A
ফজিলাতুন্নেছা
B
ফয়জুন্নেছা
C
বেগম রোকেয়া
D
শামসুন্নাহার
উত্তরের বিবরণ
বিতর্কিত প্রশ্ন
-
বেগম রোকেয়া কে বলা হয় মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত।
-
আর নারী জাগরণের কবি হিসেবে পরিচিত শামসুন্নাহার মাহমুদ।
কারণ, বেগম রোকেয়ার কোনো কবিতার বই নেই, তাই তাকে কবি বলা যায় না।
শামসুন্নাহার মাহমুদ
শামসুন্নাহার মাহমুদ (১৯০৮–১৯৬৪) ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, লেখক ও নারী আন্দোলনের কর্মী।
-
তিনি ডায়েসিমন কলেজ থেকে আইএ (১৯২৮), পরে প্রাইভেটে বিএ (১৯৩২) ও এমএ (১৯৪২) পাস করেন।
-
বিএ পাশ করার পর বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত মেমোরিয়াল হাইস্কুল থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
-
এরপর তিনি বেগম রোকেয়ার নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে অংশ নেন।
-
তাঁর প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় ‘আঙ্গুর’ নামে কিশোরদের একটি পত্রিকায়।
-
আই.এ পড়ার সময় তিনি নওরোজ ও আত্মশক্তি পত্রিকার মহিলা বিভাগ সম্পাদনা করতেন।
-
১৯৩৩ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত বুলবুল পত্রিকাটি তিনি ও হবীবুল্লাহ বাহার যৌথভাবে সম্পাদনা করেন।
-
তার লেখায় সমাজ ও সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পায়।
-
কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘সিন্ধু-হিন্দোল’ শামসুন্নাহার ও তার বোনকে উৎসর্গ করেন।
-
নারী শিক্ষা ও সমাজসেবায় অবদানের জন্য তাকে ১৯৮১ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার এবং ১৯৯৬ সালে বেগম রোকেয়া পদক দেওয়া হয়।
তার উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো:
-
পুণ্যময়ী
-
ফুলবাগিচা
-
বেগম মহল
-
রোকেয়া জীবনী
-
শিশুর শিক্ষা
-
আমার দেখা তুরস্ক
-
নজরুলকে যেমন দেখেছি
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 5 days ago
প্রাচীনতম বাঙ্গালী মুসলমান কবি কে?
Created: 5 days ago
A
আলাওল
B
সৈয়দ সুলতান
C
মুহম্মদ খান
D
শাহ মুহম্মদ সগীর
শাহ মুহম্মদ সগীর
-
তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি এবং মধ্যযুগের একজন গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক।
-
তাঁর জীবনকাল ছিল পনেরো শতকে।
-
গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের শাসনামলে তিনি সাহিত্যচর্চা করেন।
-
বাংলা সাহিত্যে অনুবাদ কাব্য এবং প্রেমমূলক কাহিনিনির্ভর কাব্যের প্রথম রচয়িতা ছিলেন তিনি।
-
তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কাব্য হলো "ইউসুফ-জুলেখা"।
-
এই কাব্যটি পারসিক কবি জামী রচিত "ইউসুফ-জুলেখা" কাব্যের বাংলা অনুবাদ, এবং এটিই বাংলা সাহিত্যে এই ধারার সূচনা করে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 5 days ago
মঙ্গলকাব্যের কবি নন কে?
