জহির রায়হানের প্রকৃত নাম কী?
A
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর
B
মোহাম্মদ রাফিকুল
C
মোহাম্মদ হুমায়ূন
D
মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ
উত্তরের বিবরণ
জহির রায়হান ছিলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও সাহিত্য ইতিহাসের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, যিনি একাধারে কথাশিল্পী, ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর প্রকৃত নাম মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ। মানবতা, দেশপ্রেম ও সামাজিক বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে তিনি সাহিত্য ও চলচ্চিত্র উভয় ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলেছিলেন।
-
জন্ম: ১৯৩৫ সালে, ফেনী জেলার মজিপুর গ্রামে।
-
প্রকৃত নাম: মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।
-
তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্র পরিচালক, যিনি সাহিত্যে ও চলচ্চিত্রে বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।
-
সাহিত্য ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক সংগ্রামকে শক্তিশালীভাবে তুলে ধরেন।
-
তাঁর লেখায় স্বাধীনতা, প্রেম, সংগ্রাম ও বঞ্চিত মানুষের কণ্ঠস্বরের প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়।
চলচ্চিত্রে অবদান:
-
প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র: ‘কখনো আসে নি’
-
বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম রঙিন ছবি: ‘সঙ্গম’
-
প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র: ‘বাহানা’
-
তাঁর পরিচালিত ‘কাঁচের দেয়াল’ চলচ্চিত্রটি নিগার পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
-
তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে বাস্তবধর্মী ও সমাজসচেতন কাহিনি উপস্থাপনের নতুন ধারা সূচনা করেন।
সাহিত্য ও পুরস্কার:
-
১৯৭২ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
-
তাঁর সাহিত্যকর্মে সমাজ, প্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত।
-
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে আছে:
১. হাজার বছর ধরে
২. আর কতদিন
৩. শেষ বিকেলের মেয়ে
৪. তৃষ্ণা
৫. আরেক ফাল্গুন
৬. বরফ গলা নদী
৭. কয়েকটি মৃত্যু
মৃত্যু:
-
স্বাধীনতার পরবর্তী অস্থির সময়ে, ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি, তিনি মিরপুরে নিখোঁজ হন এবং আর ফিরে আসেননি।
জহির রায়হান তাঁর শিল্পচেতনা, সাহিত্য ও চলচ্চিত্রে দেশপ্রেমের গভীর প্রকাশের মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতিতে এক অমর অবস্থান তৈরি করেছেন।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি জহির রায়হান রচিত উপন্যাস?
Created: 2 weeks ago
A
সোনার কাজল
B
শেষ বিকেলের মেয়ে
C
জীবন থেকে নেয়া
D
সূর্যগ্রহণ
‘শেষ বিকেলের মেয়ে’ (১৯৬০) জহির রায়হানের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস, যা ধারাবাহিকভাবে ‘সাপ্তাহিক বিজলী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
-
‘জীবন থেকে নেয়া’ (১৯৭০): ভাষা আন্দোলনভিত্তিক চলচ্চিত্র, যেখানে প্রথমবার জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।
-
‘সোনার কাজল’ (১৯৬২): জহির রায়হানের চলচ্চিত্র।
-
‘সূর্যগ্রহণ’ (১৯৫৫): জহির রায়হানের গল্পগ্রন্থ।
জহির রায়হানের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ:
-
‘হাজার বছর ধরে’ (১৯৬৪): আবহমান বাংলার জীবন ও জনপদ প্রতিপাদ্য। ১৯৬৪ সালে ‘আদমজী সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন। উপন্যাস অবলম্বনে স্ত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যা ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ জিতে। চরিত্র: টুনি, মন্তু, মকবুল।
-
‘আরেক ফাল্গুন’ (১৯৬৮): ১৯৪৮–৫২ সালের আন্দোলন, ছাত্র-ছাত্রীর অংশগ্রহণ, জনতার সম্মিলন ও প্রেম-প্রণয় ভিত্তিক ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম উপন্যাস।
-
‘আর কত দিন’ (১৯৭০): মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ব সময়ের সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুদ্ধের সম্ভাবনা, লাঞ্ছিত মানবতার আর্তি, শান্তি ও ভালোবাসার জন্য মানুষের অন্বেষা। চরিত্র ইভা ও তপু শান্তি ও ভালোবাসার প্রতীক।
-
‘তৃষ্ণা’ (১৯৬২)
-
‘বরফ গলা নদী’ (১৯৬৯)
-
‘কয়েকটি মৃত্যু’ (১৯৬৫)

0
Updated: 2 weeks ago
'টুনি' চরিত্রটি কোন উপন্যাসের অন্তর্গত?
Created: 2 weeks ago
A
হাজার বছর ধরে
B
আরেক ফাল্গুন
C
লালসালু
D
পদ্মা নদীর মাঝি
‘হাজার বছর ধরে’ (১৯৬৪) উপন্যাসে আবহমান বাংলার জীবন ও জনপদকে কেন্দ্রবিন্দুতে রাখা হয়েছে। এই কাহিনীতে ‘টুনি’ চরিত্রটি মূল কেন্দ্রীয় চরিত্র, যিনি একমাত্র জীবন্ত ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপস্থিত, বাকিরা মৃত ও বিবর্ণ।
জহির রায়হান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য—
-
জন্ম ১৯৩৫ সালে ফেনী জেলার মজুপুর গ্রামে।
-
প্রকৃত নাম জহিরুল্লাহ, পরে তিনি জহির রায়হান নামে পরিচিত হন।
-
তিনি ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
'টুনি' চরিত্রটি কোন উপন্যাসের অন্তর্গত?
Created: 2 weeks ago
A
হাজার বছর ধরে
B
আরেক ফাল্গুন
C
লালসালু
D
পদ্মা নদীর মাঝি
‘হাজার বছর ধরে’ (১৯৬৪) উপন্যাসে আবহমান বাংলার জীবন ও জনপদকে কেন্দ্রবিন্দুতে রাখা হয়েছে। এই কাহিনীতে ‘টুনি’ চরিত্রটি মূল কেন্দ্রীয় চরিত্র, যিনি একমাত্র জীবন্ত ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপস্থিত, বাকিরা মৃত ও বিবর্ণ।
জহির রায়হান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য—
-
জন্ম ১৯৩৫ সালে ফেনী জেলার মজুপুর গ্রামে।
-
প্রকৃত নাম জহিরুল্লাহ, পরে তিনি জহির রায়হান নামে পরিচিত হন।
-
তিনি ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago