'সিরাজদ্দৌলা' নাটকের রচয়িতা কে?
A
দীনবন্ধু মিত্র
B
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
C
কাজী মোতাহার হোসেন
D
গিরিশচন্দ্র ঘোষ
উত্তরের বিবরণ
‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকটি বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ সৃষ্টি, যার রচয়িতা গিরিশচন্দ্র ঘোষ। এই নাটকে তিনি নবাব সিরাজদ্দৌলাকে শুধুমাত্র একটি ঐতিহাসিক চরিত্র হিসেবে নয়, বরং স্বদেশপ্রেম, ত্যাগ ও বীরত্বের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। এটি বাংলা নাট্যরীতিতে দেশজাগরণের চেতনা প্রোথিত করার একটি অসাধারণ উদাহরণ।
-
‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটক গিরিশচন্দ্র ঘোষ রচিত, যেখানে নবাব সিরাজদ্দৌলাকে নবজাগরণের যুগের দেশপ্রেমিক প্রতীক হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।
-
ঐতিহাসিক অক্ষয়কুমার মৈত্রে ইংরেজ ঐতিহাসিকদের কুৎসিত বর্ণনার বিপরীতে স্বাধীন বাংলার শেষ নবাব সিরাজদ্দৌলাকে দেশভক্ত নায়ক হিসেবে নতুনভাবে উপস্থাপন করেন।
-
গিরিশচন্দ্র ঘোষ এই নাটকে সেই নতুন দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করে নবাবের চরিত্রকে অত্যাচারী শাসকের পরিবর্তে বীর দেশপ্রেমিকের প্রতীক হিসেবে দেখিয়েছেন।
-
নাটকটি নবজাগ্রত বাঙালির স্বদেশচেতনা, আত্মমর্যাদা ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে।
-
এতে দেশদ্রোহিতা, ইংরেজ ষড়যন্ত্র ও বাঙালি ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
-
‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকটি মঞ্চে প্রদর্শিত হলে জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ দর্শকসমাজে গভীর প্রভাব ফেলে।
গিরিশচন্দ্র ঘোষ সম্পর্কিত তথ্য:
-
জন্ম: ১৮৪৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, কলকাতার বাগবাজারে।
-
তিনি ছিলেন বাংলা নাট্যজগতের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, একজন নাট্যকার, অভিনেতা ও পরিচালক।
-
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের প্রভাবে তিনি প্রথমে গান ও কবিতা লেখা শুরু করেন।
-
পরবর্তীতে মঞ্চনাট্যে যুক্ত হয়ে নাট্যরচনায় মনোনিবেশ করেন।
-
দীনবন্ধু মিত্রের বিখ্যাত প্রহসন ‘সধবার একাদশী’-তে ‘নিমচাঁদ’ চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে নাট্যমঞ্চে তাঁর খ্যাতি অর্জন হয়।
-
মৃত্যু: ১৯১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, কলকাতায়।
গিরিশচন্দ্র ঘোষের রচিত প্রধান নাটকসমূহ:
১. আগমনী
২. অভিমন্যুবধ
৩. সীতার বনবাস
৪. সীতাহরণ
৫. পাণ্ডবের অজ্ঞাতবাস
৬. প্রফুল্ল
৭. জনা
৮. বলিদান
৯. সিরাজদ্দৌলা
১০. মীরকাশিম
১১. ছত্রপতি শিবাজী
১২. শঙ্করাচার্য
১৩. বিল্বমঙ্গল ঠাকুর
গিরিশচন্দ্র ঘোষ বাংলা নাট্যসাহিত্যে দেশপ্রেম, ঐতিহাসিক চেতনা ও নৈতিক মূল্যবোধের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে নাট্যধারাকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁর রচিত ‘সিরাজদ্দৌলা’ আজও জাতীয় চেতনার প্রতীক হিসেবে অমর হয়ে আছে।

0
Updated: 1 day ago
প্রথম বাংলা পেশাদার নাট্য কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন-
Created: 1 week ago
A
চণ্ডীচরণ মুনশী
B
গিরিশচন্দ্র ঘোষ
C
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
D
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
গিরিশচন্দ্র ঘোষ
-
গিরিশচন্দ্র ঘোষ ছিলেন নাট্যকার, নাট্যপরিচালক ও মঞ্চাভিনেতা।
-
জন্ম: ১৮৪৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, কলকাতার বাগবাজারে।
-
১৮৭২ সালে তিনি প্রথম বাংলা পেশাদার নাট্য কোম্পানি ন্যাশনাল থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন।
-
প্রায় চল্লিশটি নাটক রচনা এবং সমান সংখ্যক নাটক পরিচালনা করেছেন।
-
মৃত্যু: ১৯১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, কলকাতা।
গিরিশচন্দ্র ঘোষের রচিত নাটকসমূহ
পৌরাণিক নাটক
-
রাবণবধ
-
সীতার বনবাস
-
সীতার বিদ্রোহ
-
লক্ষ্মণ বর্জন
-
রামের বনবাস
-
সীতাহরণ
-
পান্ডবের অজ্ঞাতবাস
-
পাণ্ডব গৌরব
রোমান্টিক নাটক
-
মুকুলমুঞ্জরা
-
আবু হোসেন
ঐতিহাসিক নাটক
-
সিরাজদ্দৌলা
-
মীরকাশিম
-
ছত্রপতি শিবাজী
-
অশোক
কৌতুক নাটক
-
হীরার ফুল
-
সপ্তমীতে বিসর্জন
-
বড়দিনের বখশিশ

0
Updated: 1 week ago
প্রথম বাংলা পেশাদার নাট্য কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন কে?
Created: 3 weeks ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
গিরিশচন্দ্র ঘোষ
C
দীনবন্ধু মিত্র
D
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
গিরিশচন্দ্র ঘোষ ছিলেন নাট্যকার, নাট্যপরিচালক ও মঞ্চাভিনেতা। তিনি ১৮৪৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতার বাগবাজারে জন্মগ্রহণ করেন এবং বাংলা নাট্যজগতে বিশেষ অবদান রাখেন।
সারসংক্ষেপ:
-
১৮৭২ সালে তিনি বাংলার প্রথম পেশাদার নাট্য কোম্পানি, ন্যাশনাল থিয়েটার, প্রতিষ্ঠা করেন।
-
প্রায় চল্লিশটি নাটক রচনা ও সমান সংখ্যক নাটক পরিচালনা করেন।
-
১৯১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় তিনি পরলোক গমন করেন।
প্রধান নাটকসমূহ:
পৌরাণিক নাটক:
-
রাবণবধ
-
সীতার বনবাস
-
সীতার বিদ্রোহ
-
লক্ষ্মণ বর্জন
-
রামের বনবাস
-
সীতাহরণ
-
পান্ডবের অজ্ঞাতবাস
-
পাণ্ডব গৌরব
রোমান্টিক নাটক:
-
মুকুলমুঞ্জরা
-
আবু হোসেন
ঐতিহাসিক নাটক:
-
সিরাজদ্দৌলা
-
মীরকাশিম
-
ছত্রপতি শিবাজী
-
অশোক
-
কৌতুক নাটক
-
হীরার ফুল
-
সপ্তমীতে বিসর্জন
-
বড়দিনের বখশিশ
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
নাটকে ‘গৈরিশ ছন্দের’ প্রবর্তন করেন কে?
Created: 1 month ago
A
রামায়ণ তর্করত্ন
B
গোবিন্দচন্দ্র দাস
C
গিরিশচন্দ্র ঘোষ
D
গিরিশচন্দ্র সেন
গিরিশচন্দ্র ঘোষ
-
গিরিশচন্দ্র ঘোষ (১৮৪৪–১৯১২) বাংলা নাটকের সমৃদ্ধি সাধনে অসাধারণ অবদান রেখেছেন।
-
যশস্বী অভিনেতা এবং প্রতিভাশালী নাট্যকার—এই যুগ্ন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়ে তিনি পচাঁত্তরখানি সমাপ্ত নাটক এবং চারখানি অসমাপ্ত প্রহসন রচনা করেছেন।
-
তাঁর প্রধান ও সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠা হলো ‘নটগুরু’ হিসেবে।
-
গিরিশচন্দ্র ঘোষের নাটকগুলিতে তিনি নিজে উদ্ভাবিত ‘গৈরিশ ছন্দ’ ব্যবহার করেছেন, যা যথেষ্ট সার্থকতা অর্জন করেছে। এর উদ্দেশ্য ছিল অভিনয়ে উপযোগী ভাষা সৃষ্টি।
-
এই ছন্দের প্রভাব পরবর্তীকালের নাট্যকারদের ওপরও লক্ষণীয়। ভক্তিমূলক পৌরাণিক নাটকের ক্ষেত্রেও তাঁর প্রভাব অস্বীকার্য।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 month ago