ঋ, র, ষ এর পর কোন বর্গের ধ্বনি থাকলে তার পরবর্তী 'ন' 'ণ' হয়?
A
প বর্গ
B
চ বর্গ
C
ট বর্গ
D
ত বর্গ
উত্তরের বিবরণ
যখন ঋ, র বা ষ-এর পরে স্বরধ্বনি, ষ, য়, ব, হ, ৎ, অথবা ক-বর্গীয় ও প-বর্গীয় ধ্বনি থাকে, তখন তার পরবর্তী ন মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়ে যায়। অর্থাৎ, উচ্চারণগত নিয়মে এ অবস্থায় ‘ন’ → ‘ণ’ রূপে রূপান্তরিত হয়।
উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়—
-
কৃপণ: ঋ-কারের পরে প্, তার পরে ণ → কৃ + প + ণ।
-
হরিণ: র-এর পরে স্বরধ্বনি (ই), তার পরে ণ → হ + রি + ণ।
-
অর্পণ: র্-এর পরে প্, তারপর অ ও ণ → অ + র্ + প + ণ।
-
লক্ষণ: ষ (ক্) + অ + ণ → ল + ক্ষ + ণ।
-
এছাড়াও রুক্মিণী, ব্রাহ্মণ প্রভৃতি শব্দেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।

0
Updated: 1 day ago
'যাহারা সত্য বলে, তাহারা সম্মানিত হয়।' – এখানে 'যাহারা, তাহারা' কী?
Created: 2 days ago
A
বিশেষণ
B
অব্যয়
C
যোজক অব্যয়
D
সর্বনাম
বাক্য “যাহারা সত্য বলে, তাহারা সম্মানিত হয়।”– এখানে ‘যাহারা’ ও ‘তাহারা’ একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত; অর্থাৎ একটির উপস্থিতি অন্যটির উপর নির্ভরশীল। তাই এগুলোকে বলা হয় সাপেক্ষ সর্বনাম। সাপেক্ষ সর্বনাম ব্যবহারে বাক্যের দুটি অংশ পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে একটি সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ করে।
তথ্যসমূহ:
-
সর্বনাম পদ হলো সেই পদ যা বিশেষ্য পদের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়।
-
বাংলা ভাষার সর্বনাম পদগুলোকে ব্যবহারিক অর্থ ও প্রয়োগ অনুযায়ী কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়।
সর্বনামের শ্রেণিবিন্যাস:
১. ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক সর্বনাম: আমি, আমরা, তুমি, তোমরা, সে, তারা, তাহারা, তিনি, তাঁরা, এ, এরা, ও, ওরা ইত্যাদি।
২. আত্মবাচক সর্বনাম: স্বয়ং, নিজে, খোদ, আপনি।
৩. সামীপ্যবাচক সর্বনাম: এ, এই, এরা, ইহারা, ইনি ইত্যাদি।
৪. দূরত্ববাচক সর্বনাম: ঐ, ঐসব।
৫. সাকুল্যবাচক সর্বনাম: সব, সকল, সমুদয়, তাবৎ।
৬. প্রশ্নবাচক সর্বনাম: কে, কি, কী, কোন, কাহার, কার, কিসে।
-
উদাহরণ: “কী দিয়ে ভাত খায়?”
৭. অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপক সর্বনাম: কোন, কেহ, কেউ, কিছু।
৮. ব্যতিহারিক সর্বনাম: আপনা আপনি, নিজে নিজে, আপসে, পরস্পর ইত্যাদি।
৯. সংযোগজ্ঞাপক সর্বনাম: যে, যিনি, যাঁরা, যারা, যাহারা ইত্যাদি।
১০. অন্যাদিবাচক সর্বনাম: অন্য, অপর, পর ইত্যাদি।
১১. সাপেক্ষ সর্বনাম: দুটি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত অংশে ব্যবহৃত সর্বনাম। যেমন— যারা–তারা, যে–সে, যেমন–তেমন, যেমন কর্ম তেমন ফল ইত্যাদি।
অতিরিক্ত তথ্য:
সাপেক্ষ সর্বনাম বাক্যের দুই অংশকে নির্ভরতা বা শর্তের সম্পর্কে যুক্ত করে। উদাহরণ— “যে পরিশ্রম করে, সে সফল হয়।” এখানে ‘যে’ ও ‘সে’ একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে শর্ত ও ফলাফলের ধারণা প্রকাশ করছে।

0
Updated: 2 days ago
'Autocracy'-এর পারিভাষিক শব্দ কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
স্বদেশী
B
স্বশাসিত
C
স্বশাসন
D
স্বৈরতন্ত্র
'Autocracy'-এর পারিভাষিক শব্দ = স্বৈরতন্ত্র।
অন্যদিকে,
Indigenous- -এর পারিভাষিক শব্দ = স্বদেশী।
Autonomous- -এর পারিভাষিক শব্দ = স্বশাসিত।
Autonomy- -এর পারিভাষিক শব্দ = স্বশাসন।

0
Updated: 4 weeks ago
চলিত ভাষার বৈশিষ্ট্য নয়–
Created: 1 month ago
A
সহজবোধ্যতা
B
ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রাধান্য
C
সংস্কৃত শব্দের বহুল ব্যবহার
D
ভদ্রসমাজে ব্যবহার উপযোগিতা
চলিত ভাষা হলো সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা, যা সহজ, সাবলীল এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার উপযোগী। এর বৈশিষ্ট্য হলো—
-
সহজবোধ্যতা (ক) → চলিত ভাষার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।
-
ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রাধান্য (খ) → কথোপকথনে ‘টুকটাক’, ‘ঝমঝম’, ‘ঠকঠক’ প্রভৃতি ধ্বন্যাত্মক শব্দ ব্যবহৃত হয়।
-
ভদ্রসমাজে ব্যবহার উপযোগিতা (ঘ) → চলিত ভাষা সাহিত্যে, বক্তৃতায় ও সামাজিক পরিসরে স্বাভাবিকভাবে ব্যবহৃত হয়।
কিন্তু—
-
সংস্কৃত শব্দের বহুল ব্যবহার (গ) → এটি সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য, চলিত ভাষার নয়। চলিত ভাষায় দেশজ, তদ্ভব ও প্রয়োজনে বিদেশি শব্দ বেশি ব্যবহৃত হয়, সংস্কৃত শব্দের আধিক্য নয়।
তাই সঠিক উত্তর (গ) সংস্কৃত শব্দের বহুল ব্যবহার।

0
Updated: 1 month ago