‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসের লেখক কে?
A
শহীদুল্লা কায়সার
B
হুমায়ূন আহমেদ
C
জহির রায়হান
D
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
উত্তরের বিবরণ
‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসটি বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের এক অনন্য নিদর্শন, যার রচয়িতা জহির রায়হান। এই উপন্যাসে বাঙালির গ্রামীণ সমাজ, সংস্কৃতি ও চিরন্তন জীবনের ছাপ গভীরভাবে ফুটে উঠেছে। লেখক তাঁর অসাধারণ বর্ণনাশৈলীতে আবহমান বাংলার চিত্র এক অনন্য বাস্তবতায় উপস্থাপন করেছেন।
-
‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসটি ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এতে আবহমান বাংলার জীবন, প্রকৃতি, সমাজ ও জনপদকে কেন্দ্র করে কাহিনি গড়ে উঠেছে।
-
উপন্যাসে টুনি চরিত্রটি সবচেয়ে জীবন্ত, যেখানে অন্যান্য চরিত্রগুলো মৃত বা বিবর্ণ রূপে প্রতিফলিত।
-
প্রধান চরিত্রগুলো হলো: মন্ত, টুনি ও বুড়ো মকবুল।
-
এই উপন্যাসের জন্য জহির রায়হান আদমজী সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
-
উপন্যাসে লেখক সমাজের অবক্ষয়, কুসংস্কার, শ্রেণিবৈষম্য ও মানবিক বেদনার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।
-
টুনি চরিত্রের মাধ্যমে নারীর অবদমন ও তার প্রতিরোধের শক্তি তুলে ধরা হয়েছে।
-
উপন্যাসে প্রতীকীভাবে বাংলা মাটির স্থায়িত্ব ও বাঙালির জীবনসংগ্রামের ধারাবাহিকতা প্রকাশ পেয়েছে।
জহির রায়হান সম্পর্কিত তথ্য:
-
তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত কথাশিল্পী, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও স্বাধীনচেতা বুদ্ধিজীবী।
-
জন্ম: ১৯৩৫ সালে ফেনী জেলার মজিপুর গ্রামে।
-
প্রকৃত নাম: মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।
-
তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম রঙিন সিনেমা ‘সঙ্গম’-এর পরিচালক।
-
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
-
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা নিয়ে তিনি ‘স্টপ জেনোসাইড’ নামে বিখ্যাত প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন।
-
ভাষা আন্দোলনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে রচিত তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘আরেক ফাল্গুন’।
-
১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি তিনি মিরপুর থেকে নিখোঁজ হন এবং আর ফিরে আসেননি।
জহির রায়হানের অন্যান্য উপন্যাস:
১. হাজার বছর ধরে
২. আর কতদিন
৩. শেষ বিকেলের মেয়ে
৪. তৃষ্ণা
৫. আরেক ফাল্গুন
৬. বরফ গলা নদী
৭. কয়েকটি মৃত্যু
জহির রায়হানের সাহিত্য ও চলচ্চিত্রকর্ম বাঙালি জাতিসত্তার মুক্তি, সংগ্রাম ও মানবিক চেতনার প্রতীক হিসেবে আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।

0
Updated: 1 day ago
জহির রায়হানের প্রকৃত নাম কী?
Created: 1 day ago
A
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর
B
মোহাম্মদ রাফিকুল
C
মোহাম্মদ হুমায়ূন
D
মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ
জহির রায়হান ছিলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও সাহিত্য ইতিহাসের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, যিনি একাধারে কথাশিল্পী, ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর প্রকৃত নাম মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ। মানবতা, দেশপ্রেম ও সামাজিক বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে তিনি সাহিত্য ও চলচ্চিত্র উভয় ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলেছিলেন।
-
জন্ম: ১৯৩৫ সালে, ফেনী জেলার মজিপুর গ্রামে।
-
প্রকৃত নাম: মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।
-
তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্র পরিচালক, যিনি সাহিত্যে ও চলচ্চিত্রে বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।
-
সাহিত্য ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক সংগ্রামকে শক্তিশালীভাবে তুলে ধরেন।
-
তাঁর লেখায় স্বাধীনতা, প্রেম, সংগ্রাম ও বঞ্চিত মানুষের কণ্ঠস্বরের প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়।
চলচ্চিত্রে অবদান:
-
প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র: ‘কখনো আসে নি’
-
বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম রঙিন ছবি: ‘সঙ্গম’
-
প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র: ‘বাহানা’
-
তাঁর পরিচালিত ‘কাঁচের দেয়াল’ চলচ্চিত্রটি নিগার পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
-
তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে বাস্তবধর্মী ও সমাজসচেতন কাহিনি উপস্থাপনের নতুন ধারা সূচনা করেন।
সাহিত্য ও পুরস্কার:
-
১৯৭২ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
-
তাঁর সাহিত্যকর্মে সমাজ, প্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত।
-
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে আছে:
১. হাজার বছর ধরে
২. আর কতদিন
৩. শেষ বিকেলের মেয়ে
৪. তৃষ্ণা
৫. আরেক ফাল্গুন
৬. বরফ গলা নদী
৭. কয়েকটি মৃত্যু
মৃত্যু:
-
স্বাধীনতার পরবর্তী অস্থির সময়ে, ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি, তিনি মিরপুরে নিখোঁজ হন এবং আর ফিরে আসেননি।
জহির রায়হান তাঁর শিল্পচেতনা, সাহিত্য ও চলচ্চিত্রে দেশপ্রেমের গভীর প্রকাশের মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতিতে এক অমর অবস্থান তৈরি করেছেন।

0
Updated: 1 day ago
জহির রায়হানের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
সঙ্গম
B
বাহানা
C
জীবন থেকে নেয়া
D
কাঁচের দেয়াল
জহির রায়হান এবং তার চলচ্চিত্রকর্ম
-
প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র: সঙ্গম
-
জন্ম ও পরিচিতি:
-
জন্ম: ১৯৩৫, ফেনী জেলা
-
প্রকৃত নাম: মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ
-
পেশা: কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক
-
গল্পগ্রন্থ:
-
উল্লেখযোগ্য: সূর্যগ্রহণ
চলচ্চিত্র পরিচালনা:
-
প্রথম পরিচালিত রঙিন চলচ্চিত্র: সঙ্গম
-
প্রথম সিনেমাস্কোপ ছবি: বাহানা
-
কাঁচের দেয়াল: নিগার পুরস্কার অর্জিত শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র
উপন্যাসসমূহ ও স্বীকৃতি:
-
উপন্যাস: হাজার বছর ধরে, আরেক ফাল্গুন, বরফ গলা নদী, আর কতদিন, তৃষ্ণা, শেষ বিকেলের মেয়ে, কয়েকটি মৃত্যু
-
পুরস্কার: আদমজি সাহিত্য পুরস্কার (উপন্যাসের জন্য)
উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ:
-
জীবন থেকে নেয়া, কখনও আসেনি, Stop Genocide, সোনার কাজল, কাঁচের দেয়াল, বেহুলা, আনোয়ারা, সঙ্গম, বাহানা
-
বিশেষত্ব: জহির রায়হান বাংলা চলচ্চিত্রে নতুনত্ব এবং সামাজিক বাস্তবতা চিত্রায়নে বিশেষ অবদান রেখেছেন।

0
Updated: 4 weeks ago
কোনটি জহির রায়হান রচিত উপন্যাস?
Created: 2 weeks ago
A
সোনার কাজল
B
শেষ বিকেলের মেয়ে
C
জীবন থেকে নেয়া
D
সূর্যগ্রহণ
‘শেষ বিকেলের মেয়ে’ (১৯৬০) জহির রায়হানের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস, যা ধারাবাহিকভাবে ‘সাপ্তাহিক বিজলী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
-
‘জীবন থেকে নেয়া’ (১৯৭০): ভাষা আন্দোলনভিত্তিক চলচ্চিত্র, যেখানে প্রথমবার জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।
-
‘সোনার কাজল’ (১৯৬২): জহির রায়হানের চলচ্চিত্র।
-
‘সূর্যগ্রহণ’ (১৯৫৫): জহির রায়হানের গল্পগ্রন্থ।
জহির রায়হানের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ:
-
‘হাজার বছর ধরে’ (১৯৬৪): আবহমান বাংলার জীবন ও জনপদ প্রতিপাদ্য। ১৯৬৪ সালে ‘আদমজী সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন। উপন্যাস অবলম্বনে স্ত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যা ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ জিতে। চরিত্র: টুনি, মন্তু, মকবুল।
-
‘আরেক ফাল্গুন’ (১৯৬৮): ১৯৪৮–৫২ সালের আন্দোলন, ছাত্র-ছাত্রীর অংশগ্রহণ, জনতার সম্মিলন ও প্রেম-প্রণয় ভিত্তিক ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম উপন্যাস।
-
‘আর কত দিন’ (১৯৭০): মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ব সময়ের সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুদ্ধের সম্ভাবনা, লাঞ্ছিত মানবতার আর্তি, শান্তি ও ভালোবাসার জন্য মানুষের অন্বেষা। চরিত্র ইভা ও তপু শান্তি ও ভালোবাসার প্রতীক।
-
‘তৃষ্ণা’ (১৯৬২)
-
‘বরফ গলা নদী’ (১৯৬৯)
-
‘কয়েকটি মৃত্যু’ (১৯৬৫)

0
Updated: 2 weeks ago