মুক্তিযুদ্ধের সময় ফরিদপুর এবং নোয়াখালি কোন সেক্টরের অধীনে ছিল?
A
২ নং সেক্টর
B
৩ নং সেক্টর
C
৪ নং সেক্টর
D
৬ নং সেক্টর
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের পুরো ভূখণ্ডকে কয়েকটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল, যাতে যুদ্ধ পরিচালনা, সংগঠন ও কৌশলগত পরিকল্পনা সহজ হয়। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন একজন সেক্টর কমান্ডার, যিনি নির্দিষ্ট অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব দিতেন। নিচে ২ নং সেক্টর সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলো—
২ নং সেক্টরের সাধারণ বিবরণ:
১. অঞ্চলভিত্তিক গঠন: ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর এবং নোয়াখালির অংশ নিয়ে গঠিত হয়েছিল ২ নং সেক্টর।
২. বাহিনীর গঠন: এ সেক্টরের বাহিনী গঠিত হয় ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং কুমিল্লা ও নোয়াখালির ইপিআর (East Pakistan Rifles) সদস্যদের নিয়ে।
৩. সদরদপ্তর: এ সেক্টরের সদরদপ্তর ছিল ভারতের আগরতলার দক্ষিণে মেলাঘরে, যা মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম প্রশিক্ষণ ও সমন্বয় কেন্দ্র ছিল।
৪. সেক্টর কমান্ডার: প্রথমে দায়িত্বে ছিলেন মেজর খালেদ মোশাররফ, পরবর্তীতে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেজর এ.টি.এম. হায়দার।
৫. বাহিনীর শক্তি:
-
নিয়মিত বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ৬ হাজার।
-
এ সেক্টরের অধীনে প্রায় ৩৫ হাজার গেরিলা যোদ্ধা যুদ্ধ পরিচালনা করেন।
৬. সাব-সেক্টর সংখ্যা: মোট ৬টি সাব-সেক্টর ছিল, যেগুলো স্থানীয় পর্যায়ে সামরিক অভিযান পরিচালনা করত।
৭. যুদ্ধের ফলাফল: এ সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযানেই কুমিল্লা ও ফেনীর মধ্যবর্তী ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে পাক-বাহিনী সম্পূর্ণভাবে বিতাড়িত হয়, ফলে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এই এলাকা মুক্তাঞ্চল হিসেবে পরিচিত ছিল।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরসমূহ:
-
চট্টগ্রাম: ১ নং সেক্টর
-
ঢাকা: ২ নং সেক্টর
-
রাজশাহী: ৭ নং সেক্টর
-
মুজিবনগর: ৮ নং সেক্টর
-
সুন্দরবন: ৯ নং সেক্টর
সারসংক্ষেপ: ২ নং সেক্টর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধাঞ্চল, যেখানে খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে একের পর এক সফল অভিযান চালানো হয়। এই সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের মুক্ত এলাকা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

0
Updated: 18 hours ago
’বরিশাল’ মুক্তিযুদ্ধকালীন কোন সেক্টরের অন্তর্গত ছিল?
Created: 1 week ago
A
৯নং
B
৫নং
C
২নং
D
৩নং
মুক্তিযুদ্ধকালীন সেক্টর ৯নং গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য। এটি পটুয়াখালী, বরিশাল এবং খুলনার কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত করেছিল।
-
সেক্টরটি গঠিত হয়েছিল পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনার কিছু অংশ নিয়ে।
-
ডিসেম্বর মাসের শুরু পর্যন্ত সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর এম এ জলিল, পরে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেজর জয়নাল আবেদীন।
-
অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন মেজর এম এ মঞ্জুর।
-
সেক্টর ৯নং-এ মোট ৩টি সাব-সেক্টর ছিল।

0
Updated: 1 week ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় সিপাহী হামিদুর রহমান কোন সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেন?
Created: 1 month ago
A
১নং সেক্টর
B
২নং সেক্টর
C
৩নং সেক্টর
D
৪নং সেক্টর
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠ ও সংশ্লিষ্ট সেক্টর
বীরশ্রেষ্ঠ | সেক্টর |
---|---|
ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ | ১নং সেক্টর |
সিপাহী মোস্তফা কামাল | ২নং সেক্টর |
সিপাহী হামিদুর রহমান | ৪নং সেক্টর |
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর | ৭নং সেক্টর |
ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ | ৮নং সেক্টর |
ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার রুহুল আমীন | ১০নং সেক্টর |
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান | কোনো সেক্টরের অধীনে ছিলেন না |
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
৭টি
B
৯টি
C
১১টি
D
১৩টি
মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ও ৬৪টি সাব-সেক্টরে ভাগ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে সেক্টরসমূহ:
-
মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে ৬৪টি সাব-সেক্টর গঠন করা হয়।
-
১নং সেক্টর: চট্টগ্রাম–পার্বত্য চট্টগ্রাম; হেডকোয়ার্টার হরিনাতে; কমান্ডার মেজর জিয়াউর রহমান ও মেজর রফিকুল ইসলাম।
-
২নং সেক্টর: ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর, নোয়াখালি; সদর মেলাঘর; কমান্ডার খালেদ মোশাররফ ও এ.টি.এম. হায়দার।
-
৩নং সেক্টর: সিলেট–শ্রীমঙ্গল এলাকা; কমান্ডার কে.এম. শফিউল্লাহ ও এ.এন.এম নূরুজ্জামান।
-
৪নং সেক্টর: সিলেট সীমান্ত অঞ্চল; হেডকোয়ার্টার করিমগঞ্জ-মাসিমপুর; কমান্ডার সি.আর. দত্ত ও ক্যাপ্টেন এ রব।
-
৫নং সেক্টর: ডাউকি–দুর্গাপুর এলাকা; হেডকোয়ার্টার বাঁশতলা; কমান্ডার মীর শওকত আলী।
-
৬নং সেক্টর: রংপুর–ঠাকুরগাঁও অঞ্চল; কমান্ডার এম. খাদেমুল বাশার।
-
৭নং সেক্টর: রাজশাহী–বগুড়া এলাকা; কমান্ডার নাজমুল হক, এ. রব, কাজী নূরুজ্জামান।
-
৮নং সেক্টর: কুষ্টিয়া–যশোর–খুলনা এলাকা; কমান্ডার আবু ওসমান ও এম.এ মঞ্জুর।
-
৯নং সেক্টর: বরিশাল–পটুয়াখালী–খুলনার অংশ; হেডকোয়ার্টার টাকি; কমান্ডার এম.এ জলিল, মঞ্জুর, জয়নাল আবেদীন।
-
১০নং সেক্টর: নৌ-কমান্ডো সেক্টর; নিয়মিত কমান্ডার ছিলেন না।
-
১১নং সেক্টর: ময়মনসিংহ এলাকা; কমান্ডার এম. আবু তাহের ও হামিদুল্লাহ।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago