"কপাল কুন্ডলা" উপন্যাসটির লেখক কে?
A
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
তারাশংকর বঙ্গোপধ্যায়
C
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
D
সমরেশ বসু
উত্তরের বিবরণ
‘কপালকুণ্ডলা’ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি অমর সাহিত্যকর্ম, যা ১৮৬৬ সালে প্রকাশিত হয়। এটি তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস, এবং সাহিত্য-রসিকদের মতে এটি একাধারে রোমান্স ও ট্র্যাজেডির সমন্বিত সৃষ্টি। উপন্যাসটি তার কাহিনির গভীরতা, রহস্যময়তা ও মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয়।
উপন্যাসের কাহিনি গড়ে উঠেছে এক কাপালিক-পালিতা নারী কপালকুণ্ডলাকে ঘিরে। অরণ্যে প্রতিপালিত এই নারী সমাজজীবনের সঙ্গে অপরিচিত। সে পরবর্তীতে নবকুমার নামের এক ভদ্রলোকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু তার অরণ্যজীবনের সরলতা ও সামাজিক জীবনের জটিলতার সংঘাত থেকেই সৃষ্টি হয় নানা দ্বন্দ্ব, যা উপন্যাসের মূল সুর নির্ধারণ করে। কপালকুণ্ডলার রহস্যময় অতীত ও তার ট্র্যাজিক পরিণতিই এ উপন্যাসের কেন্দ্রবিন্দু।
উপন্যাসের পটভূমিতে একদিকে আছে সম্রাট জাহাঙ্গিরের আমলের আগ্রা নগর ও স্থাপত্য, অন্যদিকে আছে অরণ্য ও সমুদ্রের প্রকৃতির সৌন্দর্য ও রহস্য। এই দ্বৈত পটভূমি কাহিনিকে দিয়েছে এক অনন্য রোমাঞ্চময় পরিবেশ। কপালকুণ্ডলার চরিত্রের গভীরতা, তার জীবনের বেদনাময় পরিণতি এবং প্রকৃতির রহস্যময় সৌন্দর্য — এই তিনটি উপাদান উপন্যাসটিকে করে তুলেছে বঙ্কিমচন্দ্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা।
উপন্যাসের প্রধান চরিত্রসমূহ:
-
কপালকুণ্ডলা
-
নবকুমার
-
কাপালিক
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
তিনি ছিলেন ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক ও বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পুরুষ।
-
১৮৩৮ সালে চব্বিশ পরগনার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
বাংলা উপন্যাসের ইতিহাসে তাঁকে বলা হয় “বাংলা উপন্যাসের জনক।”
-
তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ছিল ‘ললিতা তথা মানস’।
-
তাঁর রচিত প্রথম এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস হলো ‘দুর্গেশনন্দিনী’।
-
তাঁর জীবদ্দশায় ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসের আটটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল, যা এর জনপ্রিয়তার প্রমাণ।

0
Updated: 1 day ago
'হাতেম তায়ী' ফররুখ আহমেদ রচিত -
Created: 6 days ago
A
উপন্যাস
B
কাহিনী কাব্য
C
গীতি কাব্য
D
কাব্য নাটক
ফররুখ আহমেদ ছিলেন মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি এবং বাংলা সাহিত্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ কাব্যিক রচয়িতা। তাঁর সাহিত্যকর্মে কাহিনী কাব্য, শিশুতোষ গ্রন্থ ও সনেট সংকলন সবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে।
-
জন্ম ও পরিচয়: ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ।
-
সৃজনশীলতা ও স্বীকৃতি:
-
‘সাত সাগরের মাঝি’ তাঁর প্রথম প্রকাশিত ও শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ।
-
কাহিনী কাব্য 'হাতেম তায়ী' এর জন্য ১৯৬৬ সালে আদমজি পুরস্কার লাভ করেন।
-
শিশুতোষ গ্রন্থ 'পাখির বাসা' এর জন্য ১৯৬৬ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার লাভ করেন।
-
রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনীরা
-
নৌফেল ও হাতেম (কাব্য নাটক)
-
মুহূর্তের কবিতা (সনেট সংকলন, ১৯৬৩)
-
সিন্দাবাদ
-
হাতেমতায়ী (কাহিনী কাব্য)
-
নতুন লেখা
-
হাবেদা মরুরকাহিনী
অন্যান্য রচনা:
-
পাখির বাসা (শিশুতোষ গ্রন্থ, ১৯৬৫)

0
Updated: 6 days ago
‘লালসালু’ উপন্যাসের রচনাকাল কোনটি?
Created: 2 months ago
A
১৯৪৩ সালে
B
১৯৪৮ সালে
C
১৯৫২ সালে
D
১৯৭০ সালে
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ তিনটি উপন্যাস রচনা করেন। যথা - লালসালু (১৯৪৮), চাঁদের অমাবস্যা (১৯৬৪) ও কাঁদো নদী কাঁদো (১৯৬৮)। লালসালু তার শ্রেষ্ঠ রচনা। উপন্যাসটি ফরাসি ভাষায় L Arbre Sams Maeme নামে ও ইংরেজি ভাষায় Tree Without Roots নামে প্রকাশিত হয়।

0
Updated: 2 months ago
রবীন্দ্রনাথের কোন উপন্যাসে স্বদেশী আন্দোলনের প্রভাব দেখা যায়?
Created: 1 month ago
A
ঘরে-বাইরে
B
চার অধ্যায়
C
গোরা
D
চতুরঙ্গ
'ঘরে বাইরে' — উপন্যাস
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
ধরন: চলিত ভাষায় লেখা প্রথম উপন্যাস
-
প্রকাশ মাধ্যম: সবুজপত্র (১৯১৫)
-
বিশেষত্ব: রবীন্দ্র প্রতিভার শেষ যুগের উপন্যাস; রাজনৈতিক মতবাদের লীলাচাঞ্চল্য ফুটে উঠেছে
-
বিষয়বস্তু: স্বদেশি আন্দোলনের পটভূমিতে জাতিপ্রেম ও সংকীর্ণ স্বাদেশিকতার সমালোচনা
রবীন্দ্রনাথের অন্যান্য উপন্যাস:
-
চোখের বালি
-
গোরা
-
যোগাযোগ
-
চতুরঙ্গ
-
ঘরে বাইরে
-
চার অধ্যায়
-
মালঞ্চ
উৎস:
১. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 month ago