'মরূদ্যান' এর সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ-
A
মরূ + উদ্যান
B
মরূ + দ্যান
C
মরু + উদ্যান
D
মরূ + ঊদ্যান
উত্তরের বিবরণ
‘মরূদ্যান’-এর সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ হলো ‘মরু + উদ্যান’, যা একটি স্বরসন্ধি। এখানে দুটি শব্দ যুক্ত হয়ে একটি নতুন শব্দ তৈরি করেছে, যেখানে স্বরধ্বনির পরিবর্তন ঘটেছে।
তথ্য অনুযায়ী:
-
যখন উ-কার অথবা ঊ-কার এর পর আবার উ-কার বা ঊ-কার আসে, তখন তারা মিলিত হয়ে ঊ-কার হয়।
-
এছাড়া, উ-কার সবসময় পূর্ববর্তী ব্যঞ্জন ধ্বনির সাথে যুক্ত হয়।
উদাহরণসমূহ:
-
উ + উ = ঊ → মরু + উদ্যান = মরূদ্যান
-
উ + ঊ = ঊ → বহু + ঊর্ধ্ব = বহূর্ধ্ব
-
ঊ + উ = ঊ → বধূ + উৎসব = বধূৎসব
-
ঊ + ঊ = ঊ → ভূ + ঊর্ধ্ব = ভূর্ধ্ব

0
Updated: 1 day ago
‘মাতঙ্গ’ কার সমার্থক?
Created: 1 week ago
A
হরিণ
B
ভুজঙ্গ
C
হাতি
D
অশ্ব
বাংলা ভাষায় প্রাচীন বা সংস্কৃত উৎসের অনেক শব্দ জীবজগত বা পশুপাখির নাম হিসেবে ব্যবহার হয়েছে।
-
শব্দ “মাতঙ্গ” সংস্কৃত থেকে এসেছে, যার অর্থ “হাতি”।
-
এছাড়া অন্যান্য বিকল্পগুলি:
-
হরিণ – মরিচিকা, শশক ইত্যাদি শব্দ দ্বারা বোঝানো হয়।
-
ভুজঙ্গ – সাপ বা সাপজাতীয় প্রাণী।
-
অশ্ব – ঘোড়া।
-
সুতরাং মাতঙ্গের সমার্থক শব্দ হাতি।

0
Updated: 1 week ago
'অজমূর্খ' - শব্দটি কোন সমাস?
Created: 2 weeks ago
A
তৎপুরুষ সমাস
B
বহুব্রীহি সমাস
C
কর্মধারয় সমাস
D
অব্যয়ীভাব সমাস
বাংলা ব্যাকরণে উপমান কর্মধারয় সমাস হলো সেই সমাস যেখানে কোনো বিষয়কে অন্য কিছুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। এ ধরনের সমাসে উপমানের সঙ্গে গুণবাচক শব্দ যুক্ত থাকে এবং সাধারণত পরপদ বিশেষণ হয়।
-
উদাহরণসমূহ:
-
কাজলের মতো কালো → কাজলকালো
-
শশের মতো ব্যস্ত → শশব্যস্ত
-
অজের ন্যায় মূর্খ → অজমূর্খ
-
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় একেবারেই স্বতন্ত্র, সেগুলো হলো -
Created: 1 month ago
A
তৎসম শব্দ
B
তদ্ভব শব্দ
C
দেশি শব্দ
D
বিদেশি শব্দ
বাংলা
তদ্ভব শব্দ
তৎসম শব্দ
দেশি শব্দ
বাংলা উপন্যাস
বাংলা ব্যকরণ
বাংলা ভাষা (ব্যাকরণ)
শক্তির উৎস ও ব্যবহার
উৎস বিবেচনায় বাংলা শব্দের শ্রেণিবিভাগ
বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারকে উৎসের ভিত্তিতে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়— তৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি।
এর মধ্যে তৎসম ও তদ্ভব শব্দকে নিজস্ব উৎসের এবং দেশি ও বিদেশি শব্দকে আগত উৎসের শব্দ ধরা হয়।
১. তৎসম শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত এমন সব শব্দ, যেগুলোর রূপ প্রায় অবিকৃত থেকে গেছে এবং সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সাদৃশ্য বজায় রেখেছে।
-
উদাহরণ: পৃথিবী, আকাশ, গ্রহ, বৃক্ষ।
২. তদ্ভব শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় স্বতন্ত্র রূপ নিয়েছে যে সব শব্দ।
-
উদাহরণ: হাত, পা, কান, নাক, দাঁত, জিভ; হাতি, ঘোড়া, সাপ, পাখি, কুমির ইত্যাদি।
৩. দেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: বাংলার স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে আগত শব্দ।
-
উদাহরণ: কুড়ি, পেট, চুলা, কুলা, ডাব, টোপর, ঢেঁকি।
৪. বিদেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: ঐতিহাসিক যোগাযোগের ফলে আরবি, ফারসি, ইংরেজি, পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, তুর্কি, হিন্দি প্রভৃতি ভাষা থেকে গৃহীত শব্দ।
-
উদাহরণ: আলু (পর্তুগিজ), কাগজ (আরবি), দপ্তর (ফারসি), স্কুল (ইংরেজি)।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago