বাংলা সাহিত্যের আদি কবি কে?
A
কাহ্নপা
B
চেণ্ডনপা
C
লুইপা
D
ভূসুকুপা
উত্তরের বিবরণ
লুইপা: বাংলা সাহিত্যের প্রথম কবি
-
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম কাব্যগ্রন্থ চর্যাপদ-এর প্রথম কবিতা লুইপা রচনা করেন।
তাই তাকেই বাংলা সাহিত্যের আদি কবি বলা হয়। -
লুইপা ছিলেন একজন প্রবীণ বৌদ্ধ সাধক ও চর্যাপদের একজন কবি।
-
ভাষাবিদ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মনে করেন, লুইপা সম্ভবত ৭৩০ থেকে ৮১০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে জীবিত ছিলেন।
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে, লুইপার জন্ম রাঢ় অঞ্চলে (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের কিছু অংশ)।
-
তিনি চর্যাপদের ১ম ও ২৯তম পদ রচনা করেছেন।
-
তাঁর রচিত প্রথম চর্যার পঙক্তি দুটি হলো:
"কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল।
চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল।।"
চর্যাপদ: বাংলা সাহিত্যের সূচনা
-
চর্যাপদ হলো বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে পুরোনো গ্রন্থ।
এটি বাংলা ভাষার প্রথম কবিতা বা গানের সংকলন হিসেবে ধরা হয়। -
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
১৯০৭ সালে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবারের একটি লাইব্রেরি থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
সুকুমার সেন তাঁর 'বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস' গ্রন্থে চর্যাপদের ২৪ জন কবির নাম উল্লেখ করেছেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তাঁর Buddhist Mystic Songs গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম দেন।
-
চর্যাপদের সবচেয়ে বেশি কবিতা লিখেছেন কাহ্নপা — তিনি মোট ১৩টি পদ রচনা করেন, যার মধ্যে ১২টি পাওয়া গেছে।
-
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ লিখেছেন ভুসুকুপা — তিনি ৮টি পদ রচনা করেন।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago
ডোম সম্প্রদায়ের একজন যুবকের কবিরূপে প্রতিষ্ঠার কাহিনি উল্লেখ রয়েছে কোন উপন্যাসে?
Created: 1 month ago
A
নিকেতন
B
আরোগ্য
C
কালিন্দী
D
কবি
‘কবি’ উপন্যাস
-
রচয়িতা: তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
-
এটি একটি সামাজিক উপন্যাস, যা বাংলাভাষার আলোচিত কাহিনিগুলোর মধ্যে অন্যতম।
-
কাহিনী কেন্দ্র করে ডোম সম্প্রদায়ের একজন যুবকের কবিরূপে আত্মপ্রকাশ এবং দুটি নারীর সঙ্গে তার সম্পর্ক।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যান্য উপন্যাস
-
চৈতালি ঘূর্ণি
-
ধাত্রীদেবতা
-
কালিন্দী
-
কবি
-
হাঁসুলি বাঁকের উপকথা
-
গণদেবতা
-
আরোগ্য
-
নিকেতন
-
পঞ্চপুণ্ডলী
-
রাধা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
“পরানের গহীন ভিতর” কাব্যের কবি কে?
Created: 1 month ago
A
অসীম সাহা
B
অরুণ বসু
C
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
D
সৈয়দ শামসুল হক
‘পরানের গহীন ভিতর’ কাব্যের রচয়িতা হলেন — সৈয়দ শামসুল হক।
সৈয়দ শামসুল হক সম্পর্কে কিছু তথ্য
-
জন্ম: ১৯৩৫ সালে, কুড়িগ্রাম।
-
তিনি মূলত বহুমুখী লেখক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা
কাব্যনাট্য
-
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
-
নুরলদীনের সারাজীবন
-
এখানে এখন
গল্পগ্রন্থ
-
তাস
-
শীত বিকেল
-
আনন্দের মৃত্যু
-
প্রাচীন বংশের নিঃস্ব সন্তান
-
জলেশ্বরীর গল্পগুলো
কবিতা
-
একদা এক রাজ্যে
-
বৈশাখে রচিত পঙ্ক্তিমালা
-
পরানের গহীন ভিতর
-
বেজান শহরের জন্য কোরাস
-
কাননে কানে তোমারই সন্ধানে
-
আমি জন্মগ্রহণ করিনি প্রভৃতি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 1 month ago
'যখন আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান'- পঙ্ক্তিটি কোন কবির রচনা?
Created: 2 days ago
A
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
B
অতুল প্রসাদ সেন
C
সৈয়দ শামসুল হক
D
নির্মলেন্দু গুণ
‘যখন আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান’—এই পঙক্তিটি বাঙালির জাতীয় চেতনা ও মুক্তির আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এটি রচনা করেছেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি সৈয়দ শামসুল হক। তাঁর কবিতায় দেশপ্রেম, ইতিহাস ও ব্যক্তিগত অনুভূতির মিশ্রণে গঠিত এক গভীর মানবিক বোধ ফুটে ওঠে, যা এই পঙক্তিতেও স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
• সৈয়দ শামসুল হক (জন্ম: ২৭ ডিসেম্বর ১৯৩৫, মৃত্যু: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬) ছিলেন বহুমাত্রিক সাহিত্যিক—কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক হিসেবে সমান দক্ষ।
• তিনি স্বাধীনতার চেতনা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান এবং বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাসকে তাঁর লেখায় অত্যন্ত মর্যাদার সঙ্গে তুলে ধরেছেন।
• উক্ত পঙক্তিটি মূলত তাঁর সেই কবিতাগুলোর অংশ, যেখানে তিনি জাতির পিতাকে শুধু একজন নেতা হিসেবে নয়, বাঙালি জাতিসত্তার প্রতীক হিসেবে দেখিয়েছেন।
• এই পঙক্তিতে কবি নিজের পরিচয়কে জাতির জনকের নামের সঙ্গে একাত্ম করে ব্যক্ত করেছেন, যা বাঙালির আত্মপরিচয়ের গভীরতম প্রকাশ।
• কবির মতে, শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি নন, তিনি বাঙালির আত্মমর্যাদা ও স্বাধীন সত্তার জাগরণের কেন্দ্রবিন্দু।
• তাঁর কবিতায় ব্যবহৃত ভাষা সরল হলেও আবেগময়, যা পাঠকের মনে দেশপ্রেমের উচ্ছ্বাস জাগিয়ে তোলে।
• এই পঙক্তি পাঠ করলে বোঝা যায়, কবি বঙ্গবন্ধুকে কেবল ইতিহাসের চরিত্র নয়, বরং প্রতিটি বাঙালির আত্মপরিচয়ের অংশ হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছেন।
• এই দৃষ্টিভঙ্গি সৈয়দ শামসুল হককে আধুনিক বাংলাদেশের অন্যতম জাতীয় কবিদের সারিতে স্থান দিয়েছে।
• তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘বৃদ্ধাশ্রম’, ‘বিরতির আগে’, ‘পরানের গহীন ভিতর’, এবং ‘একদা এক রাজ্যে’।
• তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারসহ নানা রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন, যা তাঁর সাহিত্যকর্মের জাতীয় গুরুত্বকে নির্দেশ করে।
এই পঙক্তি শুধুমাত্র কবিতার একটি পংক্তি নয়—এটি এক ঐতিহাসিক ঘোষণা, যেখানে কবি নিজের জাতীয় পরিচয়কে জাতির জনকের নামের সঙ্গে মিলিয়ে বাঙালির আত্মগৌরবের কণ্ঠস্বর উচ্চারণ করেছেন।
0
Updated: 2 days ago