'তৎসম' শব্দের ব্যবহার কোন রীতিতে বেশি হয়?
A
চলিত রীতি
B
সাধু রীতি
C
মিশ্র রীতি
D
আঞ্চলিক রীতি
উত্তরের বিবরণ
সাধু ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য
-
তৎসম শব্দ বেশি ব্যবহৃত হয়: সাধু ভাষায় সংস্কৃত বা তৎসম শব্দ বেশি ব্যবহার করা হয়।
-
ভাষার রূপ একই থাকে: এই ভাষার ধরণ সব সময় এক থাকে, সময় বা এলাকার পরিবর্তনে এর কোনো পরিবর্তন হয় না।
-
গাম্ভীর্য ও আভিজাত্য: তৎসম শব্দ ব্যবহারের কারণে এই ভাষায় একটা আভিজাত্য ও গুরুত্ব বোঝায়।
-
নিয়ম মেনে চলে: এই ভাষার প্রতিটি শব্দ ও বাক্য গঠনে ব্যাকরণের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করা হয়।
-
শুধু লেখায় ব্যবহার হয়: সাধু ভাষা সাধারণত কথাবার্তায় নয়, লেখা বা বইয়ের ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বক্তৃতা বা আলোচনায় এটি স্বাভাবিক শোনায় না।
-
পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়: এই ভাষায় সর্বনাম (যেমন: আমি, তুমি) ও ক্রিয়াপদের (যেমন: করিয়াছি, গিয়াছিল) পূর্ণরূপ ব্যবহার হয়।
উৎস: অষ্টম শ্রেণির ব্যাকরণ বই এবং ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
0
Updated: 3 months ago
সাধু ভাষা রীতির ব্যবহার কোন ক্ষেত্রে অনুপযোগী?
Created: 4 weeks ago
A
নাটকের সংলাপে
B
কাব্য রচনায়
C
গদ্য-সাহিত্যে
D
কোনোটিই নয়
প্রখ্যাত ভাষাতত্ত্ববিদ ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, "সাধারণ গদ্য-সাহিত্যে ব্যবহৃত বাঙলা ভাষাকে সাধু ভাষা বলা হয়।" অর্থাৎ, বাংলা গদ্য-সাহিত্যে ব্যবহৃত সংস্কৃত শব্দবহুল, মার্জিত, নিয়মমাফিক এবং সর্বজনবোধ্য ভাষারূপ হলো সাধুভাষা।
-
সাধুভাষা মূলত লেখ্য ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং বক্তৃতা, নাটক বা আলাপচারিতার জন্য অনুপযোগী, কারণ এটি কৃত্রিম রূপ ধারণ করে।
উদাহরণ: "যাহাকে তাহাকে মারিতে যাওয়া তোমার উচিত হয় নাই।" এখানে--
'যাহাকে', 'তাহাকে' = সর্বনাম পদ
-
'মারিতে' = ক্রিয়া পদ
-
'নাই' = নঞর্থক অব্যয় (যোজক) পদের পূর্ণরূপ
-
-
সাধুভাষায় ক্রিয়া, সর্বনাম ও নঞর্থক অব্যয় পদের পূর্ণরূপ বজায় রাখা হয় এবং এতে সহজ, সরল, তদ্ভব ও দেশি-বিদেশি শব্দের সমাবেশও হালকা রীতিতে ব্যবহৃত হতে পারে।
বাংলা ভাষার সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য:
-
লেখ্য সাধু রীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে এবং পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট।
-
এ রীতি গুরুগম্ভীর এবং তৎসম শব্দবহুল।
-
নাটকের সংলাপ বা বক্তৃতার জন্য অানুপযোগী।
-
সর্বনাম ও ক্রিয়া পদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে।
0
Updated: 4 weeks ago
কোন ভাষায় সাহিত্যের গাম্ভীর্য ও আভিজাত্য প্রকাশ পায়?
Created: 3 weeks ago
A
চলিত
B
উপভাষা
C
সাধু
D
কথ্য
সাধু ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য হলো যে ভাষা রূপের কিছু নির্দিষ্ট গুণাবলী রয়েছে যেগুলো অপরিবর্তনীয় এবং নিয়মাবদ্ধ।
-
অপরিবর্তনীয়তা: সাধু ভাষার রূপ অপরিবর্তনীয়, অঞ্চলভেদে বা কালক্রমে পরিবর্তিত হয় না।
-
তৎসম ও সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার: এই ভাষায় তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের প্রচুর ব্যবহার থাকে, যা একটি প্রকার আভিজাত্য ও গাম্ভীর্য প্রদান করে।
-
ব্যাকরণের নিয়মিত ব্যবহার: ভাষারীতি ব্যাকরণের সুনির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে এবং পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট থাকে।
-
প্রধান ব্যবহার ক্ষেত্র: সাধু ভাষারীতি শুধু লেখায় ব্যবহার হয়, কথাবার্তা, বক্তৃতা বা ভাষণের জন্য উপযোগী নয়।
-
সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণরূপ: এখানে সর্বনাম এবং ক্রিয়াপদ পূর্ণরূপে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
কোনটি সাধুরীতির শব্দ?
Created: 1 month ago
A
আজ
B
জোসনা
C
মিনতি
D
জল
বাংলা ভাষায় সাধু রীতি (শাস্ত্রীয়/প্রাচীন ধারা) ও চলিত রীতি (আধুনিক ব্যবহার) – এই দুই ধরনের ভঙ্গি আছে।
-
আজ → চলিত রীতির শব্দ। সাধু রীতিতে বলা হয় "অদ্য"।
-
জোসনা → সাধু রীতির শব্দ। চলিত রীতিতে ব্যবহার হয় "আলো" বা "চাঁদের আলো"।
-
মিনতি → চলিত রীতির শব্দ। সাধু রীতিতে ব্যবহার হয় "প্রার্থনা" বা "অনুরোধ"।
-
জল → চলিত রীতি। সাধু রীতিতে বলা হয় "তোয়" বা "পানি" নয়, তবে "জল" সাধারণত চলিত রীতিতেই বেশি ব্যবহৃত।
তাই প্রদত্ত বিকল্পের মধ্যে ‘জোসনা’ হলো সাধু রীতির শব্দ।
0
Updated: 1 month ago