নির্বাচন কমিশনাররা সাধারণত কত বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন?
A
৩ বছর
B
৪ বছর
C
৫ বছর
D
৫ বছর
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন হলো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, যা দেশের জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সব ধরনের নির্বাচন পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে নিয়োজিত। সংবিধানের সপ্তম ভাগে এ কমিশনের গঠন, দায়িত্ব, কর্তব্য ও ক্ষমতা বিস্তারিতভাবে নির্ধারিত আছে।
মূল তথ্যসমূহ:
১. সংবিধান অনুযায়ী গঠন:
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮ অনুযায়ী, বাংলাদেশে একটি নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে, যেখানে থাকবেন একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (Chief Election Commissioner) এবং অনধিক চারজন অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার।
২. গঠন প্রক্রিয়া:
-
নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে এখনো কোনও নির্দিষ্ট আইন প্রণীত হয়নি।
-
এ বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রপতির এখতিয়ারাধীন।
-
রাষ্ট্রপতি সাধারণত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে একটি সার্চ কমিটি গঠন করেন।
-
সার্চ কমিটি কমিশনের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের সুপারিশ করে, এবং রাষ্ট্রপতি তাঁদের মধ্য থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ দেন।
৩. মেয়াদ ও পদত্যাগ:
-
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮(৩) অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার ৫ বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
-
তাঁরা ইচ্ছা করলে রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে স্বাক্ষরযুক্ত লিখিত পত্রের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে পারেন।
৪. দায়িত্ব ও ক্ষমতা:
নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো—
-
জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সুষ্ঠু আয়োজন ও তত্ত্বাবধান করা,
-
নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা,
-
ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও হালনাগাদ করা,
-
নির্বাচন-সংক্রান্ত আইন, বিধি ও আচরণবিধি প্রয়োগ নিশ্চিত করা।
সারসংক্ষেপ: সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর অন্যতম স্তম্ভ, যার স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পূর্বশর্ত।

0
Updated: 18 hours ago
রাষ্ট্রপতি পদের জন্য প্রথম সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কবে?
Created: 1 month ago
A
১৯৭৫ সালে
B
১৯৭৬ সালে
C
১৯৭৭ সালে
D
১৯৭৮ সালে
১৯৭৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (বাংলাদেশ)
-
তারিখ: ৩ জুন ১৯৭৮
-
প্রকার: রাষ্ট্রপতির জন্য প্রথম সরাসরি ভোটের নির্বাচন
-
এর আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হতো সংসদের মাধ্যমে।
-
-
বিজয়ী: জিয়াউর রহমান
-
অংশগ্রহণ করেছিলেন জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট থেকে।
-
প্রাপ্ত ভোট: ৭৭%
-
-
প্রতিদ্বন্দ্বী: এমএজি ওসমানী
-
অংশগ্রহণ করেছিলেন গণতান্ত্রিক ঐক্যজোট থেকে।
-
প্রাপ্ত ভোট: ২২%
-
-
সারমর্ম: জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রথম রাষ্ট্রপতি।
-
রাষ্ট্রপতির কার্যকাল: ২১ এপ্রিল ১৯৭৭ – ৩০ মে ১৯৮১
তথ্যসূত্র: পত্রিকার রিপোর্ট

0
Updated: 1 month ago
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদকাল কত?
Created: 2 months ago
A
৪ বছর
B
৫ বছর
C
৩ বছর
D
৭ বছর
নির্বাচন কমিশন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অধীনে গঠিত একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হল নির্বাচন কমিশন।
এই কমিশন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সর্বোচ্চ চারজন কমিশনার নিয়ে মোট পাঁচ সদস্যের একটি দল হিসেবে গঠিত হয়।
কমিশনারদের নিয়োগ করে রাষ্ট্রপতি। নির্বাচন কমিশনের সকল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তাদের মেয়াদ শুরু হয় কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে এবং এটি পাঁচ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
নির্বাচন কমিশনের কার্যসম্পাদনে সরকার এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করার দায়িত্ব বহন করে। সংবিধান এবং প্রযোজ্য নির্বাচনি আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার কার্যক্রম পরিচালনা করে।
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 months ago
পিআর নির্বাচন পদ্ধতিতে আসন বণ্টন কিসের ভিত্তিতে হয়?
Created: 1 month ago
A
এলাকার জনসংখ্যার ভিত্তিতে
B
রাজনৈতিক দলের বয়সের ভিত্তিতে
C
সর্বাধিক ভোট পাওয়া প্রার্থীর ভিত্তিতে
D
প্রতিটি দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে
পিআর (Proportional Representation) নির্বাচন পদ্ধতি
-
সংজ্ঞা:
-
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) এমন একটি নির্বাচন পদ্ধতি যেখানে আসন বণ্টন হয় প্রতিটি দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে।
-
এতে প্রতিটি ভোট কাজে লাগে এবং সংসদে সমানভাবে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, কোনো দল যদি ১০% ভোট পায়, তাদের আসনও হবে প্রায় ১০% হারে।
-
-
প্রক্রিয়া:
-
ভোটের আগে প্রতিটি দল ক্রম ভিত্তিতে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে।
-
প্রাপ্ত ভোটের হার অনুযায়ী সংসদে আসন বণ্টন হয়।
-
-
ধরণসমূহ:
১. মুক্ত তালিকা পদ্ধতি: ভোটের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে থেকে আসন বরাদ্দ।
২. বদ্ধ তালিকা পদ্ধতি: দল নির্ধারণ করে কে হবেন সংসদ সদস্য।
৩. মিশ্র পদ্ধতি: কিছু আসন প্রতীকভিত্তিক, কিছু পিআর ভিত্তিক। -
বাংলাদেশে প্রেক্ষাপট:
-
দেশে বর্তমান সংসদীয় নির্বাচন ব্যবস্থায় ৩০০টি আসনে আলাদা প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন হয়।
-
‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ (FPTP) পদ্ধতিতে যে দল বেশি আসনে জয় পায়, তারা সরকার গঠন করে, ভোটের মোট শতাংশ নয়।
-
উৎস: BBC

0
Updated: 1 month ago