠা” এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
যা কাঁচা তাই মিঠা
B
কাঁচা ও মিঠা
C
কাঁচা হয়েও মিঠা
D
কাঁচা যে মিঠা
যে সমাসে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম, শান্ত অথচ শিষ্ট = শান্তশিষ্ট, যা কাঁচা তাই মিঠা = কাঁচামিঠা।

0
Updated: 1 month ago
'যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়'- এই উক্তিটি কার?
Created: 2 days ago
A
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
B
কাজী মোতাহার হোসেন
C
প্রমথ চৌধুরী
D
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
‘যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়’ — এই গভীর তাৎপর্যপূর্ণ উক্তিটি করেছেন প্রমথ চৌধুরী। বাংলা সাহিত্যে তিনি ছিলেন চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক, আধুনিক গদ্য ভাষার নির্মাতা এবং ব্যঙ্গপ্রবন্ধের অগ্রদূত। তাঁর সাহিত্যচিন্তা ও ভাষার ব্যবহার বাঙালি মানসকে আধুনিকতার পথে নিয়ে গেছে।
প্রমথ চৌধুরীর বিখ্যাত উক্তিসমূহ:
-
“সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।”
-
“ব্যাধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয়।”
-
“যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়।”
-
“বাংলা ভাষা আহত হয়েছে সিলেটে, আর নিহত হয়েছে চট্টগ্রামে।”
প্রমথ চৌধুরী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
বাংলা সাহিত্যে প্রথম বিদ্রুপাত্মক প্রবন্ধ রচনাকারী এবং গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক হিসেবে পরিচিত।
-
ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক বাংলায় তিনিই।
-
তাঁর ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
-
তিনি সবুজপত্র (১৯১৪), বিশ্বভারতী, রূপ ও রীতি, এবং অলকা পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
প্রমথ চৌধুরীর রচনা:
-
কাব্যগ্রন্থ: সনেট পঞ্চাশৎ, পদচারণ।
-
গল্পগ্রন্থ: চার ইয়ারি কথা, আহুতি, নীল্লোহিত ও গল্পসংগ্রহ।
-
প্রবন্ধগ্রন্থ: তেল-নুন-লাকড়ি, বীরবলের হালখাতা (চলিত রীতির প্রথম গদ্য রচনা), নানাকথা, আমাদের শিক্ষা, রায়তের কথা, নানাচর্চা।

0
Updated: 2 days ago