সার্ক-এর প্রথম শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়-
A
১৯৮৪ সালে
B
১৯৮৭ সালে
C
১৯৮৫ সালে
D
১৯৮৬ সালে
উত্তরের বিবরণ
• সার্ক-এর প্রথম শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় — ১৯৮৫ সালে।
----------------------
• সার্ক (SAARC):
- South Asian Association for Regional Cooperation (SAARC).
- সার্ক হলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর একটি বহুপাক্ষিক আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরাম।
- ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
- এর সদরদপ্তর নেপালের কাঠমুন্ডু শহরে অবস্থিত।
- সার্কের প্রথম মহাসচিব ছিলেন বাংলাদেশের আবুল আহসান।
- তিনি ১৯৮৭ সালের ১৬ জানুয়ারি থেকে ১৯৮৯ সালের ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সার্কের প্রথম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
- প্রথম সার্ক সম্মেলন ১৯৮৫ সালের ৭-৮ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
- সর্বশেষ ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ২০১৪ সালের ২৬-২৭ নভেম্বর নেপালের কাঠমুন্ডু শহরে অনুষ্ঠিত হয়।
- ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ২০১৬ সালের ১৫-১৯ নভেম্বর ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাক্যাম্পে হামলার জের ধরে ভারতের কারণে বিরোধিতায় সেই সম্মেলন বাতিল হয়। তারপর থেকে আর কোন সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি।
• সার্কের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৮টি।
এগুলো হলো:
- বাংলাদেশ,
- ভারত,
- পাকিস্তান,
- নেপাল,
- শ্রীলংকা,
- ভুটান,
- মালদ্বীপ,
- আফগানিস্তান।
এদের মধ্যে আফগানিস্তান সর্বশেষ সদস্য হিসেবে ২০০৭ সালের ৩ এপ্রিল সার্কে যোগ দেয়। বাকি সাতটি দেশ সার্কের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
তথ্যসূত্র: সার্ক ওয়েবসাইট।

0
Updated: 4 months ago
ইতিহাস বিখ্যাত ট্রয় নগরী কোথায়?
Created: 4 months ago
A
ইতালি
B
স্পেন
C
তুরস্ক
D
গ্রিস
• ইতিহাস বিখ্যাত ট্রয় নগরী — তুরস্কে অবস্থিত।
-------------------------------
• ইতিহাস এবং অবস্থান:
- হোমারের মহাকাব্যে বর্ণিত ইতিহাসে, ট্রয় নগরী হলো বিখ্যাত একটি নগরী যা বর্তমান — তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের হেসারলিক নামক স্থানে অবস্থিত ছিল।
• প্রত্নতাত্ত্বিক খোঁজ:
- উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে, ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক ফ্র্যাঙ্ক কালভার্ট এবং জার্মান প্রত্নতাত্ত্বিক হেনরিক শ্লিম্যানের প্রচেষ্টায় ট্রয় নগরীর সন্ধান লাভ করা সম্ভব হয়।
• ধ্বংস:
- গ্রিকদের দ্বারা — ট্রয় নগরী ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
- ট্রয় এর ধ্বংসের কারণ হেলেনকেন্দ্রিক ঐতিহাসিক — ট্রোজান যুদ্ধ।
উৎস: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ও ইউনেস্কোর ওয়েবসাইট।

0
Updated: 4 months ago
বাংলায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথা প্রবর্তন করা হয় কোন সালে?
Created: 4 months ago
A
১৭০০ সালে
B
১৭৭২ সালে
C
১৭৬৫ সালে
D
১৭৯৩ সালে
• চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত:
- ১৭৯৩ সালে লর্ড কর্নওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন।
- ঐদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব পরিশোধের বিনিময়ে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার জমিদারদের নিজ নিজ জমির উপর চিরস্থায়ী মালিকানা প্রদান করে যে বন্দোবস্ত করা হয় তা-ই ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ নামে পরিচিত।
- চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে বাংলার কৃষকরা জমির উপর তাদের মালিকানা হারায়।
- ১৯৫০ সালের ‘পূর্ববঙ্গ জমিদার অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনে’র ফলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথার বিলুপ্তি হয়।
তাছাড়া,
- ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পর প্রকৃতপক্ষে ইংরেজরাই বাংলার সত্যিকার শাসকরূপে আত্মপ্রকাশ করে।
- ক্লাইব প্রবর্তিত দ্বৈতশাসন ১৭৬৫ থেকে ১৭৭২ সাল পযর্ন্ত বিস্তৃত ছিল।
- ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৭২ সালে দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা বাতিল করেন।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 4 months ago
বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ চালু করেছিলেন-
Created: 4 months ago
A
লক্ষ্মণ সেন
B
ইলিয়াস শাহ
C
আকবর
D
বিজয় সেন
⊕ বাংলা নববর্ষ:
- পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন।
- এ দিনটি বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়।
- এটি বাঙালি জাতির একটি সর্বজনীন লোক উৎসব।
- এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা - ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে।
- তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতু নির্ভর।
- এই কৃষি কাজের সুবিধার্থেই মুঘল সম্রাট আকবর — ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলা সন প্রবর্তন করেন।
- হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌরসনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তিত হয়।
- নতুন সনটি প্রথমে 'ফসলি সন' নামে পরিচিত ছিল যা পরে 'বঙ্গাব্দ' নামে পরিচিত হয়।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 4 months ago