রক্তরস বা প্লাজমা

• রক্তের তরল অংশকে রক্তরস বা প্লাজমা বলে।

• রক্তরসের প্রায় ৯০% পানি, আর বাকি ১০% জৈব ও অজৈব পদার্থ দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে।

অজৈব পদার্থ

• বিভিন্ন খনিজ পদার্থের আয়ন যেমন: সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্লোরিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ, আয়োডিন।

• গ্যাসীয় পদার্থ যেমন: O₂, CO₂, N₂।

জৈব পদার্থ
১. খাদ্যসার → গ্লুকোজ, অ্যামিনো এসিড, স্নেহপদার্থ, ভিটামিন।
২. রেচন পদার্থ → ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, অ্যামোনিয়া, ক্রিয়েটিনিন।
৩. প্রোটিন → ফাইব্রিনোজেন, গ্লোবিউলিন, অ্যালবুমিন, প্রোথ্রম্বিন।
৪. প্রতিরক্ষামূলক পদার্থ → অ্যান্টিটক্সিন, অ্যাগ্লুটিনিন।
৫. হরমোন → অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন হরমোন।
৬. অন্যান্য যৌগ → কোলেস্টেরল, লেসিথিন, বিলিরুবিন ইত্যাদি।

রক্তরসের কাজ

• খাদ্যসারকে রক্তকোষসহ দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবহণ করা।

• টিস্যু থেকে বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে বৃক্কে পৌঁছে দেওয়া।

• শ্বসনকালে কোষ থেকে উৎপন্ন CO₂ কে বাইকার্বনেট আকারে ফুসফুসে বহন করা।

• রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান পরিবহণ করা।

• হরমোন, এনজাইম, লিপিড ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে দেওয়া।

• রক্তের অম্ল-ক্ষার ভারসাম্য বজায় রাখা।

উৎস: বিজ্ঞান (নবম–দশম শ্রেণি)

ছায়াপথ: 
- সৌরজগতের গ্রহসমূহ সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, আর সূর্য মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির মধ্যবিন্দুকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। 
- এই মধ্যবিন্দুর চারদিকে একবার ঘুরে আসতে পৃথিবীর ২২৫-২৫০ মিলিয়ন বছর সময় লাগে। 
- এই সময়টাকেই কসমিক ইয়ার বা গ্যালাকটিক ইয়ার বলে। 
- ছায়াপথের নিজ অক্ষে আবর্তনকালকে কসমিক ইয়ার বলে। 

উৎস: Britannica.com

আমিষ বা প্রোটিন

• প্রোটিন মূলত অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে তৈরি হয়।

• এগুলোতে কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন থাকে।

• প্রোটিনের মৌলিক একক হলো অ্যামিনো অ্যাসিড।

• যখন আমাদের শরীরে প্রোটিন হজম হয়, তখন তা ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিডে রূপ নেয়।

• এখন পর্যন্ত মানুষের শরীরে মোট ২০ ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি অ্যামিনো অ্যাসিড অপরিহার্য বা অত্যাবশ্যকীয়, কারণ এগুলো শরীর নিজে তৈরি করতে পারে না, তাই খাবার থেকেই পেতে হয়।

মানবদেহের জন্য এ ৮টি অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড হলো:
১. লাইসিন
২. লিউসিন
৩. আইসোলিউসিন
৪. মিথিওনিন
৫. ট্রিপটোফ্যান
৬. ভ্যালিন
৭. ফেনাইল অ্যালানিন
৮. থ্রিওনিন

উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়