Created: 2 days ago
A
কানাহরি দত্ত
B
মানিক দত্ত
C
ভারতচন্দ্র
D
দাশু রায়
দাশরথি রায় ও তাঁর সাহিত্য
-
দাশরথি রায় (১৮০৬–১৮৫৭) একজন স্বভাবকবি এবং পাঁচালিকার (গীতিকাব্যকার)।
-
তিনি সাধারণত ‘দাশু রায়’ নামেও পরিচিত।
-
তাঁর পাঁচালিকাব্যে শুধু ধর্ম ও ভক্তির কথা ছিল না, তিনি তাতে ছন্দের ঝংকার, অনুপ্রাস, হাস্যরস, গান ও সুর মিশিয়ে এক আকর্ষণীয় রূপ দিয়েছিলেন।
-
তাঁর এই বিশেষ ধরনের পাঁচালিই পরিচিত ‘দাশুরায়ের পাঁচালি’ নামে।
-
তাঁর গানগুলো সাধারণত সুরে রচিত এবং টপ্পা ঘরানার গানেও এর প্রভাব আছে।
-
এই ধারার পূর্বসূরি কবিদের মধ্যে গঙ্গানারায়ণ নস্কর অন্যতম।
তাই, দাশরথি রায় ছিলেন পাঁচালিকবি, তিনি মঙ্গলকাব্যের কবি নন।
মঙ্গলকাব্য
-
মঙ্গলকাব্য হল এক ধরনের ধর্মভিত্তিক কাব্য, যেখানে দেব-দেবীর গুণগান করা হয়।
-
মানুষের বিশ্বাস, এই কাব্য পাঠ করলে নিজে ও সমাজের মঙ্গল সাধিত হয়।
-
এই কাব্যের রচনার সময়কাল ১৫শ থেকে ১৮শ শতকের শেষ পর্যন্ত।
-
মঙ্গলকাব্যের মূল দেবতারা হলেন:
✅ মনসা
✅ চণ্ডী
✅ ধর্মঠাকুর -
একটি পূর্ণাঙ্গ মঙ্গলকাব্যে থাকে ৫টি অংশ:
-
বন্দনা
-
আত্মপরিচয়
-
দেবখণ্ড
-
মর্ত্যখণ্ড
-
শ্রুতিফল
-
বাংলা সাহিত্যে প্রায় ৬২ জন মঙ্গলকাব্য রচয়িতা পাওয়া যায়।
তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলো হল:
➡️ কানাহারি দত্ত
➡️ মানিক দত্ত
➡️ ভারতচন্দ্র
➡️ দ্বিজমাধব
➡️ ঘনরাম চক্রবর্তী
মঙ্গলকাব্যের দুই ধারা
খাঁটি বা লৌকিক মঙ্গলকাব্য
এই ধারায় লোকজ বিশ্বাস ও দেবতার মাহাত্ম্য গুরুত্ব পায়।
উদাহরণ:
-
মনসামঙ্গল
-
চণ্ডীমঙ্গল
-
ধর্মমঙ্গল
-
কালিকামঙ্গল (বিদ্যাসুন্দর)
অন্যান্য: শিবমঙ্গল, ষষ্ঠীমঙ্গল, সূর্যমঙ্গল, শীতলামঙ্গল, রায়মঙ্গল ইত্যাদি।
পৌরাণিক মঙ্গলকাব্য
এগুলো পুরাণ নির্ভর এবং দেব-দেবীর গল্প ঘিরে তৈরি।
উদাহরণ:
-
অন্নদামঙ্গল
-
গৌরীমঙ্গল
-
দুর্গামঙ্গল
-
চণ্ডিকামঙ্গল
-
গঙ্গামঙ্গল
-
ভবানীমঙ্গল
-
কমলামঙ্গল ইত্যাদি।
দাশু রায় বা দাশরথি রায় মঙ্গলকাব্যের কবি ছিলেন না। তিনি পাঁচালি ধারার জনপ্রিয় কবি, যাঁর লেখায় ছিল রস, ছন্দ ও সুরের অপূর্ব মেলবন্ধন।
আর মঙ্গলকাব্য হল ধর্মীয় কাব্যরূপে দেবদেবীর মাহাত্ম্য বর্ণনা করে সমাজের মঙ্গল কামনা করার এক সাহিত্যধারা।

0
Updated: 2 days ago
মঙ্গলযুগের সর্বশেষ কবির নাম কি?
Created: 1 week ago
A
বিজয়গুপ্ত
B
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
C
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
D
কানাহরি দত্ত
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
- মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
- তিনি নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন।
- রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্য রচনা করেন।
- ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল কাব্যের ৩টি খণ্ড ছিল।
- এ কাব্যের জন্য মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র তাঁকে ‘রায়গুণাকর’ উপাধি দেন।
- ভারতচন্দ্রের প্রথম কাব্য ছিল বিমিশ্র দেবতা সত্যনারায়ণের সম্মানে রচিত একটি পাঁচালি।
- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরকে মধ্যযুগের/মঙ্গলযুগের শেষ বড় কবি বা নাগরিক কবিও বলা হয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago