A
সৈয়দ শামসুল হক
B
শওকত ওসমান
C
সৈয়দ মুজতবা আলী
D
ফররুখ আহমদ
উত্তরের বিবরণ
● চাচা-কাহিনী
– ‘চাচা-কাহিনী’ একটি ছোটগল্প, যার লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী।
– গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫২ সালে।
● সৈয়দ মুজতবা আলী সম্পর্কে কিছু তথ্য
– তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৪ সালে।
– কাজী নজরুল ইসলামের অনুবাদ করা ‘রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম’ বইটির ভূমিকা তিনি লিখেছিলেন।
– তাঁর ভ্রমণবিষয়ক জনপ্রিয় বই ‘দেশে বিদেশে’, যা মূলত আফগানিস্তানের কাবুল শহরের অভিজ্ঞতার উপর লেখা।
● তাঁর লেখা উপন্যাস
– অবিশ্বাস্য
– শবনম
● তাঁর লেখা ছোটগল্প
– চাচা-কাহিনী
– টুনি মেম
● তাঁর লেখা রম্যরচনা (মজার লেখা)
– পঞ্চতন্ত্র
– ময়ূরকণ্ঠী
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 5 days ago
'অনল প্রবাহ' রচনা করেন-
Created: 2 months ago
A
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী
B
মোজাম্মেল হক
C
এয়াকুব আলী চৌধুরী
D
মুনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী
‘অনল প্রবাহ’ কাব্যগ্রন্থ:
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী রচিত ‘অনল প্রবাহ’ একটি মুসলিম জাগরণমূলক কাব্যগ্রন্থ, যা প্রকাশিত হয় ১৯০০ সালে। এতে মুসলমানদের অবস্থা ও অধঃপতনের জন্য ইংরেজ শাসকদের প্রতি কবির গভীর ক্ষোভ ও প্রতিবাদ প্রকাশ পেয়েছে। কাব্যের মূল বাণী— “যা চলে গেছে তার জন্য শোক বৃথা, বরং জাতির হৃতগৌরব উদ্ধারের প্রচেষ্টাই মুখ্য”— জাতীয়তাবাদী চেতনার পরিচয় বহন করে।
এই কাব্যে হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভারত ভিক্ষা’ ও ‘ভারত বিলাপ’ কবিতার স্পষ্ট প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।
প্রথম সংস্করণে মোট নয়টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত ছিল—
১. অনল-প্রবাহ
২. তুর্যধ্বনি
৩. মূর্ছনা
৪. বীর-পূজা
৫. অভিভাষণ : ছাত্রগণের প্রতি
৬. মরক্কো-সঙ্কটে
৭. আমীর-আগমনে
৮. দীপনা
৯. আমীর-অভ্যর্থনা
১৩১৫ বঙ্গাব্দে (১৯০৮ সালে) বইটির পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হলে ব্রিটিশ সরকার তা বাজেয়াপ্ত করে এবং সিরাজীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তিনি তখন ফরাসি অধিকৃত চন্দননগরে আশ্রয় নেন এবং প্রায় আট মাস আত্মগোপনে থাকেন। পরবর্তীতে আত্মসমর্পণ করলে ইংরেজ শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে তাঁকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
সাহিত্যকর্ম:
উপন্যাস:
-
রায়নন্দিনী
-
তারাবাঈ
-
ফিরোজা বেগম
প্রবন্ধ:
-
স্বজাতি প্রেম
-
তুর্কি নারী জীবন
-
স্পেনীয় মুসলমান সভ্যতা
কাব্যগ্রন্থ:
-
অনল প্রবাহ
-
উচ্ছ্বাস
-
উদ্বোধন
-
স্পেন বিজয় কাব্য
ভ্রমণ কাহিনী:
-
তুরস্ক ভ্রমণ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা - ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
'ইউসুফ-জোলেখা' প্রণয়কাব্য অনুবাদ করেছেন-
Created: 2 weeks ago
A
দৌলত উজির বাহরাম খান
B
