A
চলিত রীতি
B
সাধু রীতি
C
মিশ্র রীতি
D
আঞ্চলিক রীতি
উত্তরের বিবরণ
সাধু ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য
-
তৎসম শব্দ বেশি ব্যবহৃত হয়: সাধু ভাষায় সংস্কৃত বা তৎসম শব্দ বেশি ব্যবহার করা হয়।
-
ভাষার রূপ একই থাকে: এই ভাষার ধরণ সব সময় এক থাকে, সময় বা এলাকার পরিবর্তনে এর কোনো পরিবর্তন হয় না।
-
গাম্ভীর্য ও আভিজাত্য: তৎসম শব্দ ব্যবহারের কারণে এই ভাষায় একটা আভিজাত্য ও গুরুত্ব বোঝায়।
-
নিয়ম মেনে চলে: এই ভাষার প্রতিটি শব্দ ও বাক্য গঠনে ব্যাকরণের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করা হয়।
-
শুধু লেখায় ব্যবহার হয়: সাধু ভাষা সাধারণত কথাবার্তায় নয়, লেখা বা বইয়ের ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বক্তৃতা বা আলোচনায় এটি স্বাভাবিক শোনায় না।
-
পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়: এই ভাষায় সর্বনাম (যেমন: আমি, তুমি) ও ক্রিয়াপদের (যেমন: করিয়াছি, গিয়াছিল) পূর্ণরূপ ব্যবহার হয়।
উৎস: অষ্টম শ্রেণির ব্যাকরণ বই এবং ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 5 days ago
সাধু ও চলিত রীতিতে অভিন্নরূপে ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 day ago
A
অব্যয়
B
সম্বোধন পদ
C
সর্বনাম
D
ক্রিয়া
সাধু ও চলিত রীতিতে অভিন্নরূপে ব্যবহৃত অব্যয়গুলোর মধ্যে প্রধান কিছু নিম্নে উল্লেখ করা হলো: এবং, অথচ, কেন, কিন্তু, তবে, যদিও, যদি, তাই, বরং, অথবা।

0
Updated: 1 day ago
সাধু ও চলিত রীতিতে অভিন্নরূপে ব্যবহৃত হয়?
Created: 2 days ago
A
অব্যয়
B
সম্বোধন পদ
C
সর্বনাম
D
ক্রিয়া
সাধু ও চলিত রীতিতে অভিন্নরূপে ব্যবহৃত অব্যয়গুলোর মধ্যে প্রধান কিছু নিম্নে উল্লেখ করা হলো: এবং, অথচ, কেন, কিন্তু, তবে, যদিও, যদি, তাই, বরং, অথবা।

0
Updated: 2 days ago
সাধু ভাষা সাধারণত কোথায় অনুপযোগী?
Created: 1 month ago
A
কবিতার পংক্তিতে
B
গানের কলিতে
C
গল্পের কলিতে
D
নাটকের সংলাপে
সাধু ভাষা
সাধু ভাষা বাংলা লেখ্য গদ্যের একটি প্রাচীন রূপ, যা চলিত ভাষার চেয়ে অনেক বেশি ঐতিহ্যবাহী এবং ধ্রুপদী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। বর্তমান সময়ে চলিত ভাষা বেশি প্রচলিত এবং তা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কযুক্ত। ভাষার এই দ্বৈত রীতি—সাধু ও চলিত—কে বলা হয় দ্বি-ভাষারীতি।
সাধু ভাষার বাক্য গঠন অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট ও নিয়মমাফিক হয়। এতে প্রায়শই তৎসম শব্দের ব্যবহার দেখা যায়, যা মৌখিক চলিত ভাষার তুলনায় অনেক বেশি পূর্ণতা এবং শুদ্ধতা বহন করে। সর্বনাম, ক্রিয়াপদসহ অন্যান্য ব্যাকরণিক রূপ সাধু ভাষায় বেশ পরিপূর্ণ এবং সুনির্ধারিত।
এই রীতি কঠোর ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে এবং এর শব্দ ও পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও গঠনমূলক। সাধু ভাষা সাধারণত গুরুগম্ভীর স্বরে গড়ে ওঠে এবং এতে প্রচুর পরিমাণে তৎসম শব্দের সন্নিবেশ ঘটে।
নাটকের সংলাপ বা সাধারণ বক্তৃতার জন্য সাধু ভাষার রীতি তুলনামূলকভাবে অনুপযুক্ত, কারণ এর গম্ভীরতা ও কঠোরতা সেসব ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ) ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago