A
আলাওল
B
সৈয়দ সুলতান
C
মুহম্মদ খান
D
শাহ মুহম্মদ সগীর
উত্তরের বিবরণ
শাহ মুহম্মদ সগীর
-
তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি এবং মধ্যযুগের একজন গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক।
-
তাঁর জীবনকাল ছিল পনেরো শতকে।
-
গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের শাসনামলে তিনি সাহিত্যচর্চা করেন।
-
বাংলা সাহিত্যে অনুবাদ কাব্য এবং প্রেমমূলক কাহিনিনির্ভর কাব্যের প্রথম রচয়িতা ছিলেন তিনি।
-
তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কাব্য হলো "ইউসুফ-জুলেখা"।
-
এই কাব্যটি পারসিক কবি জামী রচিত "ইউসুফ-জুলেখা" কাব্যের বাংলা অনুবাদ, এবং এটিই বাংলা সাহিত্যে এই ধারার সূচনা করে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 5 days ago
মঙ্গলকাব্যের কবি নন কে?
Created: 2 days ago
A
কানাহরি দত্ত
B
মানিক দত্ত
C
ভারতচন্দ্র
D
দাশু রায়
দাশরথি রায় ও তাঁর সাহিত্য
-
দাশরথি রায় (১৮০৬–১৮৫৭) একজন স্বভাবকবি এবং পাঁচালিকার (গীতিকাব্যকার)।
-
তিনি সাধারণত ‘দাশু রায়’ নামেও পরিচিত।
-
তাঁর পাঁচালিকাব্যে শুধু ধর্ম ও ভক্তির কথা ছিল না, তিনি তাতে ছন্দের ঝংকার, অনুপ্রাস, হাস্যরস, গান ও সুর মিশিয়ে এক আকর্ষণীয় রূপ দিয়েছিলেন।
-
তাঁর এই বিশেষ ধরনের পাঁচালিই পরিচিত ‘দাশুরায়ের পাঁচালি’ নামে।
-
তাঁর গানগুলো সাধারণত সুরে রচিত এবং টপ্পা ঘরানার গানেও এর প্রভাব আছে।
-
এই ধারার পূর্বসূরি কবিদের মধ্যে গঙ্গানারায়ণ নস্কর অন্যতম।
তাই, দাশরথি রায় ছিলেন পাঁচালিকবি, তিনি মঙ্গলকাব্যের কবি নন।
মঙ্গলকাব্য
-
মঙ্গলকাব্য হল এক ধরনের ধর্মভিত্তিক কাব্য, যেখানে দেব-দেবীর গুণগান করা হয়।
-
মানুষের বিশ্বাস, এই কাব্য পাঠ করলে নিজে ও সমাজের মঙ্গল সাধিত হয়।
-
এই কাব্যের রচনার সময়কাল ১৫শ থেকে ১৮শ শতকের শেষ পর্যন্ত।
-
মঙ্গলকাব্যের মূল দেবতারা হলেন:
✅ মনসা
✅ চণ্ডী
✅ ধর্মঠাকুর -
একটি পূর্ণাঙ্গ মঙ্গলকাব্যে থাকে ৫টি অংশ:
-
বন্দনা
-
আত্মপরিচয়
-
দেবখণ্ড
-
মর্ত্যখণ্ড
-
শ্রুতিফল
-
বাংলা সাহিত্যে প্রায় ৬২ জন মঙ্গলকাব্য রচয়িতা পাওয়া যায়।
তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলো হল:
➡️ কানাহারি দত্ত
➡️ মানিক দত্ত
➡️ ভারতচন্দ্র
➡️ দ্বিজমাধব
➡️ ঘনরাম চক্রবর্তী
মঙ্গলকাব্যের দুই ধারা
খাঁটি বা লৌকিক মঙ্গলকাব্য
এই ধারায় লোকজ বিশ্বাস ও দেবতার মাহাত্ম্য গুরুত্ব পায়।
উদাহরণ:
-
মনসামঙ্গল
-
চণ্ডীমঙ্গল
-
ধর্মমঙ্গল
-
কালিকামঙ্গল (বিদ্যাসুন্দর)
অন্যান্য: শিবমঙ্গল, ষষ্ঠীমঙ্গল, সূর্যমঙ্গল, শীতলামঙ্গল, রায়মঙ্গল ইত্যাদি।
পৌরাণিক মঙ্গলকাব্য
এগুলো পুরাণ নির্ভর এবং দেব-দেবীর গল্প ঘিরে তৈরি।
উদাহরণ:
-
অন্নদামঙ্গল
-
গৌরীমঙ্গল
-
দুর্গামঙ্গল
-
চণ্ডিকামঙ্গল
-
গঙ্গামঙ্গল
-
ভবানীমঙ্গল
-
কমলামঙ্গল ইত্যাদি।
দাশু রায় বা দাশরথি রায় মঙ্গলকাব্যের কবি ছিলেন না। তিনি পাঁচালি ধারার জনপ্রিয় কবি, যাঁর লেখায় ছিল রস, ছন্দ ও সুরের অপূর্ব মেলবন্ধন।
আর মঙ্গলকাব্য হল ধর্মীয় কাব্যরূপে দেবদেবীর মাহাত্ম্য বর্ণনা করে সমাজের মঙ্গল কামনা করার এক সাহিত্যধারা।

0
Updated: 2 days ago
বাংলা সাহিত্যের আদি কবি কে?
Created: 5 days ago
A
কাহ্নপা
B
চেণ্ডনপা
C
লুইপা
D
ভূসুকুপা
লুইপা: বাংলা সাহিত্যের প্রথম কবি
-
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম কাব্যগ্রন্থ চর্যাপদ-এর প্রথম কবিতা লুইপা রচনা করেন।
তাই তাকেই বাংলা সাহিত্যের আদি কবি বলা হয়। -
লুইপা ছিলেন একজন প্রবীণ বৌদ্ধ সাধক ও চর্যাপদের একজন কবি।
-
ভাষাবিদ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মনে করেন, লুইপা সম্ভবত ৭৩০ থেকে ৮১০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে জীবিত ছিলেন।
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে, লুইপার জন্ম রাঢ় অঞ্চলে (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের কিছু অংশ)।
-
তিনি চর্যাপদের ১ম ও ২৯তম পদ রচনা করেছেন।
-
তাঁর রচিত প্রথম চর্যার পঙক্তি দুটি হলো:
"কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল।
চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল।।"
চর্যাপদ: বাংলা সাহিত্যের সূচনা
-
চর্যাপদ হলো বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে পুরোনো গ্রন্থ।
এটি বাংলা ভাষার প্রথম কবিতা বা গানের সংকলন হিসেবে ধরা হয়। -
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
১৯০৭ সালে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবারের একটি লাইব্রেরি থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
সুকুমার সেন তাঁর 'বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস' গ্রন্থে চর্যাপদের ২৪ জন কবির নাম উল্লেখ করেছেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তাঁর Buddhist Mystic Songs গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম দেন।
-
চর্যাপদের সবচেয়ে বেশি কবিতা লিখেছেন কাহ্নপা — তিনি মোট ১৩টি পদ রচনা করেন, যার মধ্যে ১২টি পাওয়া গেছে।
-
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ লিখেছেন ভুসুকুপা — তিনি ৮টি পদ রচনা করেন।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 5 days ago
রূপসী বাংলার কবি-
Created: 2 months ago
A
জসীমউদদীন
B
জীবনানন্দ দাশ
C
কালিদাস রায়
D
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯–১৯৫৪) ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি কবি ও শিক্ষাবিদ। তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার একজন পথিকৃত এবং স্বতন্ত্র কাব্যভাষার স্রষ্টা হিসেবে পরিচিত।
জন্ম ও পারিবারিক পটভূমি
-
জন্ম: ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৯, বরিশাল, ব্রিটিশ ভারত।
-
আদি নিবাস: বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রাম।
-
পিতা: সত্যানন্দ দাশ – স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক।
-
মাতা: কুসুমকুমারী দাশ – একজন কবি।
উপাধি ও পরিচিতি
জীবনানন্দ দাশ তাঁর নিঃসঙ্গতা, প্রকৃতিপ্রেম এবং বিমূর্ত ভাবধারার জন্য পরিচিত ছিলেন। তাঁর কিছু পরিচিত উপাধি হলো:
-
ধুসরতার কবি
-
তিমির হননের কবি
-
রূপসী বাংলার কবি
-
নির্জনতার কবি
প্রধান রচনাসমূহ
কাব্যগ্রন্থ:
-
ঝরা পালক (প্রথম কাব্যগ্রন্থ)
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
রূপসী বাংলা
-
বেলা অবেলা কালবেলা
উপন্যাস:
-
মাল্যবান
-
সুতীর্থ
প্রবন্ধ:
-
কবিতার কথা
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া; বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 months ago