নিচের কোনটি পদাশ্রিত নির্দেশক নয়?
A
-জন
B
-তম
C
-খানা
D
-টি
উত্তরের বিবরণ
‘-তম’ পদাশ্রিত নয়, তাই এটি নির্দেশক নয়। নির্দেশক হলো সেইসব লগ্নক, যা কোনো শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নির্দিষ্টতা প্রকাশ করে। এরা সাধারণত বিশেষ্য, সর্বনাম বা বিশেষণের সঙ্গে বসে শব্দটিকে সুনির্দিষ্ট করে তোলে।
নির্দেশক শব্দের ধরন ও ব্যবহার:
১. -টা, -টি:
-
এই নির্দেশকগুলো বিশেষ্য, সর্বনাম ও বিশেষণ-এর সঙ্গে যুক্ত হয়।
-
এদের রূপান্তর রূপ হলো -টো ও -টে।
-
উদাহরণ: বাড়িটা, ছেলেটা, এটা, সেটা, আমারটা ইত্যাদি।
২. -খানা, -খানি:
-
বিশেষ্য ও বিশেষণ শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়।
-
উদাহরণ: ব্যাপারখানা, ভাবখানা, একখানা, আধখানা, মুখখানি, অনেকখানি ইত্যাদি।
৩. -জন:
-
এই নির্দেশকটি কেবল মানুষের বেলায় ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: বিজ্ঞজন, লোকজন, অনেকজন, কয়জন, এতজন, পণ্ডিতজন ইত্যাদি।
৪. -টুকু:
-
কোনো কিছুর সামান্য অংশ বা অল্প পরিমাণ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
এটি বিশেষ্য ও বিশেষণ শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়।
-
এর রূপভেদ: -টু বা -টুক।
-
উদাহরণ: সাবানটুকু, হাসিটুকু, শরবতটুকু, এতটুকু, একটু, আধটু ইত্যাদি।

0
Updated: 1 day ago
চলিত ভাষার একটি বৈশিষ্ট্য কী?
Created: 2 weeks ago
A
সব সময় কঠিন তৎসম শব্দ ব্যবহার করে
B
সহজবোধ্য, সাবলীল ও চটুল
C
সবসময় ব্যাকরণের নিয়মে চলে
D
শুধুমাত্র লিখিত ভাষায় ব্যবহৃত হয়
চলিত ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য:
১. চলিত ভাষারীতি সর্বজনবোধ্য মুখের ও লেখার ভাষা।
২. চলিত ভাষা সব সময় ব্যাকরণের নিয়ম মেনে চলে না।
৩. চলিত ভাষায় পদবিন্যাস রীতি অনেক সময় পরিবর্তিত হয়।
৪. চলিত ভাষায় তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার কম।
৫. চলিত ভাষা বক্তৃতা, ভাষণ ও নাটকের সংলাপের উপযোগী।
৬. চলিত ভাষায় সর্বনাম, ক্রিয়া ও অব্যয়পদের সংক্ষিপ্তরূপ ব্যবহৃত হয়।
৭. চলিত ভাষা চটুল, সরল ও সাবলীল।
৮. চলিত ভাষারীতি পরিবর্তনশীল, তাই জীবন্ত।

0
Updated: 2 weeks ago
দু‘টি পদের সংযোগস্থলে কি বসে?
Created: 1 month ago
A
ড্যাশ
B
হাইফেন
C
কোলন
D
কোলন ড্যাশ
দু'টি পদের সংযোগস্থলে ড্যাশ বসে।
কোলন (:): একটি অপূর্ণ বাক্যের পর অন্য একটি বাক্যের অবতারণা করতে কোলন ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে উদাহারণ বোঝাতেও কোলন বহুল ব্যবহৃত। ড্যাস (—): যৌগিক ও মিশ্র বাক্যে পৃথক ভাবাপন্ন দুই বা তার বেশি বাক্যের সমন্বয় বা সংযোগ বোঝাতে ড্যাস বসে। কোলন ড্যাস (: -):
উদাহারণ বোঝাতে আগে কোলন ড্যাস ব্যবহৃত হত। বর্তমানে উদাহারণ বোঝাতে শুধু কোলন বহুল ব্যবহৃত। হাইফেন বা সংযোগ চিহ্ন (-): সমাসবদ্ধ পদগুলোকে আলাদা করে দেখানোর জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 1 month ago
'অমাবস্যার চাঁদ' বাগ্ধারার অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
গুজব
B
অত্যন্ত প্রিয়জন
C
দুর্লভ
D
কাল্পনিক বস্তু
• 'অমাবস্যার চাঁদ' বাগ্ধারার অর্থ- দুর্লভ।
অন্যদিকে,
• 'উড়ো কথা' অর্থ- গুজব।
• 'আঁধার ঘরের মানিক' অর্থ- অত্যন্ত প্রিয়জন।
• 'আকাশকুসুম' অর্থ- কাল্পনিক বস্তু।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 1 month ago