মাগন ঠাকুর
C
আলাওল
D
শাহ্ মুহম্মদ সগীর
ইউসুফ-জোলেখা কাব্য
• ইউসুফ-জোলেখা’ শাহ মুহম্মদ সগীর রচিত কাহিনি কাব্যগ্রন্থ যা রোম্যান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম কাব্য।
• গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে এ কাব্যর রচনা হয়েছিল বলে প্রমাণ মিলেছে।
• বাইবেল ও কোরানে ইউসুফ-জোলেখার কাহিনি বর্ণিত আছে। ইরানের কবি ফেরদৌসিও এই নামে কাব্য রচনা করেছেন। সগীর বাইবেল পড়েন নি। তিনি কোরান ও ফেরদৌসির কাছে থেকেই কাহিনিসূত্র গ্রহণ করে ইউসুফ ও জোলেখার প্রণয়কাহিনি লেখেন।
• পরবর্তীতে মধ্যযুগের আরো অনেক কবি ইউসুফ জুলেখা নাম দিয়ে কাব্য রচনা করেছেন। যেমন- ইউসুফ জুলেখা নিয়ে কাব্য রচনা করেন আব্দুল হাকিম এবং শাহ মুহম্মদ গরীবুল্লাহ। তবে এই কাব্য শাহ মুহাম্মদ সগীরই প্রথম লেখেন।
------------------------------
• শাহ মুহম্মদ সগীর:
- মধ্যযুগের তথা বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি শাহ মুহম্মদ সগীর।
- তিনি পনের শতকের কবি ছিলেন।
- গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে তিনি কাব্য রচনা করেন।
- অনুবাদ সাহিত্য বা রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম কবি - শাহ্ মুহম্মদ সগীর।
- শাহ মুহম্মদ সগীরের শ্রেষ্ঠ অনুবাদকর্ম ইউসুফ-জোলেখা। এটি একটি রোমান্টিক প্রনয়োপাখ্যান।
- ইউসুফ-জোলেখা কাব্যগ্রন্থের রচনাকাল অনুসারে এটি রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম কাব্য এবং শাহ মুহম্মদ সগীর এই ধারার প্রথম কবি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়িা।

0
Updated: 2 weeks ago
'কেউ মালা, কেউ তসবি গলায়, তাইতো জাত ভিন্ন বলায়' এই পংক্তিটি নিচের একজনের লেখা-
Created: 1 month ago
A
লালন শাহ
B
সিরাজ সাঁই
C
মদন বাউল
D
পাগলা কানাই
‘কেউ মালা, কেউ তসবি গলায়, তাইতো জাত ভিন্ন বলায়’ — এই প্রসিদ্ধ গানটির রচয়িতা ছিলেন বাউল সম্রাট খ্যাত লালন শাহ্।
লালন শাহ্ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
লালন শাহ্ (১৭৭২-১৮৯০) বাউল সাধনার অন্যতম প্রধান গুরু এবং বাউল সঙ্গীতের শ্রেষ্ঠ রচয়িতা ও গায়ক হিসেবে পরিচিত।
-
তিনি ১১৭৯ বঙ্গাব্দের ১লা কার্তিকে (১৭৭২ খ্রিস্টাব্দ) ঝিনাইদহ জেলার হরিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
মতান্তরে, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর ভাঁড়রা গ্রামে এক কায়স্থ পরিবারে তাঁর জন্মসূত্র।
-
লালন শাহ্ জাতিভেদের ধার্মিক ও সামাজিক বিভাজনকে কখনো মানতেন না। তিনি একথা স্পষ্ট করেছিলেন তাঁর গানে:
‘সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে,
লালন কয় জাতির কি রূপ দেখলাম না এ নজরে।’
অর্থাৎ, মানবজাতির মধ্যে জাতপাতের কোনো প্রকৃত বৈষম্য নেই।
লালন শাহ্ এর জনপ্রিয় অন্যান্য গানসমূহ:
-
‘বাড়ির কাছে আরশী নগর’
-
‘আমার ঘরখানায় কে বিরাজ করে’
-
‘মিলন হবে কত দিনে’
-
‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়’
-
‘তিন পাগলের মেলা’
-
‘সময় গেলে সাধন হবে না’
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago