বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন কোনটি?
A
মনসামঙ্গল
B
চন্ডীমঙ্গল
C
চর্যাপদ
D
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম ও গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ, যা বাংলা ভাষার সূচনালগ্নের সাহিত্যিক নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি মূলত বৌদ্ধ সাধকদের রচিত গানের সংকলন, যেখানে ধর্মীয় দর্শন, মানবজীবনের অভিজ্ঞতা ও আধ্যাত্মিকতার প্রকাশ ঘটেছে।
-
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।
-
এটি বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ, কবিতা সংকলন ও গানের সংকলন।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
সুকুমার সেন তাঁর ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড)’ গ্রন্থে চর্যাপদের ২৪ জন পদকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন।
-
অপরদিকে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত ‘Buddhist Mystic Songs’ গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম পাওয়া যায়।
-
চর্যাপদের প্রথম পদটির রচয়িতা লুইপা।
-
সর্বাধিক পদ রচয়িতা কাহ্নাপা, তিনি ১৩টি পদ রচনা করেন, যার মধ্যে ১২টি পদ আবিষ্কৃত হয়েছে।
-
দ্বিতীয় সর্বাধিক পদ রচয়িতা ভুসুকুপা, যিনি ৮টি পদ রচনা করেছেন।

0
Updated: 1 day ago
গুণ ও বৃদ্ধি বলা হয় –
Created: 1 month ago
A
কৃৎ-প্রকৃতির আদিস্বরের পরিবর্তনকে
B
কৃৎ-প্রকৃতির অন্তস্বরের পরিবর্তনকে
C
নাম-প্রকৃতির পরিবর্তনকে
D
প্রাতিপদিকের পরিবর্তনকে
প্রকৃতির শেষে প্রত্যয় যোগ হলে উক্ত প্রকৃতির আদিস্বরের যে কিছু পরিবর্তন ঘটে তাকে গুণ বলে। ই / - ি কার বা ঈ / - কার থাকলে এ / - কার হবে। যেমন - লিখ + আ = লেখা, নী + তা = নেতা। প্রকৃতির শেষে প্রত্যয় যোগ হলে উক্ত প্রকৃতির আদিস্বরের যে কিছু পরিবর্তন ঘটে তাকে বৃদ্ধি বলা হয়। ই / শিকার, ঈ - কার বা এ / কোর থাকলে ঐ / - ৈ-কার হবে। যেমন - বিমান + ষ্ণিক = বৈমানিক, নীতি + ষ্ণিক = নৈতিক।

0
Updated: 1 month ago
"আমি বাংলা বিভাগের ছাত্র।" - বাক্যটির জটিল রূপ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
আমি যে বাংলা বিভাগের ছাত্র, তা সবাই জানে।
B
আমার বিভাগের নাম বাংলা।
C
আমি যে বিভাগের ছাত্র তার নাম বাংলা।
D
আমি একটি বিভাগের ছাত্র এবং তার নাম বাংলা।
সঠিক উত্তর: গ) আমি যে বিভাগের ছাত্র তার নাম বাংলা।
ব্যাখ্যা:
মূল বাক্য: "আমি বাংলা বিভাগের ছাত্র।" — এটি একটি সরল বাক্য (একটি উদ্দেশ্য + একটি বিধেয়)।
জটিল বাক্যের বৈশিষ্ট্য:
-
একটি প্রধান খণ্ডবাক্য এবং এক বা একাধিক আশ্রিত খণ্ডবাক্য থাকে।
-
সংযোজক শব্দ (যে, যা, যার, যেখানে ইত্যাদি) দ্বারা যুক্ত থাকে।
-
সাপেক্ষ সর্বনাম: যে-সে, যিনি-তিনি, যারা-তারা, যা-তা ইত্যাদি।
-
সাপেক্ষ যোজক: যদি-তবে, যেহু-সেহু, যখন-তখন, যত-তত, যেমন-তেমন ইত্যাদি।
এগুলো ব্যবহার করে সরল বাক্যকে জটিল বাক্যে রূপান্তর করা যায়।
সুতরাং, এই উদাহরণে "আমি যে বিভাগের ছাত্র তার নাম বাংলা" একটি জটিল বাক্য।
(উৎস:

0
Updated: 1 week ago
"গুদাম" শব্দটি কোন বিদেশী ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে?
Created: 1 day ago
A
পর্তুগীজ
B
তুর্কি
C
হিন্দি
D
বার্মিজ
‘গুদাম’ একটি বিশেষ্য পদ, যার উৎস পর্তুগিজ ভাষা। এটি বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ, যা পণ্য বা সামগ্রী সংরক্ষণের স্থান বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
অর্থ:
-
মালখানা, অর্থাৎ পণ্য রাখার ঘর।
-
বদ্ধ কামরা, অর্থাৎ বন্ধ বা নির্দিষ্ট জায়গা যেখানে মাল রাখা হয়।
-
-
ইংরেজি পরিভাষা: godown
বাংলা ভাষায় পর্তুগিজ ভাষা থেকে বহু শব্দ প্রবেশ করেছে, যেগুলো আজও দৈনন্দিন ব্যবহারে প্রচলিত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি শব্দ হলো—
আনারস, গির্জা, পেয়ারা, পেঁপে, সালোয়ার, চাবি, বালতি, গুদাম, পাউরুটি, পাদ্রি, কামরা, বোতল, জানালা, বোতাম, তোয়ালে।

0
Updated: 1 day ago