কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা কোন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়?
A
ধূমকেতু
B
বিজলী
C
লাঙল
D
কল্লোল
উত্তরের বিবরণ
‘বিদ্রোহী’ কবিতা কাজী নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের অন্যতম বিখ্যাত সৃষ্টি। এটি এমন এক কবিতা যেখানে কবির অন্তরের অগ্নিময় বিদ্রোহ ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা প্রবলভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। কবিতাটি প্রকাশের মধ্য দিয়েই নজরুল চিরকালের জন্য বাঙালির বিদ্রোহী কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।
-
‘বিদ্রোহী’ কবিতা কাজী নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় কবিতা।
-
কবিতাটি ২২ পৌষ, ১৩২৮ বঙ্গাব্দ (১৯২২ সালের ৬ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক ‘বিজলী’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।
-
নজরুল পরবর্তীতে বিদ্রোহধর্মী আরও অনেক কবিতা লিখেছেন, তবে শুধুমাত্র ‘বিদ্রোহী’ কবিতাই তাঁকে বাঙালির চিরকালীন বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত করেছে।
-
কবিতার মূল ভাবনা বিদ্রোহ, বিপ্লব এবং মুক্তচেতনার উচ্ছ্বাসের ওপর ভিত্তি করে গঠিত।
-
‘বিদ্রোহী’-তে কবি মানুষের ভেতরের অসীম শক্তি, ন্যায়বোধ ও প্রতিবাদের সাহসকে কাব্যময়ভাবে প্রকাশ করেছেন।
-
এই কবিতায় ধর্ম, সমাজ ও মানবতার প্রতি কবির সমান দৃষ্টিভঙ্গি এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে জাগ্রত চেতনা প্রকাশ পেয়েছে।
‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কিত তথ্য:
-
এটি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
-
কাব্যগ্রন্থটি তিনি বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে উৎসর্গ করেছিলেন।
-
এতে মোট ১২টি কবিতা রয়েছে।
-
কবিতাগুলোর নাম ক্রমানুসারে হলো:
১. প্রলয়োল্লাস
২. বিদ্রোহী
৩. রক্তাম্বরধারিণী মা
৪. আগমনী
৫. ধুমকেতু
৬. কামালপাশা
৭. আনোয়ার
৮. রণভেরী
৯. শাত-ইল-আরব
১০. খেয়াপারের তরণী
১১. কোরবানী
১২. মোহররম
‘অগ্নিবীণা’ গ্রন্থের প্রকাশের মাধ্যমে নজরুল বাংলা সাহিত্যে বিপ্লব, মানবতা ও স্বাধীনতার কবি হিসেবে অমর হয়ে যান।

0
Updated: 1 day ago
'দারিদ্র্য' কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
Created: 3 weeks ago
A
অগ্নিবীণা
B
সিন্ধু হিন্দোল
C
সাম্যবাদী
D
প্রলয় শিখা
কাজী নজরুল ইসলাম ও ‘সিন্ধু হিন্দোল’
-
‘দারিদ্র্য’ কবিতা:
-
কাব্যগ্রন্থ: সিন্ধু হিন্দোল
-
কবির লাইন:
“হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছো মহান্।
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীষ্টের সম্মান।”
-
-
সিন্ধু হিন্দোল:
-
রচয়িতা: কাজী নজরুল ইসলাম
-
ধরণ: প্রেমকাব্য
-
উল্লেখযোগ্য কবিতা:
-
গোপন প্রিয়া
-
অনামিকা
-
বিদায়-স্মরণে
-
পথের স্মৃতি
-
উন্মনা
-
দারিদ্র্য
-
বাসন্তী
-
ফাল্গুনী
-
বধূ-বরণ
-
রাখী-বন্ধন
-
চাঁদনী রাতে
-
মাধবী-প্রলাপ ইত্যাদি
-
-

0
Updated: 3 weeks ago
কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত পত্রিকা কোনটি?
Created: 1 week ago
A
দৈনিক ইনকিলাব
B
কুহেলিকা
C
সওগাত
D
ধূমকেতু
ধূমকেতু হলো কাজী নজরুল ইসলামের সম্পাদনায় প্রকাশিত একটি অর্ধসপ্তাহিক পত্রিকা, যা ১৯২২ সালে প্রকাশিত হয়। পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের বাণীও ছাপা হয় এবং ব্রিটিশ সরকারের নজরে আসার কারণে এর পূজা সংখ্যার একটি সংখ্যা বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং নজরুল গ্রেফতার হন।
-
‘ধূমকেতু’ পত্রিকা
-
সম্পাদনা: কাজী নজরুল ইসলাম
-
প্রকাশের বছর: ১৯২২
-
বিশেষ ঘটনা: পূজা সংখ্যা (২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২২) প্রকাশের পর ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত
-
উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা: রবীন্দ্রনাথের বাণী — "আয় চলে আয় রে ধূমকেতু / আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু-"
-
-
অন্য পত্রিকা
-
সওগাত: সচিত্র মাসিক, ১৩২৫ বঙ্গাব্দ (১৯১৮) অগ্রহায়ণ, সম্পাদনা: মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন, কলকাতা থেকে প্রকাশিত
-
দৈনিক ইনকিলাব: বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক, বাংলা ভাষায় প্রকাশিত, প্রথম প্রকাশক: এম এ মাওলানা আবদুল মান্নান
-
-
কাজী নজরুল ইসলাম
-
জন্ম: ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ, বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রাম, পশ্চিমবঙ্গ
-
ডাক নাম: দুখু মিয়া
-
পরিচিতি: বাংলাদেশের জাতীয় কবি, বাংলা সাহিত্যে ‘বিদ্রোহী কবি’, আধুনিক বাংলা গানের জগতে বুলবুল নামে খ্যাত
-
-
কাজী নজরুল ইসলামের সংগীত বিষয়ক গ্রন্থ
-
চোখের চাতক
-
নজরুল গীতিকা
-
সুর সাকী
-
বনগীতি
-
-
উপন্যাস
-
বাঁধন-হারা
-
মৃত্যুক্ষুধা
-
কুহেলিকা
-
-
প্রবন্ধগ্রন্থ
-
দুর্দিনের যাত্রী
-
যুগবাণী
-
রুদ্র মঙ্গল
-
-
সম্পাদিত পত্রিকা
-
ধূমকেতু (১৯২২)
-
লাঙ্গল (১৯২৫), প্রধান পরিচালক
-
দৈনিক নবযুগ, যৌথ সম্পাদনা: নজরুল ও কমরেড মুজাফ্ফর আহমদ
-

0
Updated: 1 week ago
কাজী নজরুল ইসলামের কোন গ্রন্থটি বাজেয়াপ্ত হয়নি?
Created: 2 weeks ago
A
অগ্নিবীণা
B
বিষের বাঁশি
C
ভাঙার গান
D
চন্দ্রবিন্দু
কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্মের মধ্যে বেশ কিছু গ্রন্থ ব্রিটিশ সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তবে কিছু গ্রন্থ বাজেয়াপ্ত করার সুপারিশ করা হলেও শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হয়নি। নিচে তার বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
-
যুগবাণী: এটি ছিল প্রবন্ধ গ্রন্থ এবং নজরুলের প্রথম নিষিদ্ধ বই। 'নবযুগ' পত্রিকায় প্রকাশিত কয়েকটি নিবন্ধ একত্র করে এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছিল। ২৩ নভেম্বর ১৯২২ সালে ফৌজদারি বিধির ৯৯এ ধারায় ব্রিটিশ সরকার বইটি বাজেয়াপ্ত করে (গেজেট নং ১৬৬৬১পি)। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বইটিকে ভয়ংকর বলে আখ্যা দেওয়া হয়, কারণ এতে উগ্র জাতীয়তাবাদ প্রচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় ১৯৪৭ সালে।
-
বিষের বাঁশি: এটি একটি কবিতাগ্রন্থ। ২২ অক্টোবর ১৯২৪ সালে (মতান্তরে ২৪ অক্টোবর) গেজেট ঘোষণায় (গেজেট নং ১০৭২পি) বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয় ২৭ এপ্রিল ১৯৪৫ সালে।
-
ভাঙার গান: আরেকটি কবিতাগ্রন্থ, যা ১১ নভেম্বর ১৯২৪ সালে নিষিদ্ধ করা হয়।
-
প্রলয়শিখা: ১৯৩০ সালের আগস্টে প্রকাশিত এই কবিতাগ্রন্থটি ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩০ সালে নিষিদ্ধ করা হয় (গেজেট নং ১৪০৮৭পি)। এতে থাকা ‘যতীন দাশ’, ‘পূজা অভিনয়’, ‘হবে জয়’, ‘জাগরণ’, ‘নব ভারতের হলদিঘাট’ প্রভৃতি কবিতাকে রাজদ্রোহমূলক আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।
-
চন্দ্রবিন্দু: এটি একটি গানের সংকলন বা গীতিগ্রন্থ। ১৪ অক্টোবর ১৯৩১ সালে এটি নিষিদ্ধ হয় (গেজেট নং ১৭৬২৫)।
এছাড়া নজরুলের আরও কিছু গ্রন্থ যেমন অগ্নিবীণা, সঞ্চিতা, ফণিমনসা, সর্বহারা, রুদ্রমঙ্গল বাজেয়াপ্ত করার সুপারিশ থাকলেও শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়নি। তবে অগ্নিবীণা গ্রন্থের কিছু অংশ বা এর সঙ্গে সম্পর্কিত কবিতা সেন্সরের শিকার হয়েছিল।
বিশেষত ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২২ সালে ‘ধূমকেতু’ পত্রিকায় প্রকাশিত নজরুলের রাজনৈতিক কবিতা আনন্দময়ীর আগমনে প্রকাশের পর ব্রিটিশ সরকার পত্রিকার উক্ত সংখ্যাটি নিষিদ্ধ করে এবং কবিকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়।
সারসংক্ষেপে বলা যায়, ১৯২২ থেকে ১৯৩১ সালের মধ্যে কাজী নজরুল ইসলামের মোট ৫টি গ্রন্থ নিষিদ্ধ হয়েছিল—যুগবাণী, বিষের বাঁশি, ভাঙার গান, প্রলয়শিখা ও চন্দ্রবিন্দু। এর মধ্যে প্রথম নিষিদ্ধ বই ছিল যুগবাণী এবং সর্বশেষ নিষিদ্ধ গ্রন্থ ছিল চন্দ্রবিন্দু।

0
Updated: 2 weeks ago